ভারত সফরে দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফল হয়েছে তিন দিনে। সফরকারীরা দেখাতে পারেনি চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা, লড়াইয়ের মানসিকতা। আর এই জায়গাতেই সবার আগে কাজ করার প্রয়োজন দেখছেন মুমিনুল।
“মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে সবারই। লড়াই করার মানসিকতা দেখাতে হবে। আপনারা একটু অপেক্ষা করুন, একটু সময় দিন, ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।”
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলের বিপক্ষে খেলে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ। শিখেছে অনেক কিছু। এই সিরিজ থেকে পাওয়া শিক্ষা পরের সিরিজে কাজে লাগানোর দিকে তাকিয়ে আছেন অধিনায়ক।
“এই সিরিজ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই বোলারদের বিপক্ষে কিভাবে খেলবেন। এই মানের বোলারদের সামলাতে পরবর্তীতে কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন। দল হিসেবে আমার মনে হয়, সবাই এই শিক্ষাটা নেবে। পরের সিরিজে যা অনেক বেশি কাজে দিবে।”
“কিভাবে পেস বলের চ্যালেঞ্জ নেওয়া যায়। ‘সেশন বাই সেশন’ কিভাবে খেলতে হয়। গোলাপি বলে কিভাবে খেলতে হবে, সেই শিক্ষা হয়েছে। নতুন গোলাপি বল সামলানো কঠিন, এই অভিজ্ঞতা সামনে কাজে দেবে।”
ভারতীয় পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের অনেক ব্যাটসম্যানের টেকনিকের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। অধিনায়ক চান, সবাই নিজের মতো করে নিজের সমস্যা সমাধানের কাজ করুক। এমনকি সেটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলার সময়ও।
“আমার চোখে টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। তবে টেকনিকের তো উন্নতির শেষ নেই। আমার মনে হয়, সবার উন্নতির চেষ্টা করতে হবে। আমাদের সবার টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল উন্নতির চেষ্টা করতে হবে।”
“ভারতীয় পেসারদের ভয় পায়নি আমাদের কোনো ব্যাটসম্যান। ভয় পেলে এই পর্যায়ে খেলা কঠিন। সবাই নিজের মতো করেই খেলেছে। এখানে হয়তো সংগ্রাম করেছে। আর সংগ্রাম মানুষকে পরিপূর্ণ করে। এমন কঠিন সময় অনেক আসবে, হতাশ না হয়ে আপনি কি শিখলেন সেটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার খেলোয়াড়রা এভাবেই চিন্তা করে।”