বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীকে সামনে রেখে এবার আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ বিপিএল। নাম ঠিক করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। আগের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এবার সব দল থাকবে বিসিবির তত্ত্বাবধানে।
আগে বলা হয়েছিল, এবারের আসর শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর। তার দু-একদিন আগে উদ্বোধন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তার সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে বদলানো হয়েছে তারিখ। বুধবার বিসিবিতে সভা শেষে নতুন তারিখ জানালেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান।
“বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরু হচ্ছে ৮ তারিখ (ডিসেম্বর), সরকার এর মধ্যেই ঘোষণা করেছে। আমরা আনন্দিত একটি কারণে যে, প্রথম দিনেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বিপিএল উদ্বোধনের জন্য সম্মতি দিয়েছেন। আমাদের জন্য এটি বিরাট ব্যাপার, প্রথম দিন থেকে ক্রিকেট দিয়ে শুরু হচ্ছে।”
“৮ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, ১১ তারিখ খেলা শুরু হবে।”
উদ্বোধনী আয়োজন জমজমাট করার কথা বেশ কিছু দিন থেকেই বলে আসছে বিসিবি। বুধবারের সভা শেষে বিসিবি সভাপতি জানালেন দারুণ সব চমক উপহার দেওয়ার কথা।
“যেহেতু বঙ্গবন্ধুর নামে হচ্ছে, জাকজমকপূর্ণভাবে করা উচিত। এটুকু বলতে পারি, ক্রিকেট বোর্ডের ইতিহাসে এত জাঁকজমকপূর্ণভাবে কোনো আয়োজন করা হয়নি। সেরকম কিছু করারই ইচ্ছে আছে।”
“বিরাট প্রোগ্রাম, এখন বলা যাবে না (আয়োজনে যা থাকবে)। তবে অনেক অনেক কিছু থাকবে। এত কিছু একসঙ্গে বাংলাদেশে আর হয়নি, তেমন কিছু করার ইচ্ছে আছে।”
আগামী ১৭ নভেম্বর হবে এবারের আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। আগের বারের মতোই ৭ দল নিয়ে হবে টুর্নামেন্ট।
বিসিবির তত্ত্বাবধানে আয়োজন হলেও দলগুলির জন্য আলাদা স্পন্সর আহবান করেছিল বিসিবি। বিসিবি সভাপতি জানালেন, ৫টি স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এর মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বাকি দুটি সরাসরি বিসিবি পরিচালনা করার সম্ভাবনাই বেশি। স্পন্সরদের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক করা হবে দলগুলির নাম।
কিছুদিন আগে বিসিবি জানিয়েছিল, দলগুলির কোচ হতে আগ্রহ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন অনেকে। তাদের মধ্য থেকে চার জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বুধবারের সভায়।
তাদের নাম অবশ্য এখনই জানালেন না বিসিবি প্রধান। তবে জানিয়ে রাখলেন, “ভালো ভালো কোচ। সবচেয়ে নামকরা যারা আছেন, জাতীয় দলের জন্য যাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, ওই ধরনের কোচই আসবে।”