ইডেন গার্ডেন্সে দিবা-রাত্রির টেস্টে দারুণ খেলছিলেন লিটন। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে ছিলেন সাবলীল। অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে খুব ভুগছিলেন, সেখানে তিনি শট খেলতে থাকেন অনায়াসে।
“এই নিউজ ভারতীয় মিডিয়া নাকি আপনারা করছেন? বিষয়টা নির্ভর করে আপনাদের (সাংবাদিকদের) ওপর, আপনারা কিভাবে নিচ্ছেন। যদি আমার বল দেখতে সমস্যা হতো, তাহলে তো প্রথম বল থেকেই খেলতে পারতাম না।”
“এই নিউজ আমার কাছে অতটা বড় ব্যাপার নয়, অন্য মানুষরা কিভাবে এটা নিচ্ছেন সেটা হচ্ছে বড় ব্যাপার। আর আপনাদের একটা নিউজ বা ভারতের একটা নিউজ অনেক মানুষ দেখে।
বাংলাদেশের মিডিয়াকে সবাই অনুসরণ করে। তারা চিন্তা করতেই পারে, লিটন মনে হয় কালার ব্লাইন্ড। আপনারা যেভাবে নিউজ দেবেন সেভাবেই তো নিউজ আসবে।”
সেই ম্যাচে লিটনের হেলমেটে লেগেছিল বল। পরে মাঠ ছাড়েন এই তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান। তার জায়গায় মেহেদি হাসান মিরাজকে কনকাশন সাব হিসেবে নেয় বাংলাদেশ। পেছনে ফিরে কঠিন সেই সময়ের দিকে তাকালেন লিটন।
“কনকাশনে পড়েছি বলেই তো আমি খেলতে পারিনি। অবশ্যই খারাপ লেগেছে। জীবনে প্রথমবার সুযোগ ছিল গোলাপি বলে খেলার। যেহেতু ম্যাচে খেলেও আমি পুরোটা শেষ করতে পারিনি, এদিক থেকে খারাপ লেগেছে। বাকি কয়েকটা দিন আমি বিশ্রামে ছিলাম।”
“মানসিকভাবে ওইরকম একটা চাপে ছিলাম না। হ্যাঁ, মাথায় একটা বল লাগলে স্বাভাবিক কিছু সিমটম থাকে, মাথা ব্যথা থাকে বা মাথা একটু ভারী ভারী লাগে। এই জিনিসগুলো আমি অনুভব করেছি কয়েকটা দিন।”
“আমাকে তারা সিটি স্ক্যান করতে পাঠিয়েছিলেন, তারা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছিলেন না। কারণ, আমার ওই অবস্থা ছিল না লাগার পর থেকে, আমি ফিরে গিয়ে আবার ব্যাটিং করব। তাই তারা মিরাজকে নিয়েছিলেন।”