দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৭ রান। ৩২ রানে ব্যাট করছেন আবিদ, মাসুদ আছেন ২১ রানে। স্বাগতিকরা পিছিয়ে রয়েছে ২৩ রানে।
এর আগে শুক্রবার ২৭১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। প্রথম দিনে ১৯১ রানে থেমেছিল পাকিস্তান।
সকালের কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন দুই পেসার আব্বাস ও আফ্রিদি। দিনের তৃতীয় ওভারে নাইটওয়াচম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার ক্যাচ ফেলেন বাবর আজম। তবে এজন্য বেশি ভুগতে হয়নি।
কিছুক্ষণ পরই আব্বাসের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৩ রান করা এম্বুলদেনিয়া। দুই ওভার পর আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফেরান আফ্রিদি।
৮০ রানে ৫ উইকেট হারানো সফরকারীরা প্রতিরোধ গড়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও চান্দিমালের ব্যাটে। ২ রান করা ডি সিলভা ফিরিয়ে ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন আফ্রিদি।
লাঞ্চের পর আব্বাস কিপার-ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলাকে বোল্ড করে দিলে ১৮৪ রানে ৭ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তবে অষ্টম উইকেটে দারুণ এক জুটিতে পাকিস্তানের হতাশা বাড়ান চান্দিমাল ও পেরেরা।
৫১ রানের জুটি ভাঙে চান্দিমালের আউটে। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে হারিস সোহেলের বলে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপরও লড়াই চালিয়ে যান পেরেরা। বিশ্ব ফার্নান্দোকে নিয়ে নবম উইকেটে যোগ করেন মূল্যবান ৩৬ রান। দলকে এনে দেন ৮০ রানের লিড।
পর পর দুই বলে পেরেরা ও লাহিরু কুমারাকে ফিরিয়ে লঙ্কান ইনিংস গুটিয়ে দেন আফ্রিদি। ৭৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার তরুণ এই বাঁহাতি পেসার। ৫৫ রানে আব্বাসের শিকার ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৯.৩ ওভারে ১৯১
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৮৫.৫ ওভারে ২৭১ (ওশাদা ৪, করুনারত্নে ২৫, কুসল ১৩, ম্যাথিউস ১৩, এম্বুলদেনিয়া ১৩, চান্দিমাল ৭৪, ডি সিলভা ৩২, ডিকভেলা ২১, পেরেরা ৪৮, ফার্নান্দো ৫*, কুমারা ০; শাহিন ২৬.৫-৫-৭৭-৫, আব্বাস ২৭-৯-৫৫-৪, নাসিম ১৬-১-৭১-০, ইয়াসির ১৩-০-৪৩-০, হারিস ৩-০-১১-১)
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৪ ওভারে ৫৭/০ (মাসুদ ২১*, আবিদ ৩২*; বিশ্ব ৫-১-১৪-০, কুমারা ৩-০-২০-০, এম্বুলদেনিয়া ৫-০-১৭-০, দিলরুয়ান ১-০-২-০)।