বোলিংয়ে অধারাবাহিক, ব্যাটিংয়ে নেই আত্মবিশ্বাস

প্রতিপক্ষের ঠিক উল্টো অবস্থানে বাংলাদেশ। ভারতের ইতিহাসে সেরা সময় কাটাচ্ছে তাদের পেস আক্রমণ। স্পিনাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন ঠিকঠাক। কম যাচ্ছেন না ব্যাটসম্যানরাও। এসবের যোগফলে দেশের মাটিতে প্রায় অজেয় হয়ে উঠেছে বিরাট কোহলির দল। অন্যদিকে, বাংলাদেশ খুঁজে ফিরছে আলোর রেখা। ধারাবাহিকতার বড্ড অভাব বোলারদের, ব্যাটসম্যানদের নেই আত্মবিশ্বাস।

ক্রীড়া প্রতিবেদককলকাতা থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2019, 06:43 PM
Updated : 22 Nov 2019, 07:41 PM

ভারতের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাই বলে দেয় তারা কতটা আত্মবিশ্বাসী। কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন, সেই প্রতিযোগিতায় যেন ব্যস্ত। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান আছেন আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা এগারোর মধ্যে। ভারতের পুরো বোলিং আক্রমণ জায়গা করে নিয়েছে সেরা ২২-এর মধ্যে।

মাঠে তাদের পারফরম্যান্সেরই ছাপ পড়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। বাংলাদেশ সেখানে ধুঁকছে। ভারতের বিপক্ষে প্রকট হয়ে ফুটে উঠেছে মুমিনুল হকদের দুর্বলতা। কলকাতা টেস্টের প্রথম দিন তুলনামূলক ভালো করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তবে তাদেরকে ধারাবাহিক মনে হয়নি প্রধান কোচ ডমিঙ্গোর।

“বোলিংয়ে আমরা অধারাবাহিক ছিলাম। সন্ধ্যায় বল যথেষ্ট কাজ করেছে, কিন্তু আমরা ধারাবাহিক ছিলাম না। আমরা তিন কিংবা চারটি বল ঠিক জায়গায় করেছি, কিন্তু একটা লেগে দিয়েছি কিংবা খুব বেশি শর্ট করেছি। এটাই দুই দলের বোলিংয়ের পার্থক্য।”

দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচটি ইনিংস দেখেছেন ডমিঙ্গো। এই পর্যবেক্ষণ থেকে তার উপলব্ধি আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে ব্যাটসম্যানদের।

“আমাদের ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে সংগ্রাম করছে। প্রথমত এটা ৩০ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার মতো উইকেট ছিল না। কোনো সন্দেহ নেই আমরা যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং করিনি।”

“ওদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে। এই ধরনের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলার দিক থেকে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। এটা মানসিক, টেকনিক্যাল ও আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। আমরা বিশ্ব মানের কয়েকজন বোলারদের মুখোমুখি হয়ে পেরে উঠছি না। এই মুহূর্তে আমাদের অনেক কিছুর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে।”

কলকাতা টেস্টের প্রথম দিন ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে দিন শেষে ৬৮ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত।