আবিদ-মাসুদ কীর্তিতে পাকিস্তানের বড় লিড

অভিষেকের পর দ্বিতীয় টেস্টেও সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন আবিদ আলি। তিন অঙ্কের দেখা পেলেন শান মাসুদও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করাচি টেস্টে দুই ওপেনারের ব্যাটে বড় লিড নিয়েছে পাকিস্তান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2019, 12:58 PM
Updated : 22 Dec 2019, 07:43 AM

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯৫ রান। লিড ৩১৫ রানের। অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে ৫৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আজহার আলি, বাবর আজম আছেন ২২ রানে।
 
৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে পাকিস্তান। ২১ রানে ছিলেন মাসুদ, ৩২ রানে আবিদ। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন তারা।
 
১৩৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ইতিহাসে নাম লেখান আবিদ। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে গড়েন সেঞ্চুরির কীর্তি।
 
এর আগে সিরিজের ও নিজের প্রথম টেস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে আবিদ করেছিলেন অপরাজিত ১০৯ রান। যে ইনিংস দিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডের পর টেস্ট অভিষেকেও সেঞ্চুরির অনন্য কীর্তি গড়েন এই ৩২ বছর বয়সী ওপেনার।
 

ছবি: পাকিস্তান ক্রিকেট

আবিদের দেখানো পথে হেঁটে ১৪৮ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন মাসুদ। ২০০১ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে দুই পাকিস্তানি ওপেনার পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। সেবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাইদ আনোয়ার ও তৌফিক ওমর।
চা বিরতির কিছুক্ষণ আগে মাসুদের বিদায়ে ভাঙে ২৭৮ রানের জুটি। পাকিস্তানের এর চেয়ে বড় ওপেনিং জুটি আছে একটি। করাচিতেই ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৯৮ রান করেছিলেন আমির সোহেল ও ইজাজ আহমেদ।
অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে যে কোনো উইকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটি এটিই। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২৪২। ২০০৬ সালে ফয়সলাবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই এই জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মাদ ইউসুফ ও ইউনিস খান।
লাহিরু কুমারাকে পুল করতে গিয়ে ক্যাস দেন মাসুদ। এর আগে ১৩৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি সাজান সাতটি চার ও তিন ছক্কায়।
অধিনায়ক আজহারের সাথে আরেকটি ফিফটি জুটি উপহার দিয়ে আউট হন আবিদ। কুমারার বলে এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে ৭৭ রানের জুটি। ২৮১ বলে ২১টি চার ও এক ছক্কায় ১৭৪ রানের ইনিংসটি সাজান আবিদ।

দিনের বাকি সময় বাবরকে নিয়ে কাটিয়ে দেন আজহার। পাকিস্তান এখন দশ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট ফেরার উপলক্ষ্য জয় দিয়ে রাঙানোর অপেক্ষায়।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৯.৩ ওভারে ১৯১
 
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৮৫.৫ ওভারে ২৭১
 
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১০৪ ওভারে ৩৯৫/২ (আগের দিন ৫৭/০) (মাসুদ ১৩৫, আবিদ ১৭৪, আজহার ৫৭*, বাবর ২২*; বিশ্ব ২১-২-৮৪-০, কুমারা ২২-৫-৮৮-২, এম্বুলদেনিয়া ৩৭-৩-১৩৬-০, দিলরুয়ান ১৭-১-৬৩-০, ধনাঞ্জয়া ৭-০-১৯-০)।