বিবিসির বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব স্টোকস

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে নায়কোচিত ভূমিকা। অ্যাশেজে অসাধারণ পারফরম্যান্স। সোনায় মোড়ানো বছরের যোগ্য স্বীকৃতি পেলেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিতেছেন মর্যাদাপূর্ণ বিবিসি বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের পুরস্কার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2019, 10:01 AM
Updated : 16 Dec 2019, 10:13 AM

বিবিসির পাঠক-অনুসারীদের ভোটে স্টোকসের ঠিক পেছনে ছিলেন ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার লুইস হ্যামিল্টন। সেরার লড়াইয়ে তৃতীয় হয়েছেন স্প্রিন্টার দিনা আশার-স্মিথ।

২০১৯ বিবিসি বর্ষসেরার পুরস্কার বিতরণীর আসর বসেছিল রোববার স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনে। এবারের আয়োজনে ছিল ক্রিকেটের জয়জয়কার। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শিরোপাজয়ী ইংল্যান্ড জিতেছে বর্ষসেরা দলের পুরস্কার। লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভারে মার্টিন গাপটিলকে করা জস বাটলারের রান আউট, যেটিতে নির্ধারিত হয়েছিল শিরোপা, সেটি নির্বাচিত হয়েছে বছরের সেরা মুহূর্ত।

৮টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হলেও সব আকষর্ণের কেন্দ্রে বরাবরই থাকে বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। পারফরম্যান্স দিয়েই এবার ফেভারিট ছিলেন স্টোকস। বিশ্বকাপের ফাইনালে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন তিনি। মূল ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর সুপার ওভারেও তিনি গড়ে দেন পার্থক্য। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে অধরা শিরোপার দেখা পায় ইংল্যান্ড।

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ৬৬.৪২ গড়ে ৪৬৫ রান করেছিলেন স্টোকস। উইকেট নিয়েছিলেন ৭টি। বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজেও স্টোকস ছিলেন ইংল্যান্ডের সেরা পারফরমার। ৫৫.১২ গড়ে রান করেছিলেন ৪৪১, উইকেট নিয়েছিলেন ৮টি। দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন, দুটিই ছিল অসাধারণ ইনিংস। হেডিংলিতে চতুর্থ ইনিংসে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিয়েছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে।

স্টোকসের আগে কোনো ক্রিকেটার সবশেষ এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ, ২০০৫ সালে। সেবার ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সাল থেকে চলে আসা পুরস্কারে বর্ষসেরার স্বীকৃতি স্টোকসকে দিয়ে পেলেন কেবল ৫ জন ক্রিকেটার। স্টোকস ও ফ্লিন্টফের আগে ১৯৮১ সালে পেয়েছেন ইয়ান বোথাম, ১৯৭৫ সালে ডেভিড স্টিলি ও ১৯৫৬ সালে জিম লেকার।

ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারসনের মতে, “এই স্বীকৃতি নিশ্চিত করে দিল ব্রিটিশ জনগণের হৃদয়ে স্টোকসের জায়গা।”