আগামী রোববার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
গত কয়েক বছরে ভারতের বিপক্ষে বেশ কিছু ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। এর একটিতেও নেই কোনো সুখস্মৃতি। এবার নাগপুরের ম্যাচটিও হয়ে গেছে অলিখিত ফাইনাল। তবে আগের ম্যাচগুলো নিয়ে না ভেবে নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“ফাইনালের কথা যদি বলি,এটি নতুন একটি দিন থাকবে, নতুন একটি ম্যাচ হবে। আমার মনে হয়, বিগত দিনগুলোতে যা যা হয়েছে, সেসব নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। যেটা হয়ে গেছে তো গেছেই। আমরা ভিন্ন কিছু কী করতে পারি সেটা, গ্রুপ হিসেবে চিন্তা করা উচিত।”
“টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় আসবে। এমন মুহূর্তের মোকাবেলা করতে হতে পারে। কিভাবে আমরা সেই পরিস্থিতিগুলো উতরাতে পারব, সেদিকে মনোযোগ দেওয়াই ভালো হবে, পুরানো চিন্তাগুলো না করে।”
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। ১৫৪ রান তাড়ায় অধিনায়কের খুনে ইনিংসে ৮ উইকেটে জিতেছে ভারত। অমন জয়ের পর মোমেন্টাম যে স্বাগতিকদের দিকে থাকবে, সেটি মানছেন মাহমুদউল্লাহ।
“যেভাবে জিতেছে, অবশ্যই এই ম্যাচের পর ওদের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে। তবে আমার মনে হয় না আমাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হবে। প্রথম ম্যাচে দেখিয়েছি আমরা জিততে পারি। এই আত্মবিশ্বাস সবার ধরে রাখতে হবে যেন আমরা সিরিজটা জিততে পারি।”
“আমরা এটা জানি যে, ওদের স্ট্রাইক বোলার চেহেল। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট প্রয়োজন হলেই ওরা তাকে ব্যবহার করে। (রাজকোটে) আমরা চিন্তা করছিলাম, ওর বিপক্ষে কতটুকু কম ঝুঁকি নিয়ে বা গ্যাপ খুঁজে রান করতে পারি।”
“আমরা নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ওর বিপক্ষে ব্যাটিং করিনি। ওকে ডমিনেট করেও খেলতে চাইনি। মুশফিক তার শক্তির জায়গা স্লগ সুইপে আউট হয়েছে। আমি তাকে দোষ দিচ্ছি না। আমি কাউকেই দোষ দিচ্ছি না। (ত্রয়োদশ ওভারে) আমরা কিছু ভুল করেছি। দুটো উইকেট হারিয়েছি। এগুলো আমাদের বুঝতে হবে।”
দেশের মাটিতে কখনও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারেনি ভারত। তাদের হারের তেতো স্বাদ দিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাওয়ার কোনো বিকল্প দেখেন না মাহমুদউল্লাহ।
“ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে আপনি প্রতিদিন শিখবেন। কিছু সময় আমরা একই ভুল বারবার করি। গ্রেট প্লেয়াররা বারবার একই ভুল করে না। তারা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে। দল হিসেবে এই ভুলগুলো বারবার না করা আমাদের শিখতে হবে এবং বুঝতে হবে।”
রাজকোটে যেমন উইকেটে খেলা হয়েছে নাগপুরে মিলতে পারে তেমনই উইকেট। সেই ম্যাচে টপ অর্ডারের কোনো একজন ব্যাটসম্যানকে ১৫/১৬ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে চান অধিনায়ক।
“এই ধরণের উইকেটে একজন থিতু ব্যাটসম্যানের ১৫-১৬ ওভার থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে কিনা দলকে টানতে পারবে। সঙ্গে যারা থাকবে, তারা ছোট ছোট জুটিতে ২০-৩০ রান করতে পারলে সেটা অনেক সাহায্য করবে। যদি ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের দিকে দেখেন যে রোহিত একাই টেনে নিয়ে গেছে, অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আমাদের টপ অর্ডার থেকে যদি এমন একটি ইনিংস আসত, সম্ভবত আমাদের সুযোগ আরও বেশি থাকত ১৭০-১৮০ রান করার।”