রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে শনিবার আলো স্বল্পতায় ১৪ ওভার আগে শেষ হয় দিনের খেলা। দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম দিন শেষে মেট্রোর সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮২ রান। শরিফুল্লাহ ২১ ও নিহাদুজ্জামান শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
ভারতে টেস্ট দলে যোগ দিতে দেশ ছেড়েছেন সিলেটের দুই মূল পেসার ইবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ চৌধুরী। এই ম্যাচে সিলেটের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে আহমেদ আবিদুল হক, আসাদুল্লাহ গালিব ও কিপার-ব্যাটসম্যান অমিত হাসানের।
দিনের শুরুতে আজমির আহমেদকে ফিরিয়ে সিলেটকে প্রথম সাফল্য এনে দেন এনামুল হক জুনিয়র। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার রাকিন আহমেদকে নিয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়েন শামসুর। ৪৮ রান করা রাকিনকেও ফেরান এনামুল। মাত্র ১ রান করে অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মেট্রো অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব।
চতুর্থ উইকেটে আল আমিনকে নিয়ে ১২৬ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন শামসুর। ১৮০ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের সপ্তদশ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
৬৯ রান করা আল আমিনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রেজাউর। ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু সিলেটের। একই ওভারে ফেরান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাবিদ হোসেনকেও। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার নিজের পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন ১১৪ রান করা শামসুরকেও। দিনের শেষ ওভারে তার চতুর্থ শিকার হন শহিদুল ইসলাম।
সিলেটের সেরা বোলার রেজাউর ৪৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৬৯ রানে ৩ উইকেট এনামুলের।
বৃষ্টির কারণে বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশাল ও চট্টগ্রামের মধ্যকার দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচের প্রথম দিনে মাঠে গড়ায়নি বল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৭৬ ওভারে ২৮২/৭ (আজমীর ১০, রাকিন ৪৮, শামসুর ১১৪, মার্শাল ১, আল আমিন ৬৯, জাবিদ ০, শরিফুল্লাহ ২১*, শহিদুল ৮, নিহাদুজ্জামান ০*; রেজাউর ২০-৩-৪৯-৪, আবিদুর ১০-০-৬২-০, এনামুল জুনিয়র ১৯-৫-৬৯-৩, নাসুম ১৭-৩-৫৭-০, রাহাতুল ২-০-৫-০, অলক ৭-০-২৫-০, গালিব ১-০-৮-০)