লারার রেকর্ড ভাঙতে ওয়ার্নারের বাজি রোহিত

অ্যাডিলেইডে যেভাবে খেলছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, তাতে ব্রায়ান লারার রেকর্ড মনে হচ্ছিল হুমকির মুখে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দল ইনিংস ঘোষণা করায় অনেক আগেই থামতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে। তবে নিজে আপাতত না পারলেও টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটি ভাঙা সম্ভব বলেই মনে করেন ওয়ার্নার। আর তা করতে পারেন রোহিত শর্মা!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2019, 03:10 PM
Updated : 1 Dec 2019, 03:11 PM

২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এখনও সেটিই।

পাকিস্তানের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে লারার রেকর্ডের দিকেই ছুটছিলেন ওয়ার্নার। সময় ছিল পর্যাপ্ত, উইকেটে তাকে মনে হচ্ছিল অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সংস্কৃতিতে বরাবরই ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলকে প্রাধান্য দেওয়া হয় সবসময়ই। দলের জয়ের ভাবনাতেই ওয়ার্নারকে ৩৩৫ রানে রেখে ইনিংস ঘোষণা করে দেন অধিনায়ক টিম পেইন।

নিজে শেষ পর্যন্ত রেকর্ডের পানে ছুটতে না পারলেও সম্ভাব্য একজনকে সেই উচ্চতায় দেখতে পাচ্ছেন ওয়ার্নার। ওয়ানডে ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত অভাবনীয় অনেক কিছু উপহার দিয়েছেন রোহিত। খেলেছেন ২৬৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস, একাই করেছেন তিন-তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। ছাড়িয়ে গেছেন অনেকের কল্পনার সীমাকেও। টেস্ট ব্যাটসম্যান রোহিত এখনও সেই উচ্চতায় উঠতে পারেননি। তবে ওয়ার্নারের বাজি রোহিতই।

“আমাদের মাঠগুলোর সীমানা অনেক বড়, কখনও কখনও তাই কাজটা বেশ কঠিন। যখন ক্লান্তি পেয়ে বসে, তখন ভালোভাবে চেষ্টা করাও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত রান তোলার জন্য শেষ দিকে আমি চেষ্টা করছিলাম দৌড়ে ডাবল নিতে, কারণ মনেই হচ্ছিল না যে সীমানা ছাড়া করতে পারব।”

“আমি মনে করি একদিন এই রেকর্ডটা (ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান) ভাঙবে। যদি একজন ব্যাটসম্যানের নাম বলতেই হয়, আমার  মনে হয়, এটি হতে পারেন রোহিত শর্মা, অবশ্যই। ”

২০১৩ সালে টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরিতে রোহিতের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। তবে পরে পারফরম্যান্সে আসে ভাটার টান। দলে জায়গাও হারান। তবে গত অক্টোবরে আবার দলে ফিরিয়ে তাকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার পর ইঙ্গিত দিয়েছেন দারুণ কিছুর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির পর আরেক টেস্টে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টে অবশ্য ভালো করতে পারেননি।