বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে প্রথম দিনেই নিয়ন্ত্রণে ভারত

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে ইন্দোরে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে নাকাল হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। পরে বাংলাদেশের বোলাররাও পারেননি ভালো শুরু করতে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2019, 03:23 AM
Updated : 14 Nov 2019, 01:20 PM

ভারতের দিন

সকালে টসে সময় হেসেছিলেন মুমিনুল হক। সারাদিনে আর হাসির উপলক্ষ্য তেমন পাননি তিনি বা বাংলাদেশ দল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ননশিপে বাংলাদেশের শুরুর দিনটি কেটেছে ভুলে যাওয়ার মতো। প্রথম দিনেই ম্যাচের লাগাম নিয়ে ফেলেছে ভারত।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৫০ রানে। দলের কোনো ব্যাটসম্যান করতে পারেননি ফিফটি। তিনবার জীবন পেয়ে মুশফিকুর রহিমের ৪৩ রান ছিল দলের সর্বোচ্চ।

ইন্দোরের উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তা ছিল। তবে তাদের দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের পতন ডেকে এনেছে ব্যাটসম্যানদের বাজে শট নির্বাচনও।

ভারত ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মাকে দ্রুত হারালেও আর উইকেট হারায়নি একটিও। দিন শেষ করেছে তারা ১ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও চেতেশ্বর পুজারার অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ৭২ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৮.৩ ওভারে ১৫০ (সাদমান ৬, ইমরুল ৬, মুমিনুল ৩৭, মিঠুন ১৩, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ ৭*, ইবাদত ২; ইশান্ত ১২-৬-২০-২, উমেশ ১৪.৩-৩-৪৭-২, শামি ১৩-৫-২৭-৩, অশ্বিন ১৬-১-৪৩-২, জাদেজা ৩-০-১০-০)।

ভারত ১ম ইনিংস: ২৬ ওভারে ৮৬/১ (মায়াঙ্ক ৩৭*, রোহিত ৬, পুজারা ৪৩*; ইবাদত ১১-২-৩২-০, আবু জায়েদ ৮-০-২১-১, তাইজুল ৭-০-৩৩-০)।

সহজ ক্যাচ হাতছাড়া

শেষ বিকেলে একটি উইকেটের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরি। কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচটি নিতে পারলেন না ইমরুল কায়েস।

লেংথে পিচ করে অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢুকছিল বলটি। লাইন কাভার না করে ডিফেন্স করেছিলেন মায়াঙ্ক। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ গিয়েছির একমাত্র স্লিপে। কিন্তু ইমরুলের হাতে লেগে বল পড়ে মাটিতে।

মায়াঙ্ক বেঁচে গেলেন ৩২ রানে। ভারতের রান ২৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮১।

জুটির ফিফটি

রোহিত শর্মাকে দ্রুত হারানোর ধাক্কা অনায়াসেই সামলে নিয়েছে ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও চেতেশ্বর পুজারার দ্বিতীয় উইকেট জুটি স্পর্শ করেছে ফিফটি।

এমনিতে যিনি সময় নিয়ে ইনিংস গড়তে পছন্দ করেন, সেই পুজারাই রান করেছেন বেশি দ্রুততায়। জুটিতে ৩৫ রানই তার। অবশ্য সেজন্য খুব আগ্রাসী খেলতে হয়নি তাকে। বাংলাদেশের আলগা বোলিং কাজে লাগিয়েছেন তিনি।

১৯ ওভারে ভারতের রান ১ উইকেটে ৬৬। ৪৫ বলে ৩৫ রান নিয়ে খেলছেন পুজারা, ৫৫ বলে ২৫ মায়াঙ্ক।

ছবি: বিসিসিআই

আবু জায়েদের বড় শিকার

বাংলাদেশের মতো ভারতের দুই ওপেনারও শুরু করেছিলেন সাবধানী ব্যাটিংয়ে। তবে  বাংলাদেশের মতোই তাদের প্রথম জুটি এগোতে পারল না বেশিদূর। রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিলেন আবু জায়েদ চৌধুরি।

অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল সিমে পড়ে ভেতরে ঢুকেছিল একটু। রোহিত শরীর থেকে দূরে ড্রাইভ করলেন। আলগা সেই শট ডেকে আনল তার পতন। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিলেন লিটন দাস।

আগের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি, এক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত। এবার ফিরলেন কেবল ১৪ বলে ৬ রান করে।

ভারতের রান ১ উইকেটে ১৪। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৫০ রানে।

দেড়শতে শেষ

শেষ জুটির পতন ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। সেই সময়টিও এসেছে দ্রুতই। ইবাদত হোসেনকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ করে দিয়েছেন উমেশ যাদব।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ১৫০ রানেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিং দাঁড়াতেই পারেনি ভারতের দারুণ বোলিংয়ের সামনে। কোনো ব্যাটসম্যান করতে পারেননি অর্ধশত। তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও মুমিনুলের ৬৮ রানের জুটি ছাড়া ছিল না আর কোনো ফিফটি জুটি। ১০ রানের মধ্যে পড়েছে শেষ ৫ উইকেট।

ভারতের চার বোলার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯ উইকেট, রান আউট ১টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫৮.৩ ওভারে ১৫০ (সাদমান ৬, ইমরুল ৬, মুমিনুল ৩৭, মিঠুন ১৩, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ , ইবাদত ; ইশান্ত ১২-৬-২০-২, উমেশ ১৪.৩-৩-৪৭-২, শামি ১৩-৫-২৭-৩, অশ্বিন ১৬-১-৪৩-২, জাদেজা ৩-০-১০-০)।

ছবি: বিসিসিআই

রান আউট তাইজুল

এমনিতেই উইকেট পতনের স্রোত, এর মধ্যে আবার রান আউটে ফিরলেন তাইজুল ইসলাম।

লোয়ার অর্ডারে তার ব্যাটের হাতই একটু বলার মতো। এজন্যই হয়তো স্ট্রাইক ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে চেয়েছিলেন দুই রান নিতে। সীমানা থেকে রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ থ্রোয়ে কিপার ঋদ্ধিমান রান আউট করে দেন তাইজুলকে।

১ রানে ফিরলেন তাইজুল। বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ১৪৮।

বিরতির পরই শেষ লিটন

চা-বিরতির আগে টানা দুই বলে উইকেট নিয়েছিলেন শামি। বিরতির পর প্রথম বলেই উইকেট নিলেন ইশান্ত শর্মা। বিদায় করে দিলেন লিটন দাসকে।

ইশান্ত শর্মার ফুল লেংথ বলটি সামনে টেনে আনে লিটনকে। পা বাড়িয়ে ব্যাট পেতে দেন লিটন। কিন্তু বল হালকা সুইং করে বেরিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে যায় স্লিপে। নিচু হয়ে আসা বল হাতে জমান বিরাট কোহলি।

৩৪ বলে ২১ রান করে আউট হলেন লিটন। বাংলাদেশের ইনিংস শেষের পথে, ৮ উইকেটে রান ১৪০।

চা বিরতি

সেশনের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য ছিল আশা জাগানিয়া। মুশফিক ও মুমিনুলের বিদায়ে রান আসছিল দ্রুত। কিন্তু মুমিনুলের বিদায়ে ৬৮ রানের জুটি ভাঙার পর থেকেই আবার ভারতীয় দাপটের শুরু। বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত।

মুমিনুলের পর বাজে শটে ফিরে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। আশা হয়ে থাকা মুশফিককে চা-বিরতির ঠিক আগে ফিরিয়েছেন শামি। পরের বলেই বিদায় নিয়েছেন মিরাজ।

৭ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। এই সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে রান এসেছে ৭০।

শামি চা বিরতির পর বোলিং শুরু করবেন হ্যাটট্রিকের আশায়।

প্রথম বলেই শেষ মিরাজ

মুশফিকের বিদায়ের পর উইকেটে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হয়ে গেলেন প্রথম বলেই। যদিও তিনি বেঁচে যেতেন রিভিউ নিলে!

শামির ফুল লেংথ বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে ঠিকমতো খেলতে পারেননি মিরাজ। বল লাগে তার সামনের পায়ে। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিতে খুব একটা সময় নেননি আম্পায়ার। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা লিটন দাসের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া না পেয়ে রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান মিরাজ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে।

২১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ‘গোল্ডেন ডাকের’ তেতো স্বাদ পেলেন মিরাজ। টানা দুই বলে উইকেট নিলেন শামি। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৪০।

ছবি: বিসিসিআই

থামল মুশফিকের লড়াই

তিনবার জীবন পেয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে থামালেন মোহাম্মদ শামি।

অনেকটা ওয়াইড অব দা ক্রিজ বোলিং করেছিলেন শামি। বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে। মুশফিক প্রথমে ভেবেছিলেন বল বাইরে যাবে, খেলতে চেয়েছিলেন কাট করার মতো। কিন্তু যতক্ষণে বুঝলেন ভেতরে ঢুকছে বল, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক। ব্যাট যখন নামালেন, বল তখন স্টাম্পে!

১০৫ বলে ৪৩ রান করে বোল্ড হলেন মুশফিক। বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৪০।

আত্মঘাতী মাহমুদউল্লাহ

দলের বিপর্যয়ে যখন প্রয়োজন চোয়ালবদ্ধ লড়াই, মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন বাজে শট খেলে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দলকে ঠেলে দিলেন আরও বিপদ।

শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পেস বোলিংয়ে ভুগছিলেন। অশ্বিনের স্পিনেও ছিলেন অস্বস্তিতে। জীবনও পেয়েছেন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলেন না। অশ্বিনের এই ডেলিভারি অবশ্য এমন কিছু ছিল না। স্টাম্প সোজা ঝুলিয়ে দেওয়া বল। মাহমুদউল্লাহ অফ স্টাম্পেরে বাইরে পা নিয়ে, স্টাম্প উন্মুক্ত করে দিয়ে খেলতে চাইলেন সুইপ। অনেকটা টি-টোয়েন্টি ঘরানার শট। বল তার ব্যাটের নিচ দিয়ে গিয়ে লাগে স্টাম্পে। শরীরের পেছন দিয়ে বল গিয়েও তা লেগেছে অফ স্টাম্পে, এতেই বোঝা যায়, স্টাম্প উন্মুক্ত করে কতটা সরে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

৭ রানে জীবন পেয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন ১০ রানে। বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১১৫। অশ্বিন নিলেন দ্বিতীয় উইকেট।

মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন লিটন দাস।

ছবি: বিসিসিআই

আরেকটি ক্যাচ হাতছাড়া

স্লিপে অজিঙ্কা রাহানের দুর্দশা চলছেই। তার হাত থেকে ফসকে গেল আরেকটি ক্যাচ। বোলার এবারও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

অশ্বিনের বলটি টার্ন করবে ভেবে খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বল পিচ করে যায় সোজা। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের কানায় লেগে কিপার ঋদ্ধিমানের উরুতে লেগে যায় স্লিপে। খুব কঠিন কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু ফসকে যায় রাহানের হাত থেকে। দুই বার চেষ্টাতেও তিনি জমাতে পারেননি হাতে।

৭ রানে জীবন পেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১১০।

এই নিয়ে তিনটি ক্যাচ নিতে পারলেন না রাহানে। আগের দুটি অবশ্য ছিল অনেক কঠিন। অশ্বিনের বলেও ক্যাচ পড়ল তিনটি।

মুশফিক আবার!

আগেও দুই দফায় জীবন পাওয়া মুশফিকুর রহিম রক্ষা পেলেন আরেকবার। অশ্বিনের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি তার গ্লাভসে লেগে গিয়েছিল কিপারের কাছে। কিন্তু লাফানো বলটি হাতে জমানো কিপারের জন্য ছিল ভীষণ কঠিন। পারেননি ঋদ্ধিমান সাহা। ভারতীয় কিপারের কিপিং প্যাডের ওপর লেগে বল পড়ে মাটিতে।

৩ ও ১৫ রানে জীবন পাওয়ার পর মুশফিক এবার বেঁচে গেলেন ৩৪ রানে।

বাংলাদেশের একশ

মুমিনুলের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে আসা সিঙ্গেলে দলের রান স্পর্শ করেছে তিন অঙ্ক।

৩৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১০০। মাত্রই উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে উইকেটে আছেন ৩৪ রান নিয়ে মুশফিক।

ছেড়ে দিয়ে বোল্ড মুমিনুল

দুইবার অশ্বিনের বলে ক্যাচ পড়েছে স্লিপে। অবশেষে প্রথম উইকেটের স্বাদ পেলেন এই অফ স্পিনার। মুমিনুল হককে বোল্ড করে ভাঙলেন জুটি।

রাউন্ড দা উইকেটে অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করা বলটি ছিল স্লাইডার। বুঝতে ভুল করে ফেলেন মুমিনল। টার্ন করবে ভেবে ছেড়ে দেন। কিন্তু বল অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢুকে আঘাত করে অফ স্টাম্পে।

৮০ বলে ৩৭ রান করে বোল্ড হলেন মুমিনুল। ভাঙল মুশফিকের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট ৬৮ রানের জুটি।

বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৯৯।

ইশান্তকে ‘ওয়ার্নিং’

ডেলিভারির পর ফলো থ্রুতে পিচের বিপজ্জনক অংশে পা পড়ায় এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হলো ইশান্ত শর্মাকে। একই কারণে প্রথম সেশনে ‘অফিসিয়াল ওয়ার্নিং’ পেয়েছেন আরেক পেসার উমেশ যাদব।

ছবি: বিসিসিআই

জুটির পঞ্চাশ

অশ্বিনের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেন মুশফিকুর রহিম। বল উড়ে গেল সীমানার বাইরে সাইটস্ক্রিনের ওপর দিয়ে। ম্যাচের প্রথম ছক্কা। চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল-মুশফিক জুটির ফিফটিও হলো ওই শটে। পরের বলেই দারুণ এক কাট শটে মুশফিক পেলেন বাউন্ডারি।

৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৮৮। মুমিনুল খেলছেন ৭১ বলে ৩০ রান নিয়ে, মুশফিক ৫৫ বলে ৩০।

আবার জীবন পেলেন মুশফিক

লাঞ্চের পরপরই আরেক দফায় জীবন পেলেন মুশফিকুর রহিম। বোলার এবার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবারও ক্যাচ পড়ল স্লিপে।

অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল টার্ন করবে ভেবে ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল টার্ন না করে স্কিড করে ব্যাটের কানায় লেগে বুক সমান উচ্চতায় যায় স্লিপে। অজিঙ্কা রাহানে পারেননি বল হাতে জমাতে।

১৫ রানে রক্ষা পেলেন মুশফিক। এর আগে ৩ রানে উমেশ যাদবের বলে স্লিপে তার ক্যাচ নিতে পারেননি বিরাট কোহলি।

এর আগে অশ্বিনের বলে স্লিপে মুমিনুল হকের ক্যাচ নিতে পারেননি রাহানে।

লাঞ্চের আগে ভারতের দাপট

টস জিতল বাংলাদেশ, সেশন জিতল ভারত। ঘাসের ছোঁয়া ও আর্দ্রতা থাকা উইকেটে যে ধরনের স্কিল ও নিবেদন দেখানোর প্রয়োজন ছিল, সেটি দেখাতে পারেনি ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের টপ অর্ডার। টেস্ট সিরিজের শুরুটা তাই দারুণ করেছে ভারত।

প্রথম টেস্টের প্রথম দিন লাঞ্চ বিরতির সময় বাংলাদেশের রান ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৩।

সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস, দুই ওপেনারই ফিরেছেন ৬ রান করে। চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন বিদায় নিয়েছেন ১২ রানে।

৩১ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হয়ে এরপর লড়াই চালিয়ে গেছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম।

অধিনায়ক মুমিনুল লাঞ্চের সময় অপরাজিত ২২ রানে, ৩ রানে জীবন পেয়ে মুশফিক অপরাজিত ১৪ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ৩২ রান।

ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তিন পেসার ইশান্ত, উমেশ ও শামি।

বাংলাদেশের পঞ্চাশ

উমেশ যাদবের ওভারে মুমিনুল হকের টানা দুটি বাউন্ডারিতে একটু এগোল দলের স্কোর। উমেশের পরের ওভারেই অনেক বাইরের বলে স্ল্যাশ করে মুমিনুলের আরেকটি বাউন্ডারিতে দলের রান পেরিয়ে গেল ফিফটি।

২৪তম ওভারে বাংলাদেশের রান স্পর্শ করল ফিফটি। ২৪ ওভার শেষে রান ৩ উইকেটে ৫৩।

বেঁচে গেলেন মুশফিক

৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ রক্ষা পেল আরও বিপদ থেকে। স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন মুশফিকুর রহিম।

উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন মুশফিক। বাজে শট, ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় তৃতীয় স্লিপে বিরাট কোহলির ডানদিকে। কিন্তু বলে হাত ছোঁয়াতে পারলেও ক্যাচ নিতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক।

মুশফিক জীবন পেলেন ৩ রানে।

ছবি: বিসিসিআই

এবার উইকেট শামির

ভারতের নতুন বলের দুই পেসারের মতো উইকেটের দেখা পেলেন তৃতীয় পেসার মোহাম্মদ শামিও। থামিয়ে দিলেন মোহাম্মদ মিঠুনের লড়াই।

শামির এই ওভারেই ব্যাটের কানায় লেগে একটি চার পেয়েছিলেন মিঠুন। এক বল পরই উইকেট। লেগ-মিডলে পিচ করা বল সামান্য একটু সুইং করে বেরিয়ে মিঠুনের ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে লাগল প্যাডে। আঙুল তুলতে খুব একটা সময় নেননি আম্পায়ার।

অসাধারণ এক ডেলিভারিতে মিঠুন ফিরলেন ৩৬ বলে ১২ রান করে। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৩১।

মুমিনুলের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

মুমিনুলের রক্ষা

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে কাট করেছিলেন মুমিনুল। কিন্তু টাইমিং হয়নি ঠিকমতো। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উড়ে যায় স্লিপে। সেখানে অজিঙ্কা রাহানে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে চেষ্টা করেছিলেন বল হাতে জমাতে। কিন্তু চোখের পলকে ছুটে আসা বলে হাত ছোঁয়াতে পারলেও তালুবন্দী করতে পারেননি।

এই অর্থে এটিকে ‘জীবন পাওয়া’ বলা যায় না হয়তো, তবে মুমিনুল রক্ষা পেলেন নিঃসন্দেহে। মুমিনুলের রান তখন ৩।

ভারতের নিষ্ফল রিভিউ

পানি পানের বিরতির পর প্রথম ওভারেই উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ভারত। উমেশ যাদবের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের বিরুদ্ধে জোরালো এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বোলারের আত্মবিশ্বাস দেখে রিভিউ নেন বিরাট কোহলি।

রিভিউয়ে দেখা যায়, বল লাগছিল স্টাম্পে। কিন্তু ইমপ্যাক্ট ছিল বাইরে, সেখানেই আম্পায়ার্স কলে টিকে যান মিঠুন।

প্রথম ঘণ্টা ভারতের

টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য চিরায়ত কথা, ‘দিনের প্রথম ঘণ্টা বোলারকে দাও, পরের বাকি সময় নিজের করে নাও।’ কিন্তু সেই কথা শোনার প্রতিফলন ছিল না বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। প্রথম ৫ ওভার মোটামুটি সামলে নিলেও এরপর লড়াই করার মানসিকতা দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। পরপর ফিরে গেছেন দুজনই।

এরপর লড়াইয়ের চেষ্টা করছেন তিনে নামা মুমিনুল হক ও চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথম পানি পানের বিরতির সময় ১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৯।

ছবি: বিসিসিআই

ফিরলেন সাদমানও

ক্রিজে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

ইমরুলের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকলেন না সাদমান ইসলাম। বাঁহাতি ওপেনার বিদায় নিলেন আলগা শট খেলে।

রাউন্ড দা উইকেটে বল করে ইশান্ত শর্মা চেষ্টা করছিলেন সাদমানকে সামনে টেনে এনে শট খেলতে প্রলুব্ধ করতে। সেই চেষ্টাতেই কাজ হলো। বল ছিল ড্রাইভিং লেংথ থেকে একটু পেছনে। জায়গায় দাঁড়িয়ে শরীর থেকে দূরে ড্রাইভ করতে চাইলেন সাদমান। ব্যাটের কানায় লেগে বল গেল কিপারের গ্লাভসে।

২৪ বলে ৬ রান করে আউট হলেন সাদমান। বাংলাদেশ ৭ ওভারে ২ উইকেটে ১২।

ইমরুলের বিদায়

উমেশ যাদবের বলে যেভাবে খেলছিলেন ইমরুল কায়েস, আউট মনে হচ্ছিল যেন সময়ের ব্যাপার। হলোও সেটিই। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ইমরুল।

ওয়াইড অব দা ক্রিজ বল করে একটু অ্যাঙ্গেল তৈরি করেছিলেন উমেশ। লেংথ থেকে বল লাফিয়েছে একটু। ইমরুল ডিফেন্স করেছিলেন শক্ত হাতে। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল গেছে তৃতীয় স্লিপে।

১৮ বলে ৬ রান করে ফিরলেন ইমরুল। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১২।

সতর্কতায় শুরু

খানিকটা এলোমেলো প্রথম ওভারের পর ইশান্ত শর্মা খুঁজে পেয়েছেন ছন্দ। উমেশ যাদব শুরু থেকেই মেলে ধরেছেন সুইং বোলিংয়ের প্রদর্শনী। ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম তাই শুরু করেছেন সতর্কতায়।

বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম তিন ওভারই ছিল মেডেন। চতুর্থ ওভারে একটি করে সিঙ্গেল নিয়ে রানের দেখা পান দুই ওপেনারই। পঞ্চম ওভারে ইশান্তের বলে সাদমানের ব্যাট থেকে এসেছে ম্যাচের প্রথম চার।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮।

ইমরুল-সাদমানের শুরু

অনুমিতভাবেই বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু করেছেন দুই বাঁহাতি ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। প্রথম ওভারে স্ট্রাইক নিয়েছেন সাদমান।

ভারতের বোলিং আক্রমণ শুরু করেছে ইশান্ত শর্মা। প্রথম ওভারে একটু এলোমেলো ছিলেন তিনি। বল করেছেন বেশ বাইরে। সুইং অবশ্য পেয়েছেন।

আরেক প্রান্তে বোলিং শুরু করেছেন উমেশ যাদব। তার প্রথম ডেলিভারিই ছিল দুর্দান্ত। পরের বাকি বলগুলিও ভুগিয়েছে ইমরুলকে।

২ ওভার শেষে বাংলাদেশ করতে পারেনি কোনো রান।

তিন পেসারের ভারত

ম্যাচের আগে যেমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি, তাদের একাদশেও সেটির প্রতিফলন। তিন পেসার নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজিয়েছে ভারত।

স্পিন আক্রমণে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনেরই ব্যাটের হাত দারুণ। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপও তাই বেশ লম্বা।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।

নেই মুস্তাফিজ

ম্যাচের আগের দিন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছিলেন, তাদের জন্য হুমকি হতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের একাদশে দেখা গেল, জায়গাই হয়নি মুস্তাফিজের। এই বাঁহাতি পেসারের ফর্ম নিয়ে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাও স্পষ্ট হলো এই সিদ্ধান্তে।

ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একদমই নির্বিষ ও খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজ। নিজের সবশেষ ৩ টেস্টে নিতে পেরেছেন কেবল ২ উইকেট।

একাদশে মিঠুন, ইবাদত

৭ ব্যাটসম্যান ও ৪ বোলার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সাইফ হাসানকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে টেস্ট ক্যাপের জন্য। একাদশে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেন করবেন ইমরুল কায়েস।

বোলিং আক্রমণে আছেন দুই পেসার ও দুই স্পিনার। পেস আক্রমণে আবু জায়েদ চৌধুরির সঙ্গী ইবাদত হোসেন।

বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ চৌধুরী, ইবাদত হোসেন।

‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত

উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া আছে যথেষ্ট। শুরতে আর্দ্রতাও থাকতে পারে। তার পরও টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। টিভিতে সুনীল গাভাস্কার বললেন, “এটি সাহসী সিদ্ধান্ত। শুরুর সময়টা দারুণ সতর্ক থাকতে হবে তাদের, কারণ ভারতের পেস আক্রমণ দুর্দান্ত।”

টসের সময় নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে মুমিনুল জানালেন, “উইকেট একটু শক্ত আছে, বল আসবে ব্যাটে। ম্যাচের পরের দিকে উইকেট ভাঙতে পারে।”

টসে হাসি মুমিনুলের

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টসটি জিতলে মুমিনুল হক। নতুন অধিনায়ক জানালেন, ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ।

টসের সময় ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানালেন, টস জিতলে তারা আগে বোলিংই নিতেন।

অধিনায়ক মুমিনুলের শুরু

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও মুমিনুল হকের ক্যারিয়ারের আরেকটি অধ্যায়। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করছেন মুমিনুল।

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কদের দিয়ে চাইলে এখন একটি একাদশ গড়ে ফেলা যায়।টেস্ট আঙিনায় ১৯ বছরে মুমিনুল বাংলাদেশের ১১তম অধিনায়ক।

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুমিনুলকে। টেস্ট সহ-অধিনায়ক যদিও ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, গত ২ বছরে নানান সময়ে সাকিবের অনুপস্থিতিতে ৬টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। তবে বিসিবি জানিয়েছিল, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তারা নেতৃত্ব দিয়েছে মুমিনুলকে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে মুমিনুলের। নানা সময়ে বিসিবি একাদশ ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলকেও দিয়েছেন নেতৃত্ব। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের শ্রীলঙ্কা সফরেও মুমিনুলই ছিলেন অধিনায়ক।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরু

ইন্দোর টেস্ট দিয়েই শুরু হচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পথচলা। সম্ভাব্য কঠিনতম চ্যালেঞ্জ দিয়েই শুরু হচ্ছে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের আসরে বাংলাদেশের যাত্রা। টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে যেমন শীর্ষে ভারত, তেমনি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ৫ ম্যাচে ৫ জয়ে পূর্ণ ২৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ভারত।

অসম লড়াই

সিরিজ নিয়ে উত্তেজনার রসদ অনেক থাকলেও লড়াই কতটা জমবে, সেই সংশয় আছে যথেষ্টই। টেস্ট ক্রিকেটের ভারত যে এখন অসাধারণ এক দল! বিদেশের মাটিতে নিয়মিত ভালো করছে তারা আর দেশের মাটিতে তো অপ্রতিরোধ্য এক দল।

র‍্যাঙ্কিংয়েই দুই দলের ফারাক যথেষ্ট। ভারত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকে। বাংলাদেশ সেখানে সেখানে পড়ে আছে ৯ নম্বরে।

র‍্যাঙ্কিংয়ের চেয়েও বড় ব্যবধান হয়তো দুই দলের শক্তি-সামর্থ্যে। ব্যাটে-বলে ভারত প্রায় পরিপূর্ণ এক দল। বাংলাদেশ সেখানে টেস্ট ক্রিকেটে এখনও ধুঁকে প্রায়ই। দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল না থাকায় দল আরও খর্বশক্তির। সিরিজে লড়াই করতে হলেও তাই বাংলাদেশকে করতে হবে অভাবনীয় কিছু।