রুহেলের তোপে প্রথম দিনেই লিড সিলেটের

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা রুহেল মিয়া করলেন আগুনে বোলিং। চট্টগ্রামের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়লেন ইতিহাস। তার এমন কীর্তি গড়া ম্যাচে প্রথম দিনেই দলকে লিড এনে দিয়েছেন সিলেটের ব্যাটসম্যানরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2019, 12:19 PM
Updated : 16 Nov 2019, 02:22 PM

১৮ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসারের তোপে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম দিনে ১০৬ রানে গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম। ৫ উইকেটে ১৮৬ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। পাঁচ উইকেট হাতে রেখে তাদের লিড ৮০ রানের। আসাদুল্লাহ গালিব ২৮ ও রাহাতুল ফেরদৌস অপরাজিত আছেন ৮ রানে।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শনিবার মাত্র ২৬ রানে ৮ উইকেট নেন রুহেল। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো পেসারের এটিই সেরা বোলিং ফিগার। রুহেল ভেঙেছেন সাত বছর আগে গড়া তালহা জুবায়েরের রেকর্ড। ২০১২ সালে রংপুরের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর পেসার তালহা ৩৫ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ইমরান আলির বলে এলবিডব্লিউ হন ওপেনার সাদিকুর রহমান।

চতুর্থ ওভারে পিনাক ঘোষকে ফিরিয়ে শিকার শুরু করেন রুহেল। নিজের পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন আলভি হককে।

তাসামুল হক ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছিল চট্টগ্রাম। ২১ রান করা ইরফানকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন রেজাউর রহমান।

এরপর পুরোটাই রুহেলের দাপটের গল্প। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ২১ রান করা তাসামুলকে ফেরান তিনি। লাঞ্চ বিরতির পর হয়ে ওঠেন আরও বিধ্বংসী। এক ওভারেই তুলে নেন সাজ্জাদুল হক ও মাসুম খানের উইকেট। পরের ওভারে আবারও জোড়া আঘাত। এবার টানা দুই বলে ফেরান ইফরান হোসেন ও রনি চৌধুরীকে।

নোমান চৌধুরীকে নিয়ে শেষ উইকেটে দলকে খানিকক্ষণ টানেন শাখাওয়াত হোসেন। ব্যক্তিগত ১১ রানে তিনিও বোল্ড হন রুহেলের বলে। দ্বিতীয় স্পেলে ৬.১ ওভারে ১১ রান খরচায় রুহেল পান ৬ উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটকে এরপর কঠিন সময় উপহার দেন চট্টগ্রামের পেসার ইফরান হোসেন। ৭৩ রানের মধ্যেই ফেরেন প্রথম তিন ব্যাটসম্যান, তিন জনই ইফরানের শিকার।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অমিত হাসানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক অলক কাপালী। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৬৩ রান।

থিতু হওয়া এই জুটিও ভাঙেন ইফরান। ফেরান ৬৩ বলে ৫৫ রান করা অমিতকে। গালিবের সাথে ৩৩ রানের আরেকটি জুটি গড়া কাপালীকে ৪১ রানে ফেরান সাজ্জাদুল হক।

শেষ বিকেলের বাকিটা সময় নিরাপদে পার করেছেন গালিব ও রাহাতুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩৫.১ ওভারে ১০৬ (সাদিকুর ০, পিনাক ৪, আলভি ৭, তাসামুল ২১, ইরফান ২১, সাজ্জাদুল ১৪, মাসুম ২, ইফরান ৪, শাখাওয়াত ১১, রনি ০, নোমান ১০*; ইমরান ৮-১-২০-১, রুহেল ১৪.১-৪-২৬-৮, রেজাউর ১১-১-৪২-১, এনামুল জুনিয়র ২-০-১০-০)

সিলেট ১ম ইনিংস: ৪৮ ওভারে ১৮৬/৫ (ইমতিয়াজ ১৫, শানাজ ২১, তৌফিক ৬, অমিত ৫৫, অলক ৪১, গালিব ২৮*, রাহাতুল ৮*; ইফরান ১৪-১-৭৬-৪, নোমান ১০-২-৪৬-০, মাসুম ৫-০-২২-০, রনি ৭-২-১২-০, সাজ্জাদুল ৭-২-১৩-১, শাখাওয়াত ৫-১-১১-০)