আঁটসাঁট সূচির ফাঁদে বাংলাদেশ

প্রস্তুতি ম্যাচ কি প্রয়োজন ছিল? প্রেস কনফারেন্স থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে প্রশ্নটা শুনে থামলেন রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছোট্ট করে দিলেন উত্তর, “অবশ্যই।”

ক্রীড়া প্রতিবেদকনাগপুর থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 09:10 AM
Updated : 9 Nov 2019, 09:10 AM

প্রথমবারের মতো ভারতে পূর্ণাঙ্গ সফরে এসে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ পায়নি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে এর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু টেস্ট সিরিজে প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে দ্বিতীয় টেস্ট দিবা-রাত্রির হয়ে যাওয়ার পর।

টেস্ট সিরিজের জন্য অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ আট খেলোয়াড় শুক্রবার ভারত এসেছেন। শনিবার কিছুটা সময় অনুশীলন করেছেন তারা। আপাতত লাল বল দিয়ে চলছে অনুশীলন। পরে মিলবে গোলাপী।

পেসার ইবাদত হোসেন জানালেন, আপাতত গোলাপী বল নিয়ে কিছু ভাবছেন না। এই মুহূর্তে তার সব ভাবনা লাল বল নিয়ে।

“প্রথম টেস্ট শেষ হলে পরে গোলাপী বল নিয়ে ভাবব। দুটো নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তালগোল পাকাতে চাই না।”

তাই বলে গোলাপী বল নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বাংলাদেশ দলে। অধিনায়ক মুমিনুল হক জানতে চান বলের সেলাই নিয়ে। সুতা থাকবে কোন রংয়ের।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন মনে করেন, গোলাপী বলে কালো সুতা খুব একটা কার্যকর নাও হতে পারে। কৃত্রিম আলোয় হুট করে চোখের আড়াল হয়ে যেতে পারে বল। পেসার ইবাদতের শঙ্কা সাদা রংয়ের সুতার ক্ষেত্রেও হতে পারে একই চিত্র।

দিবা-রাত্রির এখন পর্যন্ত যত ম্যাচ হয়েছে এর সবকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কোকাবোরা বল। ইডেন টেস্টে ব্যবহৃত হবে এসজি বল। এই বল কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে একটি শঙ্কা থাকছেই।

সেটা কিছুটা কাটানো যেত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে। কিন্তু সেটি নেই। প্রথম টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ালে গোলাপী বল নিয়ে কাজ করার সুযোগ মিলবে স্রেফ দুই দিন। যে দলের কোনো ক্রিকেটার দিবা-রাত্রির কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেনি তাদের জন্য কাজটা হবে ভীষণ কঠিন।

বাংলাদেশে গোলাপী বলে ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে কেবল একটি। ২০১৩ সালে বিসিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল। সেই দলের ২২ খেলোয়াড়ের কেউ নেই টেস্ট দলে।

ইন্দোরে প্রথম টেস্ট দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে বাংলাদেশের। এরপর নিজেদের ইতিহাসে খেলবে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। ক্রিকেটারদের জন্য কাজটা কত কঠিন হবে ভালো করেই জানেন ডমিঙ্গো। মহাগুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাই প্রস্তুতি ম্যাচ থাকা উচিত ছিল কি না প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলেন না।

“অবশ্যই। থাকলে খুব ভালো হত।”