সম্ভাবনা জাগিয়েও পারল না বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩০ রানে হারিয়ে সিরিজ ২-১ এ জিতল ভারত।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2019, 12:47 PM
Updated : 10 Nov 2019, 05:31 PM

৩০ রানের জয়

১৭তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর বিদায়েই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের উত্তেজনা। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কেবল চেষ্টা করেছেন পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে। তারপরও ভারত জিতেছে ৩০ রানে।

টি-টোয়েন্টিতে এটি বড় জয়। তবে শেষ দিকে রোমাঞ্চ খুব একটা না ছড়ালেও একটা সময় পর্যন্ত লড়াই জমেছিল তুমুল। নাঈম শেখ ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটির সময় বাংলাদেশই ছিল এগিয়ে। মিঠুন ও মুশফিকের পরপর দুই বলে বিদায়ের পরও ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫০ রান। কিন্তু শিবম দুবের এক ওভারে নাঈম ও আফিফের বিদায়ে বড় ধাক্কা খায় তারা। পরে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে আশার সমাপ্তি।

বাংলাদেশের ইনিংসে নাঈমের ৮১ ও মিঠুনের ২৭ ছাড়া বলার মতো রান নেই আর কারও। তিন ব্যাটসম্যান পেয়েছেন ‘গোল্ডেন ডাক’; সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন।

শেষ বেলার সব আলো কেড়ে নিয়েছেন অবশ্য দিপক চাহার। শুরুতে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। মাঝে ফিরে মিঠুনের উইকেট নিয়ে ভাঙেন জুটি। শেষ দিকে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক। ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে রেকর্ড। ম্যাচ ও সিরিজে ভারতের মধুর সমাপ্তি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ ( রোহিত ২, ধাওয়ান ১৯, রাহুল ৫২, শ্রেয়াস ৬২, পান্ত ৬, মনিশ ২২*, দুবে ৯*; আল আমিন ৪-০-২২-১, শফিউল ৪-১-৩২-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৪২-০, আমিনুল ৩-০-২৯-০, সৌম্য ৪-০-২৯-২, আফিফ ১-০-২০-০)।

বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৪৪  (লিটন ৯, নাঈম ৮১, সৌম্য ০, মিঠুন ২৭, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ০, আমিনুল ৯, শফিউল ৪, মুস্তাফিজ ১, আল আমিন ০*; খলিল ৪-০-২৭-০, সুন্দর ৪-০-৩৪-০, চাহার ৩.২-০-৭-৬, চেহেল ৪-০-৪৩-১, দুবে ৪-০-৩০-৩)।

চাহারের হ্যাটট্রিক ও রেকর্ডে ম্যাচের সমাপ্তি

দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড আমিনুল ইসলাম। ইতিহাসে নাম লেখালেন দিপক চাহার। প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্বাদ পেলেন টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিকের। গড়লেন টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ড।

আগের ওভারের শেষ বলে শফিউলকে নিয়ে চাহারের হ্যাটট্রিকের শুরু। শেষ ওভারের প্রথম বলে ফেরালেন মুস্তাফিজকে। এরপর হ্যাটট্রিক শিকার আমিনুল।

টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্বাদশ হ্যাটট্রিক। কোনো ভারতীয় বোলারের প্রথম।

৩.২ ওভারে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে চাহার পেছনে ফেললেন অজন্তা মেন্ডিসের রেকর্ড। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মেন্ডিস। ভারতের হয়ে আগের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল চেহেলের, ২৫ রানে ৬ উইকেট।  

চাহারের পঞ্চম

শেষ ওভারের প্রথম বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে দিপক চাহার পেলেন ম্যাচে ৫ উইকেটের স্বাদ। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল মুস্তাফিজ তুলে দিলেন কাভার সীমানায় ফিল্ডারের হাতে।

বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৪৪।  

চাহারের চতুর্থ

দিপক চাহারের স্লোয়ার বাউন্সারে উড়িয়ে মেরেছিলেন শফিউল ইসলাম। টাইমিং খুব ভালো হয়নি। লং অন সীমানায় ক্যাচ নিয়েছেন রাহুল।

৪ রানে ফিরলেন শফিউল। বাংলাদেশের ইনিংস শেষের পথে। রান ৮ উইকেটে ১৩৫।

৩ ওভারে চাহারের এটি চতুর্থ উইকেট। ৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন ৪ উইকেট।

পারলেন না মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশের শেষ আশা হয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু অধিনায়ক পারলেন না দারুণ কিছু করতে। তার সঙ্গে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেল হয়তো বাংলাদেশের আশাও।

দ্রুত রানের তাড়নায় যুজবেন্দ্র চেহেলকে বেরিয়ে এসে স্লগ করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটে-বলে হয়নি। বল লাগল স্টাম্পে।

১০ বলে ৮ রান করে বিদায় নিলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬.৫ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৩০।

টি-টোয়েন্টিতে এটি চেহেলের ৫০তম শিকার। ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম ম্যাচে খেলে ৫০ উইকেটের রেকর্ড গড়লেন এই লেগ স্পিনার (৩৪ ম্যাচ)।

আরেকটি গোল্ডেন ডাক

নাঈমকে বিদায়ের পরের বলেই বাংলাদেশকে আরেকটি বড় ধাক্কা দিলেন শিবম দুবে। আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে দিলেন প্রথম বলেই। বাংলাদেশের ইনিংসে তৃতীয় গোল্ডেন ডাক!

নাঈমের মতো আফিফও খেলতে চেয়েছিলেন জায়গা বানিয়ে। দুবে সেটি খেয়াল করে ক্রস সিম ডেলিভারি করলেন আফিফের শরীর সোজা, শর্ট অব লেংথ। আফিফ পারলেন না ঠিকমতো খেলতে। ব্যাটের কানায় লেগে গেল ফিরতি ক্যাচ। সহজ ক্যাচ নিয়ে উল্লাসে ভাসলেন দুবে।

ভারতের পঞ্চম বোলার দুবের তৃতীয় শিকার এটি। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১২৬।

দুর্দান্ত নাঈমের সমাপ্তি

বাংলাদেশের আশা টিকে ছিল মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটে। কিন্তু দুর্দান্ত খেলতে থাকা তরুণ ওপেনারকে দারুণ ইয়র্কারে বোল্ড করে দিলেন শিবম দুবে।

দুবের স্পেলের এটি শেষ ওভার। রান-বলের টানাপোড়েন মেটাতে তার বোলিংকে কাজে লাগাতে চাইছিলেন নাঈম। বাঁহাতি নাঈম খেলতে চেয়েছিলেন জায়গা বানিয়ে। দুবে নিজের গড় গতির চেয়ে একটু বেশি গতিতে করলেন ইয়র্কার। প্রায় নিখুঁত ইয়র্কার। নাঈম ব্যাট নামিয়েও থামাতে পারেননি বল। উড়ে গেল বেলস।

১০ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ বলে ৮১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ফিরলেন নাঈম। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১২৬।

রিভিউ হারাল ভারত

অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল। ব্যাট চালিয়ে দিলেন নাঈম। ব্যাটে-বলে লাগল না, আম্পায়ার সঙ্কেত দিলেন ওয়াইডের। কিন্তু বল গ্লাভসে নিয়ে আবেদন করলেন কিপার রিশাভ পান্ত।

কিপার পান্ত ও বোলার খলিল চাইলেন রিভিউ নিতে। কিছুক্ষণ ভেবে অধিনায়ক রোহিত সায় দিলেন। কিন্তু রিভিউয়ে দেখা হেল, ব্যাটে লাগেনি বল। ভারত হারাল একমাত্র রিভিউ।

শুরুতেই শেষ মুশফিক

প্রথম ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিমের জন্য মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। কিন্তু অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেন নিজের প্রথম বলেই।

শিবম দুবের ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। নির্বিষ এক বল। মুশফিক চেয়েছিলেন থার্ডম্যানে গ্লাইড করে রান নিতে। কিন্তু বলটি ছিল স্লোয়ার। ব্যাটের কানায় লেগে বল লাগল স্টাম্পে।

অলরাউন্ডার দুবে পেলেন প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের স্বাদ। মুশফিক ফিরলেন তৃতীয়বার টি-টোয়েন্টিতে গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে।

১৭৫ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১১০।

জুটি গড়ে ফিরলেন মিঠুন

তৃতীয় উইকেট জুটির শতরানের মুখে বিদায় নিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ভারতকে আবারও উইকেট এনে দিলেন দিপক চাহার।

নিজের প্রথম ওভারেই ২ উইকেট নিয়েছিলেন চাহার। এরপর বাংলাদেশ গড়েছে বড় জুটি। সেই জুটি ভাঙতে মরিয়া ভারত অধিনায়ক ফিরিয়ে আনলেন চাহারকে। তার স্লোয়ার ডেলিভারি উড়িয়ে মেরে লং অফে ক্যাচ দিলেন মিঠুন।

২৯ বলে ২৭ রানে ফিরলেন মিঠুন। ভাঙল নাঈমের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি।

তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় সেরা জুটি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব ও মুশফিক। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৯ রানের জুটি গড়েছিলেন আশরাফুল ও আফতাব।

ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় জুটিতে অবশ্য এটিই বাংলাদেশের সেরা। আগের সেরা ছিল এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুশফিক ও সৌম্য ৬০।

বাংলাদেশের ১০০

নাঈম শেখ ও মোহাম্মদ মিঠুনের দারুণ জুটিতে রান তাড়ায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ১১.৫ ওভারের দলের রান স্পর্শ করেছে ১০০। তাতে নাঈমের রানই ৬৪।

নাঈমের ফিফটি

শুরুর অস্বস্তি কাটিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে ফেললেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দেখালেন নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্যের বিজ্ঞাপন। তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন ২০ বছর বয়সী ওপেনার।

৫ ওভার শেষে নাঈমের রান ছিল ১৫ বলে ৮। ষষ্ঠ ওভারে যুজবেন্দ্র চেহেলের বলে টানা তিনটি বাউন্ডারি মেরে গতিময়তার শুরু। এরপর দারুণ খেলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন ৩৪ বলেই। ৭ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছক্কা ছিল ১টি।

ছবি: বিসিসিআই

মাঝপথে এগিয়ে বাংলাদেশ

শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে আছে বাংলাদেশ। নাঈম ও মিঠুনের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭৪।

১০ ওভার শেষে ভারতের রান ছিল ২ উইকেটে ৭১।

জুটির ফিফটি

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর নাঈম শেখ ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। জুটির শুরুতে ছিল প্রতিরোধ। পরে সময়ের সঙ্গে বেড়েছে রানের গতি। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটির ফিফটি এসেছে ৩৭ বলে।

ফিফটি জুটিতে ৩৯ রানই এসেছে নাঈমের ব্যাট থেকে।

নাঈমের এগিয়ে চলা

শুরুটা নড়বড় হলেও সময়ের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। যুজব্রেন্দ্র চেহেলকে টানা তিনটি বাউন্ডারির পর টানা দুই বলে বাউন্ডারি মেরেছেন শিবম দুবের বলে।

৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪৫। নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৩২।

বাংলাদেশের নড়বড়ে শুরু

মন্থর উইকেটে ১৭৫ রান তাড়া করায় প্রয়োজন ছিল ভালো শুরু। পাওয়ার প্লেতে প্রয়োজন ছিল ঝড় তোলা। হয়েছে উল্টো। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ তুলতে পারেনি খুব বেশি রান।

ইনিংসের প্রথম ওভারে খলিল আহমেদকে দুটি চার মেরেছিলেন লিটন। ষষ্ঠ ওভারে যুজবেন্দ্র চেহেলকে টানা তিনটি চার মারেন নাঈম শেখ। মাঝের চার ওভারে আসেনি একটিও বাউন্ডারি।

১৭৫ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৩৩। ২০ বলে ২২ রান নিয়ে খেলছেন নাঈম।

গোল্ডেন ডাক সৌম্য

লিটনের বিদায়ের পর সৌম্য সরকার উইকেটে এলেন ও গেলেন। ক্যাচ দিলেন প্রথম বলেই।

অফ স্টাম্পের বাইরে, ফুল লেংথ থেকে একটু টেনে বল করেছিলেন দিপক চাহার। সৌম্য জায়গায় দাঁড়িয়ে খেললেন হাওয়ায় ভাসিয়ে। বল গেল না গ্যাপে, মারেও হলো না জোর। মিড অফে সহজ ক্যাচ নিলেন শিবম দুবে।

পরপর দুই বলে উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

বল হাতে দারুণ করা সৌম্য ব্যাটিংয়ে ফিরলেন প্রথম বলেই আউট হয়ে। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে ৮ বার শূন্য রানে ফিরলেন সৌম্য, গোল্ডেন ডাক চারবার।

১৭৫ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১২।

পারলেন না লিটন

প্রথম ওভারে দারুণ দুটি শটে চার মেরেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আরও একবার জেগে ওঠা পূর্ণতা পেল না তার ব্যাটে। ফিরে গেলেন দুই অঙ্ক না ছুঁয়েই।

দিপক চাহারের শর্ট অব লেংথ বলটিতে পুল করেছিলেন লিটন। ধারাভাষ্যকক্ষে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বললেন, দারুণ শট। কিন্তু মারে জোর ছিল না যথেষ্ট। বল গেল সোজা সীমানায় ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে।

৮ বলে ৯ রানে ফিরলেন লিটন। বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১২।

বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য

সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া মনিশ পান্ডের সৌজন্যে ভারত শেষটাও করল ভালো। ১৩ বলে ২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জ দিল ভারত।

রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানকে দ্রুত ফিরলেও লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ার ভারতকে নিয়ে গেছেন বড় স্কোরের পথে। ৩৫ বলে ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন রাহুল। শূন্য রানে জীবন পেয়ে শ্রেয়াস চোখধাঁধানো সব শটে করেছেন ৩৩ বলে ৬২।

বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য সরকারের বোলিং ছিল দারুণ বোনাস। আল আমিন, শফিউলও ছিলেন যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু আবারও হতাশ করেছে মুস্তাফিজ। নিজের প্রথম তিন টি-টোয়েন্টিতে দুটি করে উইকেট পাওয়া আমিনুল এবার উইকেটশূন্য।

মন্থর উইকেটে এই রান তাড়া করা বাংলাদেশের জন্য হবে অনেক বড় পরীক্ষা। তবে শিশির পড়তে পারে পরের দিকে। ভারতের বোলিং আক্রমণে একজন বোলারের কমতিও আছে। এসবই বাংলাদেশের আশার জায়গা।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ ( রোহিত ২, ধাওয়ান ১৯, রাহুল ৫২, শ্রেয়াস ৬২, পান্ত ৬, মনিশ ২২*, দুবে ৯*; আল আমিন ৪-০-২২-১, শফিউল ৪-১-৩২-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৪২-০, আমিনুল ৩-০-২৯-০, সৌম্য ৪-০-২৯-২, আফিফ ১-০-২০-০)।

আমিনুল আবার

ম্যাচে দ্বিতীয়বার সহজ ক্যাচ ছাড়লেন আমিনুল ইসলাম। এবার বোলার ছিলেন আল আমিন, ব্যাটসম্যান শিবম দুবে।

আল আমিনের ফুল টসে উড়িয়ে মেরেছিলেন দুবে। মিড উইকেটে ছিল সহজ ক্যাচ। পজিশনেও খুব ভালোভাবে ছিলেন আমিনুল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সরিয়ে নিলেন চোখ। হয়তো একটু নার্ভাসও ছিলেন। বল জমল না হাতে। ৩ রানে জীবন পেলেন দুবে।

দুর্দান্ত সৌম্য

মূল বোলারদের একজন না হয়েও দারুণ এক স্পেল উপহার দিলেন সৌম্য সরকার। মাথা খাটিয়ে বোলিং করে, গতি ও লেংথের হেরফের করে যথেষ্টই কার্যকর বোলিং করলেন। ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট।

শ্রেয়াস ঝড় থামালেন সৌম্য

পান্তের পর একই ওভারে সৌম্য সরকার ফিরিয়ে দিলেন শ্রেয়ান আইয়ারকে। বড় স্বস্তি এনে দিলেন বাংলাদেশকে।

দারুণ বুদ্ধিমত্তায় বল করে যাওয়া সৌম্যর এই ডেলিভারিও ছিল স্লোয়ার। শ্রেয়ার উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন গায়ের জোরে। কিন্তু টাইমিং পাননি ঠিকমতো। ব্যাট ঘুরে যায় হাতের ভেতর। লং অফে ক্যাচ নেন লিটন।

৫ ছক্কায় ৩৩ বলে ৬২ রানে বিদায় নিলেন শ্রেয়াস। ভারতের রান ১৬.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪।

সৌম্যর উইকেট

শ্রেয়াস ঝড় থামাতে না পারলেও অন্য প্রান্তে রিশাভ পান্তকে বোল্ড করে দিলেন সৌম্য সরকার।

সৌম্যর স্পেলের শেষ ওভারের প্রথম বল সেটি। বাঁহাতি পান্ত চেয়েছিলেন জায়গা বানিয়ে স্লগ করতে। সৌম্য করেন স্লোয়ার বল। ব্যাটে-বলে হয়নি, উড়ে যায় বেলস।

শ্রেয়াসের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটিতে পান্ত করেছেন কেবল ৯ বলে ৬ রান। ১৬.১ ওভারে ভারত ৪ উইকেটে ১৩৯।

খরুচে ওভার

অফ স্পিন সামনে পেলে বরাবরই শ্রেয়াসের ব্যাট হয়ে ওঠে চাবুক। আফিফ হোসেন টের পেলেন সেই বাস্তবতা।

আফিফেরর প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলই বিশাল তিন ছক্কায় ওড়ালেন শ্রেয়াস। সব মিলিয়ে সেই ওভার থেকে এলো ২০ রান।

১৫ ওভার শেষে ভারতের রান ৩ উইকেটে ১২৯। শূন্য রানে জীবন পেয়ে শ্রেয়াস খেলছেন ২৭ বলে ৫০ রান নিয়ে।

ছবি: বিসিসিআই

শ্রেয়াসের ফিফটি

আফিফ হোসেনের বলে টানা তিন বলে ছক্কায় ৩১ থেকে ৪৯। এরপর একটি ডট বল। পরের বলে একটি রান নিয়ে শ্রেয়াস পেলেন ফিফটির স্বাদ। ১১ টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম ফিফটি। ৫ ছক্কায় ২৭ বলে স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশ।

ভারতের একশ

সৌম্য সরকারের বলে বিশাল এক ছক্কায় বল গ্যালারিতে পাঠালেন শ্রেয়াস আইয়ার। ওই শটেই ভারতের রান স্পর্শ করল একশ। ১৩.২ বলে তিন অঙ্কের দেখা পেল ভারত।

শূন্য রানে জীবন পাওয়া শ্রেয়াস খেলছেন ১৯ বলে ২৭ রানে।

বিরতির পর জুটির ভাঙন

পানি পানের বিরতিতেই হয়তো চিড় ধরল মনোবলে। বিরতির পর প্রথম বলেই লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন আল আমিন হোসেন। স্বস্তি এনে দিলেন দলকে।

আল আমিনের লেগ কাটারে বলের লাইনে গিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন রাহুল। কিন্তু স্লোয়ার বলটিতে টাইমিং হয়নি ঠিক মতো। মিড অফে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস।

৩৫ বলে ৫২ রানে ফিরলেন লিটন। ভাঙল ৫৯ রানের জুটি। ১২.১ ওভারে ভারত ৩ উইকেটে ৯৪।

ছবি: বিসিসিআই

রাহুলের ফিফটি

মন্থর উইকেটেও ব্যাটিং মাস্টারক্লাস মেলে ধরেছেন রাহুল। দারুণ সব ড্রাইভে বাউন্ডারি, পেস-স্পিন সবই ভালো খেলে গ্যাপ বের করা, সব মিলিয়ে এগিয়ে গেছেন সাবলীলভাবে। ফিফটি স্পর্শ করেছেন ৩৩ বলে।

টি-টোয়েন্টিতে রাহুলের এটি ষষ্ঠ ফিফটি, সঙ্গে সেঞ্চুরিও আছে দুটি।

খরুচে ওভার

যার ক্যাচ ছেড়েছিলেন আমিনুল ইসলাম, সেই শ্রেয়াস আইয়ারই এই লেগ স্পিনারকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন সুযোগ হাতছাড়ার মূল্য। আমিনুলকে পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা মেরেছেন শ্রেয়াস। ওই ওভারে একটি চার মেরেছেন রাহুলও। ওভার থেকে এসেছে ১৬ রান।

জুটির ফিফটি

শুরুর ধাক্কা ভারত দারুণভাবেই সামাল দিচ্ছে লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটে। সময়ের সঙ্গে দুজনের ব্যাটেই বাড়ছে ধার। রান আসছে দ্রুত। তৃতীয় উইকেটে জুটির ফিফটি হয়ে গেছে কেবল ৩৩ বলে।

মাঝপথে ভারত

দুই ওপেনারকে হারানোর পর ভারতকে টানছেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ার। রান বাড়ানোর কাজটি করছেন শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকা রাহুল। স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান মন্থর উইকেটেও খেলেছেন দুর্দান্ত কিছু ড্রাইভ।

১০ ওভার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৭১। রাহুল খেলছেন ২৭ বলে ৪১ রান নিয়ে। ১১ বলে ৮ শ্রেয়াস।  

ঘটনাবহুল পাওয়ার প্লে

দুটি উইকেট, ক্যাচ হাতছাড়া, দারুণ কিছু শট, পাওয়ার প্লেতে ছিল ঘটনার ছড়াছড়ি। ভারতের দুই ওপেনারকে দ্রুত ফিরিয়ে পাওয়ার প্লে শেষে এগিয়ে বাংলাদেশই। তবে মন্থর উইকেট বিবেচনায় রান খারাপ করেনি ভারত, রান তুলেছে তারা ৪১।  

ছবি: আইসিসি

সহজ ক্যাচ হাতছাড়া

এক ওভারে দুটি উইকেট পেতে পারতেন শফিউল। কিন্তু বঞ্চিত হলেন এই পেসার, হতাশা দলের জন্যও। শূন্য রানে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন শ্রেয়াস আইয়ার। 

শফিউলের ডেলিভারিটি খুব ভালো ছিল না। লেংথ বল ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। জায়গায় দাঁড়িয়ে শট খেলে শ্রেয়াস সেটিই তুলে দিয়েছিলেন পয়েন্টে। যে কোনো ফিল্ডারের জন্য সহজ ক্যাচ। কিন্তু আমিনুল হাত ছোঁয়ালেও তালুবন্দী করতে পারলেন না।

শফিউলের আরেকটি শিকার

মাহমুদউল্লাহর দারুণ নেতৃত্ব ও ফিল্ডিং আর শফিউলের বোলিংয়ে এলো আরেকটি বড় উইকেট। এবার ফিরে গেলেন বিপজ্জনক হতে থাকা শিখর ধাওয়ান।

উইকেট শিকারের জন্য শফিউলকে টানা তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আনলেন মাহমুদউল্লাহ। আগ্রাসী ধাওয়ান চাইছিলেন পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে যত সম্ভব রান বাড়াতে। বেরিয়ে এসে খেলতে চাইলেন। শফিউল বল করলেন একটু স্লোয়ার। বিভ্রান্ত ধাওয়ান বল তুললেন কেবল আকাশে। মিড উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ নিলেন নির্ভরতায়।

১৬ বলে ১৯ রানে ফিরলেন ধাওয়ান। ষষ্ঠ ওভারে ভারত ২ উইকেটে ৩৫।

ছবি: বিসিসিআই

ভারতের প্রতি আক্রমণ

প্রথম ২ ওভারে ভারতের রান ছিল ৩। তৃতীয় ওভার থেকে রানের গতি বাড়ানোর শুরু। আল আমিন হোসেনকে দুটি বাউন্ডারি মারলেন শিখর ধাওয়ান। পরের ওভারে শফিউলের বলে দৃষ্টিনন্দন দুটি শটে বল বাউন্ডারিতে পাঠালেন লোকেশ রাহুল।

৪ ওভার শেষে ভারত ১ উইকেটে ২৫।  

মেডেন উইকেট

রোহিত শর্মাকে ফেরানোর ওভারটিতে কোনো রান দিলেন না শফিউল ইসলাম। সিরিজের প্রথম মেডেন উইকেট এটি!

ওভারের প্রথম বলটিই ছিল কেবল একটু আলগা। সেটিতে শট খেললেও রোহিত গ্যাপ বের করতে পারেননি। তৃতীয় বলে ভারত অধিনায়ককে বোল্ড করে দেন শফিউল। পরের তিন বলে রান বের করতে পারেননি নতুন ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল।

ম্যাচের প্রথম ওভারে আল আমিন দিয়েছিলেন কেবল ৩ রান।  

শফিউলের বড় শিকার

বাংলাদেশের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উইকেটটি সবার আগে এনে দিলেন শফিউল ইসলাম। প্রথম ম্যাচের মতোই নিজের প্রথম ওভারে ফেরালেন রোহিত শর্মাকে। সেটি ছিল এলবিডব্লিউ, এবার বোল্ড!

আবারও ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি কাল হলো রোহিতের জন্য। লেংথে থেকে তীক্ষ্ণভাবে বল ভেতরে আনেন শফিউল। ব্যাট-প্যাডের ভেতরে ফাঁক রেখে আলসে ভঙ্গিমায় ফ্লিক মতো করতে চেয়েছিরেন রোহিত। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে লেগ স্টাম্পে। 

৬ বলে ২ রান করে ফিরলেন রোহিত। ভারতের রান দ্বিতীয় ওভারে ১ উইকেটে ৩। 

মূল চ্যালেঞ্জ রোহিত

আল আমিন হোসেনকে দিয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছে বোলিং। ম্যাচের শুরুতে স্ট্রাইকে রোহিত শর্মা, যাকে দ্রুত ফেরানোই বাংলাদেশের মূল চ্যালেঞ্জ। আগের ম্যাচে ৪৩ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন রোহিত। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও তার, ৪৫০।

ভারত দলেও পরিবর্তন একটি

বাংলাদেশের মতো ভারতের একাদশেও পরিবর্তন একটি। তবে সেই পরিবর্তন যথেষ্টই কৌতূহল জাগানিয়া। স্পিনিং অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়ার জায়গায় আনা হয়েছে ব্যাটসম্যান মনিশ পান্ডেকে। ফলে অলরাউন্ডার শিবম দুবে ও প্রয়োজনে অধিনায়ক রোহিত মিলে চালিয়ে নিতে হবে পঞ্চম বোলারের কাজ।

আগের দুই ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের পরও একাদশে টিকে গেছেন বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ। শার্দুল ঠাকুর সুযোগ পেলেন না শেষ ম্যাচেও।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, রিশাভ পান্ত, শিবম দুবে, মনিশ পান্ডে, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চেহেল, দিপক চাহার, খলিল আহমেদ।

মোসাদ্দেকের বদলে মিঠুন

আগের দুই ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, মোসাদ্দেক হোসেন খেলতে পারছেন না চোটের কারণে। তার জায়গায় একাদশে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাঈম শেখ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন।

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

মুদ্রা নিক্ষেপ করলেন রোহিত শর্মা, মাহমুদউল্লাহ ডাকলেন ‘হেড'। ম্যাচ রেফারি জানালেন, টস জিতেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জানালেন, আগে বোলিং করবেন তারা।

এই মাঠে আগে ব্যাট করা দলের জয়ের হার অনেক বেশি। শুষ্ক উইকেটে পরে ব্যাট করা কঠিন হতে পারে বলেও মনে করছেন ধারাভাষ্যকাররা। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর যুক্তি, ‘ভারত রান তাড়ায় ভালো। তাদেরকে যত কমে সম্ভব আটকে রেখে রান তাড়া করতে চাই আমরা।

ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানালেন, টস জিতলে তাদের পরিকল্পনাও ছিল আগে বোলিং করা।

স্পিন সহায়ক উইকেট

ম্যাচের আগে যা ধারণা করা হচ্ছিল, টিভির পিচ রিপোর্টে সেটিই তুলে ধরলেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তি জানালেন, উইকেট বেশ শুষ্ক। ঘাসের ছোঁয়া আছে বটে, তবে তা আলগা। স্পিনারদের জন্য মিলবে টার্ন। এই সিরিজে দুই দলই আগের দুই ম্যাচ জিতেছে পরে ব্যাট করে। তবে এখানে, পরে ব্যাট করা কঠিন হতে পারে তুলনামূলক।

ফেভারিট তকমা মূল্যহীন

শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে ভারত, খেলা নিজেদের দেশে। আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মোমেন্টামও সঙ্গী তাদের। সব দিক থেকেই ফেভারিট ভারত। তবে ফেভারিট তকমায় বিশ্বাস নেই রোহিত শর্মার। ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের মতে, মাঠে নামার পর সে তকমা দিয়ে জেতা যায় না। নিজেদের সেরাটা খেলেই জিততে চান তারা।

বাংলাদেশের আরেকটি সুযোগ

আরেকটি শেষের মঞ্চ, আবার প্রতিপক্ষ ভারত, বাংলাদেশ পারবে এবার নতুন কিছু উপহার দিতে?

ফাইনাল ও ভারত, পাশাপাশি শব্দযুগল মানেই গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের হতাশা। ফাইনালে বেশ কয়েকবার ভারতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এবার যদিও কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল নয়, তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ তো ফাইনালের মতোই। এই ম্যাচে জয়ী দল জিতবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ভারতে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেই জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে।

প্রথম ম্যাচ জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করার। কিন্তু ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অবশ্য দাবি, বড় ব্যবধানে হারলেও মনোবল হারায়নি দল। সেটির প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ আজ নাগপুরে।