বিবর্ণ আফিফ-মোসাদ্দেকের পাশে বাংলাদেশ কোচ

ওপেনারদের ভালো শুরুর শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়েও দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন। বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো পাশে দাঁড়িয়েছেন দুই তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের। মনে করিয়ে দিলেন, তাদের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 12:07 PM
Updated : 9 Nov 2019, 12:07 PM

রাজকোটে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান পাওয়ার দিনে বড় সংগ্রহের পথে ছিল বাংলাদেশ। ১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে দলের রান ছিল ১০৩। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রানের চাকা সচল রাখার কাজ করে গেলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি আফিফ। ফিরেন ৮ বলে ৬ রান করে। অধিনায়ক আউট হবার পর মোসাদ্দেক পারেননি দলকে টেনে নিতে। ৯ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৭ রানে।

ইনিংসের শেষদিকে তাদের এমন ধীর ব্যাটিং অবশ্য বাংলাদেশ কোচকে বিস্মিত করছে না। তার মতে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে খুব বিধ্বংসী ইনিংস আশা করা বাস্তবসম্মত নয়। বরং বড় শট খেলার চেয়ে রান তোলার অন্য দিকগুলো কাজে লাগানোর পক্ষে তিনি।

“আমার মনে হয় না, আমরা কখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা ইংল্যান্ডের মতো ব্যাটিং ইউনিট হতে পারব যেখানে ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বল মাঠের বাইরে পাঠাবে। শারীরিকভাবেই আমরা সে ধরনের দল নই।”

“আফিফ, মোসাদ্দেক এবং লিটন- তিন জনই ছোটখাটো গড়নের। তবে আমরা বলের গতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি, দ্রুত রান নেওয়া, গ্যাপ বের করা, ডাবল নেওয়া– এগুলো চেষ্টা করছি। এক ওভারে ছয়টা ডাবল আর দুটো ছক্কা একই কথা।”

দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফিফ ও মোসাদ্দেকের ব্যাটেই জিতেছিল দল। সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কোচ মনে করিয়ে দিলেন লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামার চ্যালেঞ্জের কথা।

“আমরা আমাদের শক্তির জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছি। কয়েক ম্যাচ আগেই আফিফ ও মোসাদ্দেক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিপর্যয় থেকে আমাদেরকে জয় এনে দিয়েছে। তবে প্রতি ম্যাচে এটা করা খুব কঠিন। মাঝে মাঝে দুই ওভার হাতে রেখে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়, কখনও আবার আট ওভার হাতে থাকে। আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং লাইনআপে ৬ ও ৭ হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন পজিশন।”

নিজেদের ভুল থেকে নেওয়া শিক্ষাগুলো দলকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ কোচ।

“আমরা ১২.২ ওভারে ১০০ রান করেছিলাম, সেখানে ভারত ১০০ করেছে ১১ ওভারে। তারা আমাদের চেয়ে এক ওভার এগিয়ে ছিল। এটা আফিফ, সৌম্য, মোসাদ্দেকের মতো ব্যাটসম্যানদের জন্য একটা শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। আমরা প্রতিটি ভুল থেকেই শিখছি। যখন আমরা আগামী বছরের বিশ্বকাপে যাব, তখন এরকম পরিস্থিতিতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থানে থাকতে চাই আমরা। আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা এই ভুলগুলো কাটিয়ে উঠতে পারব।”