মাহমুদউল্লাহর ভাবনায় স্কিল হিটিং

আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততা নেই। এক দিন বাদে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। তবে মাহমুদউল্লাহর ভাবনায় ঘুরেফিরে আসছে জাতীয় দল ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। সেখানে ভালো করার রসদ বিপিএল থেকে নিতে চান অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। লক্ষ্য পূরণে মাহমুদউল্লাহর ভাবনায় স্কিল হিটিং ও ম্যাচ পরিকল্পনা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2019, 04:32 PM
Updated : 9 Dec 2019, 04:41 PM

সবশেষ ভারত সফরে টি-টোয়েন্টিতে সম্ভাবনা জাগিয়েও সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সে সিরিজে বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছিল বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের শক্তির ঘাটতি। তবে তা পুষিয়ে নেওয়া যেতে পারে স্কিল হিটিং দিয়ে। বড় দলগুলোর সঙ্গে পার্থক্য কমিয়ে আনা যেতে পারে খুব ভালো ম্যাচ পরিকল্পনায়। 

ভারতের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হাঁকিয়েছিলেন ৯ ছক্কা। অন্যদিকে, ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা একাই এক ইনিংসে ছয়বার উড়িয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছিলেন।

শারীরিক সামর্থ্যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বেশ পিছিয়ে। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, এই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব স্কিল হিটিংয়ে। একই সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক গেইম প্ল্যান।   

“আগেও একটা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, আমাদের স্কিল হিটিং যদি আরও ভালো করতে পারি এবং গেম প্ল্যান যদি ভালো হয়, তাহলে এই ফরম্যাটে আরও ভালো করব। আমি মনে করি, এই দুটি ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ।”

বিপিএলের প্রায় সব আসরে উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মিরপুরে মন্থর, টার্নিং উইকেটে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। এসব নিয়ে না ভেবে, উইকেট অনুযায়ী সেরা ক্রিকেট খেলার প্রস্তুতির তাগিদ দিলেন মাহমুদউল্লাহ।   

“আমার মনে হয়, এসব মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করাই ভালো। আপনি সবসময় ব্যাটিং বান্ধব উইকেট পাবেন না, ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন উইকেট থাকবে। আমি চিন্তা করব কিভাবে এই উইকেটে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। যদি আমি কঠিন উইকেটে ভালো করতে পারি সেটা আমাকে আত্মবিশ্বাস দেবে। একই সঙ্গে অন্যদেরও আত্মবিশ্বাস জোগাবে।”

প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতলেও ভারত সফরটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। দুটি টেস্টই হেরেছিল তিন দিনে, ইনিংস ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝ পথে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। পরে আর ব্যাটিংয়ে ফিরতে পারেননি তিনি।

সেই চোট থেকে ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। কদিন হলো দৌড় শুরু করেছেন, এখনও নিজের পূর্ণ গতিতে ছুটতে পারছেন না। সোমবার প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে নেন। মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ‘নক’ করেছেন। প্রথম ম্যাচে খেলছেন না নিশ্চিত, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে দলের প্রতিনিধি হয়ে কথা বলার সময় শোনালেন, কঠিন সময় পেছনে ফেলার প্রত্যয়। সাফ গেমসে সোনা জয়ী পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট দলকে জানালেন অভিনন্দন।

“সাম্প্রতিক সময়ে হয়তো আমরা খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারিনি…এসএ গেমসে নারী দলের অর্জনের জন্য ওদের অভিনন্দন জানাই। আমার মনে হয়, এটা অনেক বড় একটা অগ্রগতি আমদের নারী ক্রিকেটের জন্য। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অর্জনও আমাদের দেশের জন্য, ক্রিকেটের জন্য বড় অর্জন।”

“সামনে আমাদের অনেকগুলো সিরিজ আছে। ‘সিরিজ বাই সিরিজ’ চিন্তা করতে হবে যেন ভালো পারফরম্যান্সটা ফিরিয়ে আনতে পারি। ক্রিকেটে উত্থান-পতন থাকবেই। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে এবং আমরা দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করছি। এখন মাঠে যেন আমরা এর প্রতিফলন ঘটাতে পারি।”