জাতীয় লিগের ম্যাচে এই আরাফাত সানির গায়ে হাত তুলেই ২ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে শাহাদাতকে। ঘটনায় সানিরও কিছুটা দায় পাওয়া গেছে বলে তাকে দেওয়া হলো শাস্তি। আর শহীদ শাস্তি পেলেন ঘটনার সূত্রপাত তার হাত ধরেই হয়েছিল বলে।
স্থগিত নিষেধাজ্ঞার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমতে নিশ্চিত করেছেন টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, মাঠের পাশাপাশি দুজনের মাঠের বাইরের আচরণও থাকবে পর্যবেক্ষণে।
“শহীদ ও সানিকে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খুব সতর্কভাবে ওদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে এখন থেকে। একটা কথা স্পষ্ট করে দুজনকেই বলে দেওয়া হয়েছে, শুধু মাঠের ভেতরে নয়, তাদের মাঠের বাইরের আচরণও দেখা হবে গুরুত্ব দিয়ে। কোনো ধরনের বিতর্কিত কিছু ওদের আচরণে পেলেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।”
গত ১৭ নভেম্বর খুলনায় জাতীয় লিগের ম্যাচে বল ঘষে উজ্জ্বল করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সানিকে মাঠেই চড়-থাপ্পর মারেন শাহাদাত। সতীর্থরা একরকম জোর করে শাহাদাতকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। আচরণবিধি লেভেল ৪ ভঙ্গ করার দায়ে ম্যাচ রেফারি শেষ দুই দিনের জন্য ম্যাচ থেকে বহিষ্কার করেন শাহাদাতকে। পরে টেকনিক্যাল কমিটি বড় শাস্তি দেয় শাহাদাতকে।
এরপর ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদন থেকেই জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ছিল পেসার শহীদের হাত ধরে। তিনিই প্রথম ঝামেলা বাঁধিয়েছিলেন সানির সঙ্গে। সেটিরই শাস্তি পেলেন শহীদ। সানির ভূমিকা নিয়ে তখন প্রশ্ন ততটা ওঠেনি। তবে শুনানিতে ডাকার পর তারও দায় পাওয়া যায়।