ভারতের দাপুটে জয়
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পারেননি দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে। বোলাররাও পারেননি দারুণ কিছু উপহার দিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলতে। রোহিত শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডবে ভারত জিতেছে অনায়াসেই।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটে।
ভারতের বোলাররা বাংলাদেশকে ১৫৩ রানে আটকে রাখার পর দারুণ ইনিংস খেলে নিজের শততম টি-টোয়েন্টি রাঙিয়েছেন রোহিত। ভারতীয় অধিনায়ক খেলেছেন ৪৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংস।
তার বিদায়ের পর শ্রেয়াস আইয়ারের ১৩ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংসে ভারত জিতছে ২৬ বল বাকি রেখেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৩/৬ (লিটন ২৯, নাঈম ৩৬, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩০, আফিফ ৬, মোসাদ্দেক ৭*, আমিনুল ৫*; চাহার ৪-০-২৫-১, খলিল ৪-০-৪৪-১, সুন্দর ৪-০-২৫-১, চেহেল ৪-০-২৮-২, দুবে ২-০-১২-০, ক্রুনাল ২-০-১৭-০)
ভারত: ১৫.৪ ওভারে ১৫৪/২ ( রোহিত ৮৫, ধাওয়ান ৩১, রাহুল ৮*, শ্রেয়াস ২৪*; মুস্তাফিজ ৩.৪-০-৩৫-০, শফিউল ২-০-২৩-০, আল আমিন ৪-০-৩২-০, আমিনুল ৪-০-২৯-২, আফিফ ১-০-১৩-০, মোসাদ্দেক ১-০-২১-০)।
অবশেষে থামলেন রোহিত
বোলাদের তুলোধুনো হওয়ার দিনেও বেশ ভালো বোলিং করছিলেন আমিনুল ইসলাম। সেটির পুরস্কারও পেলেন। শিখর ধাওয়ানের পর এই লেগ স্পিনার নিলেন রোহিত শর্মার উইকেটও।
উইকেট পাওয়া ডেলিভারিটি অবশ্য দারুণ কিছু ছিল না। অনেকটা শর্ট লেংথেই ছিল বল, তবে নীচু হয়ে যায় খানিকটা। রোহিত পুল খেললেও লাগেনি ব্যাটের ভালো জায়গায়। সীমানায় ক্যাচ নিয়েছেন বদলি ফিল্ডার মোহাম্মদ মিঠুন।
নিজের শততম টি-টোয়েন্টিতে রোহিত ফিরলেন ৪৩ বলে ৮৫ রান করে। ১২.২ ওভারে ভারত ২ উইকেটে ১২৫।
অবশেষে উইকেট
রানের স্রোতের মাঝে অবশেষে বাংলাদেশকে একটি উইকেট এনে দিতে পারলেন আমিনুল ইসলাম। এই লেগ স্পিনার বোল্ড করে দিলেন শিখর ধাওয়ানকে।
আরেকপাশে রোহিত শর্মার খুনে ব্যাটিং দেখে ধাওয়ানও হয়তো চাইছিলেন নিজের ইনিংসের গতি বাড়াতে। বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন আমিনুলকে। তরুণ লেগ স্পিনার ভড়কে না গিয়ে ফ্লাইট দিয়ে একটু টেনে পিচ করান বল। ধাওয়ান পারেননি ব্যাটে-বলে করতে।
২৭ বলে ৩১ রান করে ফিরলেন ধাওয়ান। ভারত প্রথম উইকেট হারাল ১১৮ রানে।
ছবি: আইসিসি
বাংলাদেশের কোনো বোলারই থামাতে পারছেন না রোহিত শর্মাকে। নিজের প্রথম ওভারে তার ব্যাটে তুলোধুনো হলেন মোসাদ্দেক হোসেন। ওভারের প্রথম তিন বলেই হজম করেছেন ছক্কা।
১০ ওভারেই ভারতের রান ১১৩। বাংলাদেশ উইকেট নিতে পারেনি একটিও। ৩৬ বলে ৭৯ রানে খেলছেন রোহিত, ২৪ বলে ২৮ ধাওয়ান।
ভারতের একশ
পাওয়ার প্লে শেষ হলেও ভারতীয় ওপেনারদের থামাথামির নাম নেই। দলের শতরান হয়ে গেছে ৯.২ ওভারেই।
দারুণ খেলতে থাকা রোহিত শর্মা পঞ্চাশে পৌঁছে গেলেন বিশাল এক ছক্কায়। আক্রমণে আসা আফিফ হোসেনের প্রথম ডেলিভারিতেই স্লগ সুইপে উড়িয়ে ভারতীয় অধিনায়ক ফিফটি করলেন কেবল ২৩ বলেই।
অপ্রতিরোধ্য রোহিত
দুই প্রান্তে দুই ওপেনার দেখা দিলেন দুই রকম রূপে। তবে রোহিত শর্মা এতটাই উজ্জ্বল যে, শিখর ধাওয়ানের মলিন চেহারাতেও দল পেয়ে গেছে দারুণ শুরু।
রোহিত ছুটে চলেছেন অপ্রতিরোধ্য গতিতে। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়েও ছোঁয়া থাকছে নান্দনিকতার। চোখধাঁধানো সব শটে নাকাল করে ছাড়ছেন বাংলাদেশের পেসারদের।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ভারত তুলেছে বিনা উইকেটে ৬৩ রান। ২১ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত রোহিত, ১৫ বলে ১৩ ধাওয়ান।
রোহিতের ঝড়ো শুরু
নিজের শততম টি-টোয়েন্টিতে দৃষ্টিনন্দন সব শট শটের পসরা মেলে ধরেছেন রোহিত শর্মা। আরেক পাশে শিখর ধাওয়ানও ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভালো কিছুর। দুজনের সৌজন্যে রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা হয়েছে দারুণ গতিময়।
নতুন বল হাতে ইনিংসের প্রথম দুই বলই ওয়াইড দিয়ে শুরু করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভালো করতে পারেননি তিনি পরেও। তার ২ ওভার থেকে এসেছে ২৫ রান।
৪ ওভারে ভারতের রান ৩৭। ১২ বলে ২২ রানে খেলছেন রোহিত, ১২ বলে ১১ ধাওয়ান।
শুরুটা দুর্দান্ত হলেও মাঝপথে দিশা হারানো বাংলাদেশ শেষটা করতে পারেনি খুব ভালো। প্রত্যাশার চেয়ে তাই বেশ কম রানে থমকে গেছে গেছে দলের ইনিংস। ২০ ওভারে তুলেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।
মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করেছেন সর্বোচ্চ, কিন্তু অন্য প্রান্তে আফিফ-মোসাদ্দেকরা পারেননি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে। ৮ বলে ৬ রান করেছেন আফিফ, ৯ বলে অপরাজিত ৭ মোসাদ্দেক।
শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে কেবল ১৭ রান। যুজবেন্দ্র চেহেলের লেগ স্পিন ও ওয়াশিংটন সুন্দরের অফ স্পিন ভুগিয়েছেন দলকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৩/৬ (লিটন ২৯, নাঈম ৩৬, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩০, আফিফ ৬, মোসাদ্দেক ৭*, আমিনুল ৫*; চাহার ৪-০-২৫-১, খলিল ৪-০-৪৪-১, সুন্দর ৪-০-২৫-১, চেহেল ৪-০-২৮-২, দুবে ২-০-১২-০, ক্রুনাল ২-০-১৭-০)
ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহও
শেষ দিকে ঝড় তোলার জন্য যার ব্যাটে তাকিয়ে ছিল দল, সেই মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলেন শেষের আগের ওভারে।
আউট হওয়ার আগে দারুণ খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলের রান বাড়ানোর কাজ করছিলেন তিনিই। সেই চেষ্টাতেই বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন দিপক চাহারকে। বোলার চাহার সেটি বুঝে শর্ট লেংথে করেন স্লোয়ার ডেলিভারি। মাহমুদউল্লাহ তবু চেয়েছিলেন আপার কাট করতে। কিন্তু জোর পাননি শটে। সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে।
২১ বলে ৩০ রান করে আউট মাহমুদউল্লাহ। ১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৪২।
পারলেন না আফিফ
আফিফ হোসেন পারলেন না সময়ের দাবি মেটাতে। খলিল আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফিরলেন ৮ বলে ৬ রান করে।
প্রথম ২ ওভারে খরুচে খলিলকে আরেকটি সুযোগ দিলেন অধিনায়ক রোহিত। খলিল প্রতিদান দিলেন নতুন স্পেলের প্রথম ওভারে উইকেট এনে দিয়ে। দ্রুত রানের খোঁজে থাকা আফিফ জায়গা বানিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন খলিলকে। টাইমিং হয়নি ঠিক মতো। কাভারে ক্যাচ নিলেন রোহিত।
১৬.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১২৮।
মুশফিককে হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই আরেকটি বড় ধাক্কা। এবার ফিরলেন সৌম্য সরকার। এক ওভারেই বড় দুটি শিকার ধরলেন যুজবেন্দ্র চেহেল।
সৌম্যকে বেরিয়ে আসতে দেখেই হয়ত স্টাম্পের বাইরে গুগলি করেছিলেন চেহেল। বল পিচ করে আরও বেরিয়ে যায় বাঁহাতি সৌম্যর ব্যাটের বেশ দূর দিয়ে। কিপার পান্ত বল ধরে উড়িয়ে দেন বেলস।
এবারও তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে নেন, পান্ত স্টাম্পের আগে থেকেই বল ধরেছেন কিনা। তবে এবার ভুল করেননি ভারতীয় কিপার। তৃতীয় আম্পায়ার অবশ্য ভুল করে শুরুতে ‘নট আউট’ ঘোষনা দিয়েছিলেন। পরে আবার জানিয়ে দেন ‘আউট।’
দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য বিদায় নিলেন ২০ বলে ৩০ রান করে। বাংলাদেশ ১৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৩।
বাংলাদেশের একশ
উদ্বোধনী জুটি ফেরার পর দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন সৌম্য সরকার। খেলেছেন চোখধাঁধানো কয়েকটি শট। দ্রুত বাড়িয়ে নিয়েছেন রান। তবে একটু ছন্দপতন হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে। ১২.৩ ওভারে বাংলাদেশ স্পর্শ করেছেন শতরান।
প্রিয় শটে মুশফিকের বিদায়
সুইপ ও স্লগ সুইপে ক্যারিয়ারে অনেক রান করেছেন মুশফিক। এই শটে আউটও হয়েছেন অনেকবার। আরও একবার প্রিয় শট তাকে ড্রেসিং রুমে ফিরিয়ে নিল দ্রুত।
মুশফিকের স্লগ সুইপের জন্যই লেগ সাইডে তিন জন ফিল্ডার রেখেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। যুজবেন্দ্র চেহেল বোলিং করলেন ফিল্ডিং অনুযায়ীই। মুশফিক তো এই শট খেলবেনই। টাইমিং হলো না ঠিকমতো। বল গেল সোজা ফিল্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাতে।
বাংলাদেশের আগের ম্যাচের নায়ক ফিরে গেলেন ৬ বলে ৪ রানে। বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৭।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর থেকে ঠিক হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না মোহাম্মদ নাঈম শেখ। একটু অধৈর্য্য হয়ে উঠছিলেন। খেসারত দিলেন সেটিরই।
ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পেলের শেষ ওভারে স্লগ সুইপ খেললেন নাঈম। কিন্তু শটে ছিল না যথেষ্ট জোর। মিড উইকেট সীমানার বেশ ভেতরেই সহজ ক্যাচ নিলেন শ্রেয়াস আইয়ার।
৩১ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নিলেন নাঈম। ১০.৩ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৮৩।
মাঝপথে বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর রানের গতি কমেছে কিছুটা। তারপরও অবশ্য বাংলাদেশ এগোচ্ছে বলপ্রতি রান নিয়ে। ৬ ওভারে রান ছিল ৫৪, পরের ৪ ওভারে এসেছে ২৪।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৭৮।
পান্তের প্রায়শ্চিত্ত
নিজের ভুলে লিটন দাসকে জীবন দিলেও রিশাভ পান্ত পুষিয়ে দিলেন দ্রুতই। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ফিল্ডিংয়ে লিটনকেই ফিরিয়ে ভাঙলেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি।
চেহেলের গুগলি পড়তে পারেননি লিটন। বল তার প্যাডে লেগে ছিল পিচের কাছেই। কিন্তু লিটন হয়তো বুঝতে পারেননি। ছুটতে থাকেন রান নিতে। পান্ত দ্রুত ছুটে বল কুড়িয়ে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করে দেন লিটনকে।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রান আউট না হলেও ভারত রিভিউ নিলে এলবিডব্লিউ হতেন লিটন।
২১ বলে ২৯ রান করে ফিরলেন লিটন। ভাঙল ৪৫ বলে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৭.২ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৬০।
আগের ওভারে কোনো রকমে রক্ষা পাওয়ার রেশ থাকতে থাকতেই আরেকবার জীবন পেলেন লিটন দাস। ওয়াশিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ খেলে বল তুলে দিয়েছিলেন আকাশে। ছুটে এসেছিলেন তিন জন ফিল্ডার। কিন্তু ক্যাচ নিতে পারেননি কেউ। লিটনের রান তখন ২৬।
বাংলাদেশের ভালো শুরু
পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। জীবন পাওয়ার পরের দুই বলেই চেহলকে বাউন্ডারি মারলেন লিটন। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৫৪।
নাঈম তখন খেলছেন ২০ বলে ২৭ রানে, ১৭ বলে ২৬ লিটন।
বেঁচে গেলেন লিটন
লেগ স্পিন আক্রমণে আসতেই উইকেটের উপলক্ষ্য তৈরি করেছিল ভারত। কিন্তু রিশাভ পান্তের কিপিং ব্যর্থতায় অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গেলেন লিটন দাস।
যুজবেন্দ্র চেহেলের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে অনেকটা বেরিয়ে এসে তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়েছিলেন লিটন। ব্যাট নাগাল পায়নি বলের। স্টাম্পিংয়ের অনায়াস সুযোগ। বল ধরে চকিতে বেলস ফেলেও দেন কিপার পান্ত। লিটন হাঁটা দিয়েছিলেন ড্রেসিং রুমের দিকে। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ধরার সময় পান্তের গ্লাভসের সামান্য অংশ ছিল স্টাম্পের সামনে!
১৭ রানে জীবন পেলেন লিটন।
আত্মবিশ্বাসী শুরু
দিপক চাহারের করা ম্যাচের প্রথম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মারেন লিটন দাস। পরের ওভারে খলিল আহমেদের প্রথম তিন বলেই বাউন্ডারি আসে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে।
২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ২০।
রোহিতের সেঞ্চুরি
এই ম্যাচে মাঠে নেমেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোহিত শর্মা। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি।
সব দেশ মিলিয়েই একশ টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন আর কেবল একজন। পাকিস্তানের শোয়েব মালিক খেলেছেন ১১১ ম্যাচ। মালিকের স্বদেশী শহিদ আফ্রিদির ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে ৯৯ টি-টোয়েন্টিতে।
ভারতের হয়ে রোহিতের পর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, ৯৮টি।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। রাজকোটের ম্যাচ তকার ক্যারিয়ারের ৮৩তম। মাহমুদউল্লাহ এই ম্যাচ নিয়ে খেলছেন ৮২ ম্যাচ।
অপরিবর্তিত দুই দল
প্রথম ম্যাচে হারলেও একাদশে পরিবর্তন আনেনি ভারত। সেই ম্যাচে শেষ দিকে খরুচে হলেও বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ খলিল টিকে গেছেন একাদশে। অধিনায়ক রোহিত জানালেন, ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত সুযোগ তিনি দিতে চান।
পরিবর্তন নেই বাংলাদেশের একাদশেও।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, রিশাভ পান্ত, শিবম দুবে, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চেহেল, দিপক চাহার, খলিল আহমেদ। |
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাঈম শেখ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন। |
টসে হাসি ভারতের
চোখ বন্ধ করে মুদ্রা ওপরে ছুঁড়েছিলেন রোহিত শর্মা। মাহমুদউল্লাহ ডেকেছিলেন ‘টেইলস’, কিন্তু পড়ল ‘হেড’। টস জিতে রোহিত বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালেন ভারতীয় অধিনায়ক।
রোহিতের মতে, উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। ম্যাচের পরের ভাগেও উইকেট একই থাকবে, রান তাড়ায় সমস্যা হবে না।
টস জিতলে বাংলাদেশও আগে বোলিং বেছে নিত বলে জানালেন মাহমুদউল্লাহ। তবে আগে ব্যাট করতেও তার আপত্তি নেই, গড়তে চান বড় স্কোর।
ব্যাটিং উইকেট
রাজকোটের উইকেটকে বলা হয় ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উইকেটগুলোর অন্যতম। এই মাঠে আগে দুটি টি-টোয়েন্টি হয়েছে। একটিতে অস্ট্রেলিয়ার ২০১ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। আরেকটিতে আগে ব্যাট করে ভারত করেছিল ১৯৬ রান।
পিচ রিপোর্টে সুনীল গাভাস্কার বললেন, এই ম্যাচেও যথারীতি উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ। তার মতে, আগে ব্যাট করা দলের অন্তত ১৭০-১৮০ রান করা উচিত। তবে বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড কিছুটা ভারি থাকতে পারে বলে ধারণা তার।
বাংলাদেশের হাতছানি
শক্তি-সামর্থ্য ও আত্মবিশ্বাসে অনেকটা পিছিয়ে থেকে সিরিজ শুরু করলেও বাংলাদেশ চমকে দিয়েছে প্রথম ম্যাচে। ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এগিয়ে গেছে সিরিজে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের সামনে হাতছানি সিরিজ জয়ের।
জিততে পারলে বাংলাদেশ গড়বে নতুন ইতিহাস। প্রথমবার ভারতে সিরিজ খেলতে এসেই জয়! ভারতে এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি উপমহাদেশের কোনো দল।
ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে কেবল ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া।
কেটেছে শঙ্কার মেঘ
সাইক্লোন মাহার প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল রাজকোটে। পূর্বাভাসে বৃষ্টির শঙ্কা ছিল পরের দিনও। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে তাই ছিল শঙ্কা। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরে আকাশ ছিল ঝকঝকে। পরে দিনজুড়ে রোদ-মেঘের খেলা চললেও আর বৃষ্টি হয়নি। ফুরফুরে বাতাসে উড়ে গেছে ম্যাচ নিয়ে সংশয়ও।