ম্যাচের সম্ভাব্য ফল নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। প্রথম চার দিনেও যে ম্যাচে শেষ হয়নি এক ইনিংস, সে টেস্টে ড্র ছাড়া আর কিছুর সুযোগ নেই।
বৃষ্টির কাছে অসহায় কয়েকটি দিন শেষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শেষ দিনে খেলা হলো মোটামুটি। ধনাঞ্জয়ার সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩০৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান ২ উইকেটে ২৫২ রান তোলার পর ম্যাচ ড্র।
১০ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেট ফেরার ম্যাচটিতে শেষ দিনে কিছুটা বিনোদন পেলেন দর্শকরা। অভিষেকে সেঞ্চুরিতে আবিদ আলি গড়লেন অনন্য কীর্তি। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই সংস্করণে সেঞ্চুরি। গত মার্চে ওয়ানডে অভিষেকেও তার ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
দেশের মাটিতে নিজের প্রথম টেস্ট স্মরণীয় করে রেখেছেন বাবর আজমও। পাকিস্তান ক্রিকেটের সময়ের সেরা বিজ্ঞাপন সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ানডের গতিতে।
ম্যাচের প্রথম দিনে খেলা হয়েছিল ৬৮ ওভার। পরের দুই দিন মিলিয়ে হয় ২৩.৪ ওভার। চতুর্থ দিনে খেলাই হয়নি। পঞ্চম দিনে সকাল থেকে ছিল রোদ। শ্রীলঙ্কা দিন শুরু করেছিল ৬ উইকেটে ২৮২ রানে। ধনাঞ্জয়ার সেঞ্চুরির পরপরই তারা ঘোষণা করে দেয় ইনিংস।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে ১৬৬ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন ধনাঞ্জয়া।
এরপর আবিদ ও বাবরের দারুণ জুটি। আবিদের ইতিহাস গড়া মুহূর্তটি আসে চা বিরতির পর। ১৮৩ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক।
১০৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর টেস্ট অভিষেক তার। সুদীর্ঘ সেই প্রতীক্ষার অবসান হলো ৩২ বছর বয়সে অবিস্মরনীয় সাফল্য দিয়ে।
বাবর তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়ে যান একটু পরই। স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান ১১৮ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি।
দুজনই ছিলেন অপরাজিত। আলেকস্বল্পতা ম্যাচের ইতি টেনে দেয় নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৯৭ ওভারে ৩০৮/৬ (ডি.) (করুনারত্নে ৫৯, ওশাদা ৪০, কুসল ১০, ম্যাথিউস ৩১, চান্দিমাল ২, ধনাঞ্জয়া ১০২*, ডিকভেলা ৩৩, দিলরুয়ান ১৬*; আব্বাস ২৭-৯-৭২-১, শাহিন শাহ ২২-৭-৫৮-২, উসমান ১৫-৪-৫৪-১, নাসিম ২৭-৫-৯২-২, হারিস ৩-০-১২-০, মাসুদ ১-১-০-০, শফিক ২-০-৮-০)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৭০ ওভারে ২৫২/২ (মাসুদ ০, আবিদ ১০৯*, আজহার ৩৬, বাবর ১০২*; রাজিথা ৬-২-৫-১, বিশ্ব ১৩-১-৪৯-০, কুমারা ১৪-৪-৪৬-১, দিলরুয়ান ২৪-০-৮৫-০, ধনাঞ্জয়া ১১-০-৪৮-০, ওশাদা ১-০-৩-০, কুসল ১-০-১৪-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: আবিদ আলি