অ্যাডিলেড ওভালে শুক্রবার ১ উইকেটে ৩০২ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার-লাবুশেনের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে এসেছে ২৯৪ রান। দিবা-রাত্রির টেস্টে যা যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
সিরিজের প্রথম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে ১৫৪ রান করা ওয়ার্নার এবার অপরাজিত আছেন ২২৮ বলে ১৯টি চারে ১৬৬ রানে। ব্রিজবেনে ১৮৫ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলা লাবুশেন অপরাজিত ২০৫ বলে ১৭টি চারে ১২৬ রান করে।
ব্রিজবেনে ইনিংস ব্যবধানে জয় পাওয়া দলের উপরেই আস্থা রাখে অস্ট্রেলিয়া। তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। বাদ পড়েছেন টপ-অর্ডার হারিস সোহেল, পেসার ইমরান খান ও ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া পেসার নাসিম শাহ। টপ-অর্ডারে ফিরেছেন ইমাম-উল হক, বোলিংয়ে মোহাম্মাদ আব্বাস। অভিষেক হয়েছে ১৯ বছর বয়সী তরুণ পেসার মোহাম্মাদ মুসার।
ব্যাটিংয়ে এসে প্রথম বলেই শাহিনের বলে পরাস্থ হন লাবুশেন। কিন্তু বোলারের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাকি সময়ে বোলারদের কোন সুযোগই দেয়নি ওয়ার্নার-লাবুশেন জুটি।
শুরুতে দুজনই ছিলেন সাবধানী, সময় গড়ানোর সাথে সাথে উইকেটে মানিয়ে নেন দারুনভাবে।
৭৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করা ওয়ার্নার ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৫৬ বলে, ইয়াসির শাহকে ব্যাকওয়ার্ডে ঠেলে দিয়ে।
১০৬ বলে ফিফটি করা লাবুশেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৬৯ বলে।
দিনের শেষ দিকে এসেছিল লাবুশেনকে রান আউট করার সুযোগ। কিন্তু ইমামুলের থ্রো উইকেটকিপার নাগাল পাননি।
১৩ ওভারে ৭১ রান দিয়েছেন অভিষিক্ত মুসা। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ ১৪ ওভারে দিয়েছেন ৮৭ রান। ১৮ ওভারে ৪৮ রানে একমাত্র উইকেটটি নেন শাহিন।
বৃষ্টি আঘাত হানে ২২ ওভার শেষে। খেলা বন্ধ ছিল প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা। প্রথম দিনে ১৭ ওভারের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হবে একটু আগে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৭৩ ওভারে ৩০২/১ (ওয়ার্নার ১৬৬*, বার্নস ৪, লাবুশেন ১২৬*; আব্বাস ১৯-৬-৫৬-০, আফ্রিদি ১৮-৪৮-১, মুসা ১৩-১-৭১-০, ইয়াসির ১৪-০-৮৭-০, ইফতিখার ৮-০-৩০-০, আজহার ১-০-৯-০)