বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লাকে ২০ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে ঢাকা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানে থামে কুমিল্লা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের দুই ইনিংসেই প্রথম ভাগে দাপট দেখায় কুমিল্লা। আর শেষের গল্পটা পেরেরার। ব্যাট হাতে সাতটি চার ও এক ছক্কায় ১৭ বলে ৪২ রান করা লঙ্কান অলরাউন্ডার বল হাতে ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট।
রান তাড়ায় ৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান তোলে কুমিল্লা। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১১ ওভারে একশ রানের পথটা খুব কঠিন ছিল না। তবে ওয়াহাব রিয়াজ, শহীদ আফ্রিদি ও পেরেরার অভিজ্ঞতার কাছে হার মানে তারা।
দশম ওভারে ওয়াহাবের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন সৌম্য। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে আছে একটি ছক্কা।
দ্বাদশ ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই পর পর দুই বলে সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে বড় ধাক্কা দেন পেরেরা। আগের ম্যাচে কুমিল্লার জয়ের নায়ক শানাকা পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।
লম্বা সময় উইকেটে থাকলে ঝড় তুলতে পারেননি দাভিদ মালান। ৩৬ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান ওয়াহাবকে ওড়ানোর চেষ্টায়।
নিজের শেষ ওভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আবু হায়দার ও সানজামুল ইসলামকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূরণ করেন পেরেরা। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ওয়াহাব।
এর আগে ম্যাচের প্রথম বলেই এনামুল হককে এলবডিব্লিউ করে মুজিব উর রহমান। প্রথম ছয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ঢাকা তোলে মাত্র ২৮ রান।
পাওয়ার প্লেতে ১৫ বলে ৭ রান করা তামিম এরপরই হয়ে ওঠেন আক্রমণাত্মক। একাদশ ওভারে সানজামুল ইসলামকে হাঁকান চার-ছক্কা। অবশ্য সৌম্য ক্যাচ না ছাড়লে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ৪ রানেই।
পরে জীবন পেয়েছেন আরও একবার। ত্রয়োদশ ওভারে মালান বাউন্ডারিতে তার ক্যাচ নিলেও শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি। সেই ওভারেই ৪০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন দেশ সেরা ওপেনার।
তৃতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে লরি ইভান্সের ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন শানাকা। ২ চারে ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ইভান্স আউট হলেও ওই ওভার থেকে আসে মোট ১৫ রান। আবু হায়দারের করা পরের ওভারটা ছিল আরও খরুচে। বাঁহাতি পেসারকে চারটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান থিসারা।
নিজের শেষ ওভারে তামিমকে ফেরান শানাকা। ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন তামিম। পেরেরার তাণ্ডবে শেষ ৬ ওভারে আসে ৮৫ রান।
৩৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সেরা বোলার সৌম্য। ২ উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক শানাকাও। তবে তাকে গুনতে হয়েছে ৪৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৮০/৭ (এনামুল ০, তামিম ৭৪, মেহেদি ১২, ইভান্স ২৩, থিসারা ৪২*, আফ্রিদি ৪, ওয়াহাব ০, মাশরাফি ৯, হাসান; মুজিব ৪-০-১৫-১, আল আমিন ৪-০-২৯-০, আবু হায়দার ৩-০-২৯-১, শানাকা ৪-০-৪৮-২, সৌম্য ৪-০-৩৯-২, সানজামুল ১-০-১৫-০)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৬০/৯ (রাজাপাকসে ২৯, ইয়াসির ৩, সৌম্য ৩৫, মালান ৪০, সাব্বির ৪, শানাকা ০, মাহিদুল ৩৭, আবু হায়দার ০, সানজামুল ১, মুজিব ৪*, আল আমিন ২*; মাশরাফি ৩-০-২৭-১, মেহেদি ৪-০-২৮-১, শুভাগত ১-০-১৪-০, হাসান ২-০-১৭-০, ওয়াহাব ৩-০-১৬-২, আফ্রিদি ৩-০-২৪-০, থিসারা ৪-০-৩০-৫ )।
ফল: ঢাকা প্লাটুন ২০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: থিসারা পেরেরা