রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার ৫ উইকেটে ২০২ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিনে খেলা কম হয়েছে ২২.৫ ওভার। ৩৮ রানে ব্যাট করছেন দনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ১১ রানে নিরোশান ডিকভেলা।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানে কোনো টেস্ট ম্যাচ হয়নি। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই দেশটিতে ফিরল টেস্ট ক্রিকেট। আর রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট ফিরল প্রায় ১৫ বছর পর। এর আগে এখানে সবশেষ টেস্ট হয়েছিল ২০০৪ সালের এপ্রিলে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে সেই ম্যাচ ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান।
পিচে পেসারদের জন্য রয়েছে যথেষ্ট সুবিধা। কোনো স্পিনার নেই স্বাগতিক দলে, খেলছে চার পেসার নিয়ে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর কঠিন সময় আস্থার সঙ্গে পার করে দেন দুই লঙ্কান ওপেনার।
ত্রয়োদশ ওভারে উসমান শিনওয়ারির দারুণ এক ডেলিভারি দিমুথ করুনারত্নের স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেও বেল পড়েনি! ৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
দ্রুত কুসল মেন্ডিসকে ফেরান শিনওয়ারি। বছরের শুরুতে অধিনায়কত্ব হারানোর পর প্রথমবারের মতো দলে ফেরা দিনেশ চান্দিমালকে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মোহাম্মদ আব্বাস। বিনা উইকেটে ৯৬ থেকে শ্রীলঙ্কার স্কোর হয় ১২৭/৪।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ডি সিলভার ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে শ্রীলঙ্কা। ম্যাথিউসকে ফিরিয়ে ৬২ রানের জুটি ভাঙেন নাসিম। এটাই তাদের দিনের শেষ সাফল্য।
৫১ রানে ২ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার ১৬ বছর বয়সী নাসিম। চোট পেয়েছেন আরেক পেসার শাহিন। দ্বিতীয় দিন তার খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৬৮.১ ওভারে ২০২/৫ (করুনারত্নে ৫৯, ফার্নান্দো ৪০, কুসল ১০, ম্যাথিউস ৩১, চান্দিমাল ২, দনাঞ্জয়া ৩৮*, ডিকভেলা ১১*; আব্বাস ২০.১-৭-৫০-১, শাহিন ১৬-৬-৩৭-১, শিনওয়ারি ১৪-৪-৪৭-১, নাসিম ১৬-৪-৫১-২, হারিস ১-০-৯-০, মাসুদ ১-১-০-০)