হ্যামিল্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৫৪.৩ ওভার। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান। ১০১ রানে অপরাজিত আছেন ল্যাথাম। সঙ্গী হেনরি নিকোলসের সংগ্রহ ৫ রান।
পেস সহায়ক কন্ডিশনে পাঁচ পেসার নিয়ে একাদশ সাজায় ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকসকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েন বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে সবশেষ কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছিল ইংলিশরা।
চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া জস বাটলারের জায়গায় ইংল্যান্ড দলে অভিষেক হয় ডানহাতি ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রুলির। নিউ জিল্যান্ড দলে চোটে পড়া কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের জায়গায় অভিষেক হয় আরেক অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেলের।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া ইংলিশরা শুরুতেই ফেরায় ওপেনার জিত রাভালকে। ৫ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে স্লিপে জো রুটের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এক প্রান্তে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে থাকা ল্যাথামকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন। ওকসের বলে স্লিপে রুটের হাতে ধরা পড়েন কিউই অধিনায়ক।
লাঞ্চের আগে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি ল্যাথাম ও রস টেইলর। তৃতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন দুই ব্যাটসম্যান।
ওকসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটিতে পৌঁছানোর পরের বলেই স্লিপে রুটের হাতে ধরা পড়েন টেইলর। ভাঙে ১১৬ রানের জুটি।
চা বিরতির আগের ওভারে রুটকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ল্যাথাম। ১৫৯ বলে ১৫টি চারে ইনিংস সাজান বাঁহাতি ওপেনার। টেস্টে শেষ দশ ইনিংসে এটি তার পঞ্চম শতরান।
তৃতীয় সেশনে মাত্র তিন বল হওয়ার পরই বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৪.৩ ওভারে ১৭৩/৩ (রাভাল ৫, ল্যাথাম ১০১*, উইলিয়ামসন ৪, টেইলর ৫৩, নিকোলস ৫*; ব্রড ১৪-৫-৩৩-১, আর্চার ১৩.৩-৩-৩১-০, ওকস ১৪-১-৪১-২, কারান ৯-২-১১-০, রুট ২-০-১১-০, স্টোকস ২-০-১৪-০)