বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা থাকায় নাগপুরের ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে।
নাগপুরের এই মাঠে এখন পর্যন্ত হয়েছে ১১টি টি-টোয়েন্টি। মাত্র তিনটি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা দল ছাড়াতে পেরেছে দেড়শ। আগে ব্যাট করা দল এই মাঠে জিতেছে আট ম্যাচে।
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নাগপুরে গড় স্কোর স্রেফ ১৫৫, রাজকোটে ছিল ১৮৫। ডমিঙ্গো নিশ্চিত, উইকেট থেকে সহায়তা পাবেন বোলাররা।
“সবশেষ নাগপুরে যখন এসেছিলাম (২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে), ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল দুই (আসলে তিন) দিনে। সেই সময়ের চেয়ে এবার উইকেট অনেক ভালো মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, ঐতিহাসিকভাবে রাজকোটের চেয়ে নাগপুরে রান কম হয়। সেখানে গড় স্কোর ছিল ১৮৫, এখানে ১৫৫। আমার মনে হয়, রাজকোটের চেয়ে এখানে স্পিনারদের অনেক বড় ভূমিকা থাকবে।”
স্পিন সহায়ক উইকেটে যে বাংলাদেশ খেলতে চায় গোপন করেননি প্রধান কোচ।
“অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি, উইকেটে যদি স্পিন থাকে তাহলে ম্যাচে আমাদের স্পিনারদের সুযোগ চলে আসবে। আমাদের প্রচুর স্পিনার আছে যাদের দিয়ে পুরো ২০ ওভারই করানো সম্ভব।”
ঘরের মাঠ সম্পর্কে সবই জানেন রোহিত শর্মা। স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকবে, উইকেট না দেখেও বুঝতে পারছেন ভারত অধিনায়ক। উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের চাওয়া পূরণ হতে পারে অনুমান করলেও তা নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না তিনি।
“এখনও উইকেট দেখিনি। সাধারণভাবে নাগপুরের উইকেট ক্রিকেট খেলার জন্য চমৎকার। এখানে বোলারদের জন্যও সহায়তা আছে যদি তারা ঠিক চ্যানেল ধরে বোলিং করতে পারে। যদি আপনার স্কিল ও বৈচিত্র্য থাকে তাহলে পিচ আপনার জন্য কোনো ব্যাপার নয়।”