১০৫ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর টেস্ট অভিষেক হয়েছে আবিদের। সেই টেস্টেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন পঞ্চম দিনে এসে। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষেই এসেছে অনির্বচনীয় স্বাদ। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুটি সংস্করণে অভিষেকে সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনে রোববার এই কীর্তি গড়েন আবিদ। দিনের শেষ সেশনের শুরুর দিকে পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে দুই রান নিয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ৩২ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার নাম খোদাই হয়ে যায় ইতিহাসে।
গত মার্চে দুবাইয়ে অভিষেক ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আবিদ।
একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকে সেঞ্চুরি আছে আবিদসহ ১৫ জনের। টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরির স্বাদ আবিদকে দিয়ে পেলেন ১০৬ জন। কেবল আবিদের নামই আছে দুটি তালিকায়।
টি-টোয়েন্টি অভিষেকে সেঞ্চুরি আছে তিন জনের। তাদের কারও দেশ টেস্ট খেলার ধারেকাছে নেই। তিনজনের দুইজন টি-টোয়েন্টি ছাড়া অন্য কোনো সংস্করণ খেলেননি। একজন ওয়ানডে খেললেও করতে পারেননি সেঞ্চুরি।
দুটি সংস্করণে সেঞ্চুরির সবচেয়ে কাছে আগে যে দুইজন গিয়েছিলেন, তাদের কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেননি একটিতেও। প্রথম জন নিউ জিল্যান্ডের স্টিভেন ফ্লেমিং। ১৯৯৪ সালে টেস্ট অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ৯২ রানে আউট হওয়ার তিন দিন পর ওয়ানডে অভিষেকে আউট হয়েছিলেন ৯০ রানে। আরেকজন রিকি পন্টিং। ১৯৯৫ সালে টেস্ট অভিষেকে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন ৯৬ রানে। ২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে অপরাজিত ছিলেন ৯৮ রানে।