‘ছক্কার ট্রেনিং করি না’, ৯ ছক্কার পর বললেন শানাকা

ইনিংসের শেষ ৩ ওভারে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি ছক্কা। তার একটি চলে গেছে মাঠের বাইরে, সম্ভবত শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সবচেয়ে বড় ছক্কা। অথচ ছক্কার ট্রেনিংই নাকি খুব বেশি করেন না দাসুন শানাকা!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2019, 04:54 PM
Updated : 11 Dec 2019, 06:38 PM

বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের সবচেয়ে ঝড়ো ইনিংসটি খেলেন শানাকা। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক ছয়ে নেমে ৯ ছক্কায় করেন ৩১ বলে ৭৫ রান। তার দল উড়িয়ে দেয় রংপুর রেঞ্জার্সকে।

৯টি ছক্কাই শানাকা হাঁকান ইনিংসের শেষ ৩ ওভারে। প্রায় সবকটিই সীমানা পার হয় অনায়াসে। মুস্তাফিজুর রহমানকে মারেন টানা চার বলে ছক্কা। ম্যাচ শেষে লঙ্কান ক্রিকেটার জানালেন, অমন জোর কিভাবে এসেছে তার হাতে।

“পাওয়ার আসে ট্রেনিং থেকে। দেশে আমি কঠোর পরিশ্রম করি। এটা সেই পরিশ্রমেরই ফল।”

শানাকাকে দেখে যদিও বোঝা যায় না, তার গায়ে এত শক্তি, কবজিতে অমন জোর। ক্যারিবিয়ানদের মতো বিশালদেহী তিনি নন। নিজেও সেটি বললেন। জানালেন, টেকনিকই তার ছক্কা মারার মন্ত্র।

“ছক্কার ট্রেনিং খুব বেশি আমি করি না। আমি টেকনিক নিয়েই বেশি কাজ করি। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার টেকনিক ভালো ছিল না। এজন্য আমি এমন টেকনিক রপ্ত করেছি যেটা আমার ধেলার ধরনের সঙ্গে যায়।”

“শক্তিই সবকিছু নয়। টেকনিকও বড় ভূমিকা রাখে। আমি তো কৃশকায়। ছক্কার ক্ষেত্রে স্কিল ও টেকনিক বড় ভূমিকা রাখে।”

মুস্তাফিজকে মারা চার ছক্কার একটিতে শানাকা বল আছড়ে ফেলেন গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ছাদের শেষ মাথায়। এক ড্রপে বল যায় মাঠের বাইরে। তবে সেটিও তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ছক্কা নয়। মুস্তাফিজকে তুলোধুনো করার রহস্যও জানিয়ে দিলেন পরে।

“এর চেয়ে বড় ছক্কা আমি মেরেছি। তবে হ্যাঁ, ওই শট আমি উপভোগ করেছি।”

“আমি ওকে (মুস্তাফিজ) ৩-৪ বার খেলেছি। তাই জানতাম, ওর পরিকল্পনা কেমন হতে পারে। আমি অপেক্ষা করছিলাম ওর আলগা বলের জন্য।”