কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শুক্রবার মোহাম্মদ শামির বাউন্সার ছোবল দেয় লিটন ও নাঈমের হেলমেটে। দুজনই ছিটকে গেছেন ম্যাচ থেকে। নামানো হয়েছে ‘কনকাশন সাব’। শনিবার মিঠুনের হেলমেটে লাগে ইশান্তের বাউন্সার। পরে উমেশ যাদবের বাউন্সার লাগে মুশফিকের হেলমেটে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা টেকনিকের জন্য বল ঠিকঠাক ছাড়তে পারছেন না, নাকি গোলাপি রংয়ের জন্য বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে, জানতে চাওয়া হয়েছিল পুজারার কাছে। প্রথম দিন ফ্লাড লাইট জ্বালার পর ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে ভারতের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মনে করছেন, দায়টা গোলাপি বলের।
“আমার মনে হয় না, ওদের টেকনিকে কোনো ভুল আছে। এটা গোলাপি বলের জন্য হতে পারে। ফ্লাড লাইট জ্বলার পর অনেক বেশি সুইং করে। বাউন্সও আছে বেশ। আমাদের যে পেসার আছে তারা যে গতিতে বল করে, যেখান থেকে বাউন্স করায় এই বলে সেটা দেখাটা বেশ কঠিন।”
বাংলাদেশের পেসার আল আমিন হোসেন অবশ্য হেলমেটে বল লাগাকে বড় করে দেখতে রাজি নন। তার মতে, যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে এটা হতে পারে।
“আমি যখন ব্যাটিং করেছি তখন বল দেখতে সমস্যা হয়নি। আবার আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও টেকনিকে কোনো সমস্যা নেই। এটা যে কোনো দলের ক্ষেত্রে হতে পারে। ক্রিকেট খেলতে গেলে হেলমেটে বল লাগতেই পারে।”
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় খারাপ কিছু ধরা পড়েনি লিটন ও নাঈমের। বিশ্রামে আছেন তারা। মিঠুন ও মুশফিকের কনকাশনের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।