দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মোসাদ্দেক। একটি করে ম্যাচে ব্যাট করেছেন চার ও পাঁচে। দুই ম্যাচে খেলেছেন ছয়ে, সবচেয়ে বেশি ছয় ম্যাচে নেমেছেন সাত নম্বরে। তিন ম্যাচে ব্যাট করেছেন আট নম্বরে। ২০.৩৩ গড়ে করেছেন ১৮৩ রান, নেই কোনো ফিফটি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৪।
বিপিএলে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ আসরে মোসাদ্দেক খেলেন ঢাকা ডায়নামাইটসে। তিন মৌসুমে খেলেন ৩৫ ম্যাচ, প্রায় সব ম্যাচেই ব্যাট করেছেন নিচের দিকে। গত মৌসুমে খেলেন চিটাগং ভাইকিংসে। ১২ ম্যাচে ২৫.৮৮ গড়ে করেন ২৩৩ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৩ রান করেছিলেন আটে নেমে।
বিপিএলে খেলা ৪১ ইনিংসে মোসাদ্দেকের ফিফটি কেবল একটি, অপরাজিত ৫৯। ২৩.৯০ গড়ে করেছেন ৭১৭ রান। উজ্জ্বল করতে চান নিজের রেকর্ড। সিলেটকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার ঠিক করে নিতে চান নিজের ব্যাটিং অর্ডার।
“ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি চার-পাঁচেই ব্যাটিং করার চেষ্টা করি। জাতীয় দলে এমন সুযোগ মেলেনি। বিপিএলে ভালো করলে কোচ-নির্বাচকরা হয়তো জাতীয় দলে উপরে ব্যাটিং করানোর বিষয়ে চিন্তা করবেন। বিপিএলে কোথায় ব্যাট করব, এখনো জানি না। কোচ-ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা হয়েছে, হয়তো চার বা পাঁচেই করব। এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। আমি মনে করি, নিজেকে এখানে দেখানোর সুযোগ আছে।”
কাগজে-কলমে যতটা দেখাচ্ছে সিলেট তার চেয়ে শক্তিশালী দল। দলে সামর্থ্য কিংবা অভিজ্ঞতার কোনো ঘাটতি দেখছেন না মোসাদ্দেক।
“আমরা ৩-৪ জন আছি যারা জাতীয় দলে বর্তমানে খেলছি। জাতীয় দলে ঢুকবে এমন কয়েকজনও আছে। এছাড়াও যারা আছে তারাও একসময় খেলেছেন। বিদেশিরাও নিজ দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়। তাই আমি মনে করি টুর্নামেন্টে লড়াই করার মত ভারসাম্যপূর্ণ দল আমরা।”
সিলেট থান্ডার স্কোয়াড:
দেশি: মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজী, রনি তালুকদার, নাঈম হাসান, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, রুবেল মিয়া,
বিদেশি: শেরফেইন রাদারফোর্ড, শফিকউল্লাহ শাফাক, নাভিন-উল-হক, জনসন চার্লস, জিবন মেন্ডিস