যুব ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ এ জিতল স্বাগতিকরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ৫০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। জবাবে ৪৪.৪ ওভারে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
চারে নেমে ১০২ বলে ১১১ রান করেন হৃদয়। যুব ওয়ানডেতে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। আর একটি সেঞ্চুরি করলে ছুঁয়ে ফেলবেন তালিকার শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের সামি আসলামকে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ছয়টি সেঞ্চুরি করেছিলেন জাতীয় দলের হয়ে ১৩টি টেস্ট ও ৪টি ওয়ানডে খেলা এই ওপেনার।
দেশের হয়ে যুব ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি করে সেঞ্চুরি আছে এনামুল হক বিজয় ও হৃদয়ের সতীর্থ মাহমুদুল হাসান জয়ের।
এই চার ম্যাচে হৃদয় ২১৫.৫০ গড়ে করেছেন ৪৩১ রান। প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত ৮২ ও ১২৩ রানের পর তৃতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন ১১৫ রানের ইনিংস।
সিরিজ জুড়ে আলো ছড়িয়ে হৃদয় গড়েছেন আরও এক রেকর্ড। যুব ওয়ানডেতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বর্ষপঞ্জিকায় গড়েছেন হাজার রান। এই সময়ে ২০ ইনিংসে ৭৭.১৩ গড়ে করেছেন ১০০১ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই প্রিতম কুমারকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫৮ রানে সাজিদ হোসেন ফেরার পর ক্রিজে নামেন হৃদয়। গড়েন প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি।
৭৭ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রানে ফেরেন নাবিল।
চতুর্থ উইকেটে পারভেজ হোসেনকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন হৃদয়। ৩৮ রান করে পারভেজ ফিরলে ভাঙে ১০০ রানের জুটি।
শেষ ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে হৃদয় তার দারুণ ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ৫ ছক্কায়। ১২ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অভিষেক দাস।
৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় সফরকারীরা। মোহাম্মদ সামাজের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে জুটি ভাঙেন শামিম হোসেন।
এই জুটির আরেক ব্যাটসম্যান রাভিন্দু রাসান্থা যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ ম্যাচে ছিল সফরকারীরা। ৯২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফেরান স্পিনার হাসান মোরাদ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। চার জন ব্যাটসম্যান হন রান আউট।
২টি করে উইকেট নেন শাহিন আলম ও হাসান মোরাদ।
জয়হীন থেকে দেশে ফিরছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে যুব টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচই ড্র হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৫০ ওভারে ২৮৩/৭ (প্রিতম ১, সাজিদ ২১, নাবিল ৬৫, হৃদয় ১১১, পারভেজ ৩৮, শামীম ১, আকবর ২, অভিষেক ২৪*, আশরাফুল ০*; রদ্রিগো ১০-১-৫৭-১, চামিন্দু ৭-০-৪৮-১, রোহান ১০-০-৫৭-২, অভিশকা ৩-০-২১-১), আমশি ৮-০-৫৫-২, পারানাভিথানা ৪-০-২৮-১, কাভিন্দু ১০-০-৪৮-১)
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৪.৪ ওভারে ২৩৩ (রাভিন্দু ৮৪, সামাজ ৪০, অভিশকা ৩০, রোহান ২৭; শাহিন ৮-০-৪৬-২, অভিষেক ৭-০-৩৭-১, মোরাদ ১০-০-৪৭-২, শামিম ৫.৪-০-৪১-১, আশরাফুল ১০-০-৩৭-০, নাবিল ২-০-১১-০, হৃদয় ২-০-১৩-০)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫০ রানে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৪-০ তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: তৌহিদ হৃদয়
ম্যান অব দা সিরিজ: তৌহিদ হৃদয়