যুব ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ এ এগিয়ে গেল যুবারা। প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তোলে ২৬০ রান। ১৬ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১২০ বলে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। যুব ওয়ানডেতে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি।
আগের ম্যাচে অপরাজিত ১২৩ রান করে সেঞ্চুরির রেকর্ডে এনামুল হক বিজয় ও মাহমুদুল হাসান জয়ের পাশে বসেছিলেন হৃদয়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত ৮২ রান।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে বাংলাদেশ ৩৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নামেন হৃদয়। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম বিদায় নেন দলীয় ৬৯ রানে।
চতুর্থ উইকেটে শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা কাটান হৃদয়। আর পঞ্চম উইকেটে আকবরের সঙ্গে গড়েন ১১০ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। হৃদয় যখন আউট হন জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল ২০ রান।
সিরিজে এবারই প্রথম আউট হলেন হৃদয়। তিন ম্যাচে তার মোট রান ৩২০। অপরাজিত ৬৬ রানের পথে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন আকবর।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ ওভারে ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত শুরু করে লঙ্কানরা। টানা দুই বলে দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরান ১৭ বছর বয়সী পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা।
তাদের ইনিংসে ফিফটি নেই একটিও। তবে সবার ছোট ছোট ইনিংসে আড়াইশ ছাড়ায় লঙ্কানরা। ৫২ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন গামাগে দিনুশা।
৫৪ রানে ৩ উইকেট নেন তানজিম। শ্রীলঙ্কার দুজন হন রান আউট।
একই মাঠে মঙ্গলবার হবে সিরিজের শেষ ম্যাচটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৫০ ওভারে ২৬০/৭ (পারানাভিথানা ৩১, আভিশকা ৩৪, সামাজ ৩৭, রাভিন্দু ২৫, নিপুন ২৭, গামাগে ৪৩*, চামিন্দু ২৯; তানজিম ১০-০-৫৪-৩, শরিফুল ১০-০-৫৮-০, শামিম ১০-০-৫৯-১, রকিবুল ১০-০-৪৩-১, আশরাফুল ১০-০-৪১-০)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৭.২ ওভারে ২৬৫/৫ (তানজিদ ২৬, সাজিদ ৩, মাহমুদুল ১৪, হৃদয়, শাহাদাত ২৩, আকবর ৬৬*, শামীম ১১*; আমশি ৮-০-৫৫-২, পারানাভিথানা ৪-০-২৮-১, কাভিন্দু ১০-০-৪৮-১)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৩-০ তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: তৌহিদ হৃদয়