জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে প্রথম দিন চার ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হওয়ার পরও ৭ উইকেটে ২৭৩ রান তুলেছে ঢাকা। শুভাগত হোম ৫৬ ও নাজমুল ইসলাম ৫ রানে ব্যাট করছেন।
শেষ বিকেলে বেশ বড় এক ধাক্কা খায় খুলনা। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তাদের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও হালিম।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে বোলিং নেওয়া স্বাগতিকরা দিনের শুরুতেই সাফল্য পায়। ইনিংসে দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে উত্তম সরকারকে এলবিডব্লিউ করেন হালিম। পরের বলে বোল্ড করেন অভিষিক্ত শফিউল হায়াতকে।
রকিবুল হাসানের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ। রকিবুলকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে ২০০ উইকেটের মাইলফল স্পর্শ করেন অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান।
চতুর্থ উইকেটে তাইবুর-মজিদের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। ১৭৪ বলে ৬ চারে ৬৬ রান করা মজিদকে বোল্ড করে ১২৯ রানের জুটি ভাঙেন হালিম।
পঞ্চম উইকেটে তাইবুর ও শুভাগত হোমের ৭৪ রানের জুটিতে আবারও বড় সংগ্রহের আশা জাগায় ঢাকা। তবে এক ওভারে জোড়া আঘাতে খুলনাকে আবার লড়াইয়ে ফেরান হালিম। সেঞ্চুরিয়ান তাইবুরকে বোল্ড করার তিন বল পর এলবিডব্লিউ করেন আরাফাত সানিকে। পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেটের কোটা।
২৮ বছর বয়সী তাইবুর ১৮৯ বলে ১১০ রানের ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়।
শেষ দিকে মাহবুবুল আলমকে শূন্য রানে ফেরান জিয়াউর।
চোটে মাঠ ছাড়ার আগে ১৬.১ ওভারে ২৭ রানে ৫ উইকেট নেন হালিম। অভিষিক্ত বাঁ-হাতি তরুণ স্পিনার টিপু সুলতান ৫৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
শীর্ষে থাকা খুলনার চেয়ে ৫.৮৬ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা ঢাকাকে শিরোপা ঘরে তুলতে এই ম্যাচ জিততেই হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৭৩/৭ (মজিদ ৬৬, উত্তম ০, শফিউল ০, রকিবুল ২৪, তাইবুর ১১০, শুভাগত ৫৬*, আরাফাত সানি জুনিয়র ০, মাহবুবুল ০; রুবেল ১৫.৫-১-৪৭-০, হালিম ১৬.১-৭-২৭-৫, টিপু ১৬-১-৫৭-০, জিয়াউর ৮-১-২০-২, নাহিদুল ২১.৫-১-৭২-০, রবিউল ৩-০-১৪-০, মইনুল ৯-১-২৬-০, এনামুল ০.১-০-০-০)