ইডেনের উইকেট, আউটফিল্ড ভারতের সেরাগুলোর একটি। প্রথাগত উইকেট বদলে ফেলা হয়েছে তিন বছর আগে। প্রথম তিন দিন রাজত্ব করবেন ব্যাটসম্যান এরপর সহায়তা পাবেনে স্পিনাররা, এই চিত্রটা এখন আর নেই। উইকেট এখন বেশ শক্ত, ঘাস আছে যথেষ্ট। এতোটাই যে পাশের আউটফিল্ড থেকে আলাদা করাই কঠিন।
সুজন ঘাস রাখার কথা বললেও দেখা গেল আগের দুই দিনের চেয়ে উইকেটে ঘাস বেশ কম। আরও কাটার জন্য যথেষ্ট সময় এখনও আছে।
মাঠের প্রধান কিউরেটরের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে কথা বলতে দেখা গেল সৌরভ গাঙ্গুলিকে। নিজে কিছুক্ষণ উইকেট দেখলেন এরপর আরেক দফা কথা বলে ফিরে গেলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি।
গাঙ্গুলির সঙ্গে কি কথা হয়েছে, ঠিক জানা গেল না সুজনের কাছ থেকে। তবে উইকেট নিয়ে বললেন অনেকটা সময় নিয়েই।
“গোলাপি বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা তো কোনো প্রস্তুতি হয় না। একই রকম প্রস্তুতি। গোলাপি বলে যারা খেলেছে তাদের থেকে শুনেছি উইকেটে একটু ঘাস থাকলে ভালো হয়, উইকেট একটু শক্ত থাকলে ভালো হয়। আর আউটফিল্ডে ঘাস কম রাখলে ভালো হয়। এর বেশি কিছুর প্রস্তুতি নেই।”
“আমি স্থানীয় একটি ম্যাচ গোলাপি বলে করিয়েছিলাম। সেটা ছিল কোকাবুরা বল। আর এটা হবে এসজি বলে। সুতরাং বলের তফাত হবে। মাঠের বা উইকেটের চরিত্র মনে হয় না বদলাবে।”
এই মুহূর্তে উইকেটে যে ঘাস আছে তাতে বোলারদের জন্য খুব একটা বাড়তি সুবিধা দেখছেন না সুজন। ৪০ বছর ক্রিকেটের সঙ্গে কাটিয়ে ইডেনের প্রধান কিউরেটর আশাবাদী, উইকেট থেকে সুবিধা পাবেন সবাই।
“আমার উইকেট স্পোর্টিং হয়। তিন বছর ধরে এখানে সবার জন্য সহযোগিতা থাকে। সেরকম উইকেটই বানিয়েছি যাতে সবার জন্য কিছু থাকে।”
“গত কয়েক বছর ধরে আইপিএলে কেমন উইকেট হয়, আপনারা দেখেন তো। সেরকমই হবে। গোলাপি বলের জন্য আলাদা কিছু নেই।”
দুলীপ ট্রফির দিবা-রাত্রির ম্যাচ হয় কোকাবুরার গোলাপি বলে। সেই বলে আচরণ জানা আছে সুজনের। তবে কলকাতা টেস্টে এসজির গোলাপি বল কেমন আচরণ করবে, নিশ্চিত নন তিনি।
“কোকাবুরা অনেক বেশি মুভমেন্ট করেছিল। এটা কেমন হবে ধারণা নেই।”
শিশিরের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে রাত আটটার পর খেলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মাঠে কিউরেটর মনে করেন, যে পরিমাণ শিশির পড়ে সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
“আমি সাতটা-সাড়ে সাতটা অবধি দুই তিন দিন ছিলাম তাতে যে পরিমাণ শিশির পড়েছে তাতে মনে হয়েছে নেগোশিয়েবল। কাল পর্যন্ত দেখেছি অতখানি শিশির নেই। আমরা এন্টিডিউ স্প্রে করছি যাতে শিশির তাড়াতাড়ি নিচে নেমে যায়।”