ম্যাচ সরাতে বিসিবির দাবি রাখেনি ভারত

দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমের খবর বাড়াচ্ছিল উদ্বেগ। খেলোয়াড়-কোচদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত হতে পারছিলেন না বিসিবি প্রধান। পরিস্থিতি দেখতে চলে আসেন দিল্লিতে। প্রথম টি-টোয়েন্টির ভেন্যু এসে বড় ধাক্কা খান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বলেন ভেন্যু পরিবর্তনের জন্য। এখন আর সম্ভব নয়, বলে রাজি হয়নি স্বাগতিকরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকদিল্লি থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2019, 02:28 PM
Updated : 3 Nov 2019, 03:37 PM

টিম হোটেলে সকাল থেকে সবাই নজর রাখছিলেন এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্কের মনিটরে। চারশ, পাঁচশ, ছয়শ ছাড়িয়ে সাতশয় গিয়ে ঠেকে ইনডেক্স। ভারতের রাজধানীর কোথাও কোথাও ছিল ৯৯৯! এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ম্যাচ সম্ভব, প্রশ্নটা বিসিসিআইকে করেছিলেন নাজমুল হাসান।

“প্রথম থেকেই ওরা বলছিল এটা আসলে শিফট করা যাবে না। ওরা বলছে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এটা এখন আর বদলানো যাবে না। এটা নিয়ে হতাশ ছিলাম। আজও ওদের সঙ্গে বসেছিলাম। ওরা যেটা বলেছে, সকাল থেকে যত বেলা গড়াবে পরিস্থিতি ভালো হবে। সন্ধ্যায় যখন খেলা শুরু হবে তখন অনেক বেটার থাকবে। ওরা বলেছে লাইটে সমস্যা হওয়ার কথা না।”

ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলাও শুরু হয়।

বিসিবি প্রধানের দাবি, খুব বেশি আগে দিল্লির দূষণের খবর পাননি।

“শেষ মুহূর্তে যখন জেনেছি ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিন দিন আগে যখন আমি ইন্টারনেটে দেখতে গেলাম, তখন যেটা দেখলাম সত্যি ভয় পেয়ে গেলাম। তার পরদিন যখন স্কুল বন্ধ করে দিল, মানে অনেকটা জরুরি অবস্থা আরকি। টেলিফোনেই কথা হচ্ছিল কোচের সঙ্গে, (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ-মুশফিকের সঙ্গে। তারা বলল- বেশ অসুবিধা তবে পারব মনে হয়। কেউ একেবারে না করছে না।”

“বিমানবন্দরে নামার পরে আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনি। বিমানবন্দরের ভেতরেই তো ধোঁয়াশা দেখলাম। কাল দলের সঙ্গে বসলাম। আজ সকালে উঠে প্রথমেই বাইরে আসলাম, আরও খারাপ। এত খারাপ কল্পনাই করা যায় না। তখন থেকেই বলছি, কীভাবে খেলা হবে। বল দেখবে কীভাবে। আমরা তো কিছুই দেখতে পারছি না।”

তবে শঙ্কা পেছনে ফেলে মাঠে গড়িয়েছে খেলা। সিরিজে নিজের দলের দারুণ সম্ভাবনা দেখেন বিসিবি প্রধান।

“ভারত অনেক শক্তিশালী দল সবাই জানে। ভারতে এসে ভারতকে হারানো প্রায় অসম্ভব। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা বড় বড় দলগুলো এসে হিমশিম খেয়েছে। ওরা দাঁড়াতেও পারেনি। কিন্তু একটা কথাও বলি, ওদের দেশে এসে যদি কেউ ওদের হারাতে পারে সেটা বাংলাদেশ।”