ব্রিজবেনে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ইনিংস ও ৫ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান গুটিয়ে গেছে ৩৩৫ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া বাবর করেন ১০৪ রান, রিজওয়ান ৯৫।
৩ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করা পাকিস্তান প্রথম ঘন্টাতেই খায় বড় ধাক্কা। ব্যক্তিগত ৪২ রানে প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আগের দিন অপরাজিত থাকা ওপেনার শান মাসুদ। পরের ওভারে জশ হেইজেলউড ফিরিয়ে দেন নতুন ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমদেকে। দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই নেই পাঁচ উইকেট।
বাবর ও রিজওয়ানের জুটিতে সেই বিপর্যয় সামাল দেয় পাকিস্তান। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ১৩২ রান। কামিন্সের বলে চার মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান বাবর। বিদেশের মাটিতে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি।
এরপর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১০৪ রানে নাথান লায়নের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তার ১৭৩ বলের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার।
সপ্তম উইকেটে ইয়াসিরকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু তিন অংক থেকে মাত্র পাঁচ রান দূরে দাঁড়িয়ে হেইজেলউডের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন। তার ইনিংসে চার ছিল ১০টি।
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে এরপর দলকে আরও খানিকটা টানেন ইয়াসির। তবে সেই প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টেকেনি। নতুন বল হাতে পেয়েই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা।
নিজের টানা দুই ওভারে ৪২ রান করা ইয়াসির ও ১০ রান করা আফ্রিদিকে ফেরান হেইজেলউড। ইমরান খানকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক।
২১ ওভারে ৬৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার হেইজেলউড। ৭৩ রান দিয়ে স্টার্ক পেয়েছেন ৩ উইকেট।
দলের একমাত্র ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ১৮৫ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন মারনাস লাবুশেন।
দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। আগামী শুক্রবার অ্যাডিলেইডে দিবা-রাত্রির টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৪০
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৫৮০
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৬৪/৩) ৮৪.২ ওভারে ৩৩৫ (মাসুদ ৪২, আজহার ৫, হারিস ৮, আসাদ ০, বাবর ১০৪, ইফতিখার ০, রিজওয়ান ৯৫, ইয়াসির ৪২, শাহিন শাহ ১০, ইমরান ৫, নাসিম ০*; স্টার্ক ১৬.২-১-৭৩-৩, কামিন্স ২১-৬-৬৯-২, হেইজেলউড ২১-৩-৬৩-৪, লায়ন ২১-৩-৭৪-১, লাবুশেন ৫-০-৩৮-০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ৫ রানে জয়ী।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ: মারনাস লাবুশেন।