বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের পর দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে হংকংকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
বিকেএসপিতে হংকংকে ১৬৪ রানে থামিয়ে বাংলাদেশ জিতে যায় ২৪.১ ওভারেই।
৭৪ বলে ৯টি চার ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ৮৪ রান করেন সৌম্য। আরেক ওপেনার নাঈম কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ৮ চারে ৫২ করেছেন সমান বলে।
দুজনের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১৫.২ ওভারে ৯৪ রান। নাঈমের বিদায়ের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন সৌম্য। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা শান্ত অপরাজিত থাকেন ২২ রানে।
ব্যাটসম্যানদের কাজটা ম্যাচের প্রথম ভাগেই সহজ করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলারা। জাতীয় লিগের দারুণ পারফরম্যান্স ইমার্জিং দলেও বয়ে এনেছেন তরুণ পেসার সুমন খান। ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার এই ১৯ বছর বয়সী পেসার।
হংকং নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারালেও খেলেছে পুরো ৫০ ওভার। শেষ দুই উইকেটে নিয়ে তারা ব্যাটিং করে ৯.১ ওভার।
হংকংয়ের ইনিংসে ফিফটি জুটি ছিল কেবল একটি। ষষ্ঠ উইকেটে হারুন আরশাদ ও আইজাজ খান যোগ করেন ৫১ রান।
এই জুটি ভেঙেছেন মেহেদি হাসান। ১০ ওভারে মাত্র ২৩ রানের খরচায় ২ উইকেট নেন এই অফ স্পিনার।
হংকংয়ের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৫ রান হারুনের।
নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন তরুণ ডানহাতি মিডিয়াম পেসার হাসান মাহমুদ। ১০ ওভারে চার মেডেনসহ মাত্র ১৬ রানে তিনি নেন ১ উইকেট।
ভারত সফরে থেকে ফেরা লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম হাতে চোট পেয়ে বোলিং করতে পারেননি তিন ওভারের বেশি।
একই গ্রুপে কক্সবাজারে দিনের আরেক ম্যাচে আফগানস্তানকে ৮ উইকেটে হারায় পাকিস্তান।
শনিবার নিজেদের পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
‘এ’ গ্রুপে বড় চমক দেখিয়েছে ওমান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৪ উইকেটে।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
হংকং ইমার্জিং: ৫০ ওভারে ১৬৪/৯ (হারুন ৩৫, আইজাজ ২৫, কিঞ্চিত ২৪, ওয়াজিদ ১৭; হাসান ১০-৪-১৬-১, সুমন ১০-০-৩৩-৪, সৌম্য ১০-২-৩৬-০, মেহেদি ১০-১-২৩-২, আমিনুল ৩-০-৪-০, আফিফ ৭-০-৪১-১)
বাংলাদেশ ইমার্জিং : ২৪.১ ওভারে ১৬৮/১ (নাঈম ৫২, সৌম্য ৮৪*, শান্ত ২২*; আইজাজ ৩-০-২৫-০, মহসিন ১-০-১২-০, এহসান ৮-০-৩৯-১, হারুন ২-০-১৮-০, কিনচিত ৫-০-২১-০, রওনক ৩.১-০-২৯-০, আফতাব ২-০-২২-০)
ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী