মার্শালের সেঞ্চুরির পর শানাজ-তৌফিকের দৃঢ়তা

অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য দিল ঢাকা মেট্রো। সিলেটের ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হেনে রোমাঞ্চকর শেষের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে দুই তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান শানাজ আহমেদ ও তৌফিক খানের দৃঢ়তায় ড্র হয়েছে ম্যাচটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2019, 11:49 AM
Updated : 12 Nov 2019, 11:49 AM

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে মঙ্গলবার শেষ দিনে ৬ উইকেটে ৩৯৫ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে মেট্রো। ৩৫৬ রানের লক্ষ্যে সিলেট ৪৯ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।

শেষ দিনে জয়ের সম্ভাবনা জোরালো রাখতে প্রথম সেশনে দ্রুত রান তুলতে হতো ৪ উইকেটে ২৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা মেট্রোকে। আগের দিন ৭৩ রানে অপরাজিত থাকা মার্শাল সে কাজটা করেন দারুণভাবে। ১৬৯ বলে তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সপ্তদশ সেঞ্চুরি। ১৬৩ রান করে অলক কাপালীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে নিশ্চিত করেন দলের বড় লিড।

৫৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার অলক। ২ উইকেট নেন এনামুল হক জুনিয়রও।

লাঞ্চের পর রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ইমতিয়াজ হোসেনকে হারায় সিলেট। দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ রানের জুটিতে দলকে ম্যাচ বাঁচানোর পথে রাখেন শানাজ ও তৌফিক।

চা-বিরতির পরপরই আউট হয়ে যান ৭৫ রান করা তৌফিক। ৮০ বলের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত অমিত হাসানকে নিয়ে প্রায় দশ ওভার কাটিয়ে দেন শানাজ। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই জনকেই ফেরান তাসকিন। তবে ম্যাচের ফলে তা কোনো প্রভাব ফেলেনি।

৫০ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ অলক কাপালী। ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন।

প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরা হন অমিত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৮৩.৫ ওভারে ৩১১/৮ (ইনিংস ঘোষণা)

সিলেট ১ম ইনিংস: ১০১.৩ ওভারে ৩৫১

ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২৪৫/৪) ৭৫ ওভারে ৩৯৫/৬ (আজমির ৮০, রাকিন ১৫, শামসুর ৩৭, মার্শাল ১৬৩, আল আমিন ৪, জাবিদ ৩০, শরিফুল্লাহ ২১*, শহিদুল ১৯*; রেজাউর ১৮-৪-৬৮-১, আবিদুর ১২-১-৫২-০, নাসুম ২৪-৪-৮৭-১, এনামুল জুনিয়র ২৩-১-১১৪-২, অলক ২৩-৩-৫৯-২, রাহাতুল ১-০-২-০)

সিলেট ২য় ইনিংস: ৪৯ ওভারে ১৮৭/৪ (ইমতিয়াজ ৪, শানাজ ৬১, তৌফিক ৭৫, অমিত ১৪, কাপালি ৭*, গালিব ২৩*; তাসকিন ১১-৩-২৪-৩, শহিদুল ৯-৩-৩১-০, শরিফুল্লাহ ৭-২-৩৭-০, মানিক ২-০-২২-০, নিহাদুজ্জামান ১৬-১-৬১-১, আজমির ৩-০-৯-০, রাকিন ১-০-১-০)।

ফল: ড্র

ম্যান অব দা ম্যাচ: অমিত হাসান (সিলেট)

বরিশাল-চট্রগাম

বরিশাল ও চট্টগ্রামের মধ্যকার দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচের প্রথম তিন দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ দিনে মাঠে গড়ায় বল।

বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকরা শুরুতেই ধাক্কা খায়। ম্যাচের প্রথম বলেই রাফসান আল মাহমুদকে ফেরান ইফরান হোসেন। টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুলও, দুই রান করে ইফরানের বলে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। সোহাগ গাজীর ৩০ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল।

১৩ রানে দুই উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা বোলার ইফরান।

শেষ বিকেলে প্রথম ইনিংসে ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৫ রান তোলে চট্টগ্রাম।