ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সমতায় নিউ জিল্যান্ড

ব্যাটিংয়ে ঝড় উঠল নিয়মিত। বোলিং হলো ক্ষুরধার, ফিল্ডিং দুর্দান্ত। অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরল নিউ জিল্যান্ড। ইংল্যান্ড পারল না গোছানো পারফরম্যান্সে জবাব দিতে। অনায়াস জয়ে তাই কিউইরা সিরিজে ফেরাল সমতা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2019, 06:28 AM
Updated : 3 Nov 2019, 06:28 AM

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোববার ২১ রানে জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে ১৭৭ রান তাড়ায় ইংলিশদের ইনিংস শেষ হয় ১৫৫ রানে।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৭ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড।

টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া ইংলিশদের শুরুটা মন্দ ছিল না। বিপজ্জনক কলিন মানরোকে (৭) দ্রুত ফেরান স্যাম কারান। এরপর প্রতিপক্ষের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ছোট কিন্তু কার্যকরী জুটিতে এগুতে থাকে স্বাগতিকরা। ঝড় ওঠে মার্টিন গাপটিলের ব্যাটে।

৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস আসে গাপটিলের ব্যাট থেকে। তার আগে কিপার-ব্যাটসম্যান সাইফার্টকে (১৬) ফেরান অভিষিক্ত সাকিব মাহমুদ। তবে ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি মিডিয়াম পেসার বাকি সময়ে ছিলেন বেশ খরুচে।

১২ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৮ রান করা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফেরান আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া পেসার লুইস গ্রেগোরি।

থিতু হওয়া রস টেইলরকে (২৪ বলে ২৮) ঝড় তুলতে দেননি ক্রিস জর্ডান। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এই পেসার শেষ দিকে নেন আরও দুই উইকেট।

সুবিধা করতে পারেননি ড্যারিল মিচেলও। তবে শেষ দিকের দাবি মেটান জিমি নিশাম। ইনিংসের শেষ বলে জর্ডানের শিকার হওয়ার আগে ৪ ছক্কা ও ২ চারে খেলেন ২২ বলে ৪২ রানের ইনিংস। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

২৩ রানে ৩ উইকেট নেন জর্ডান, ২২ রানে ২টি কারান।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। প্রথম বলেই জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন টিম সাউদি। পরের ওভারে জেমস ভিন্সকে ফেরান ইশ সোদি।

অধিনায়ক মর্গ্যান চেষ্টা করেছেন প্রতি আক্রমণের। তবে তিনটি করে ছক্কা-চারে ১৭ বলে ৩২ রান করে তিনিও ইশ সোদির শিকার হলে চাপ বাড়ে ইংলিশদের।

স্পিন ফাঁদে আটকে গিয়ে স্যাম বিলিংস ও কারান ফেরেন দ্রুতই। তার পরও তাদের ভরসা হয়ে ছিলেন দাভিদ মালান। কিন্তু ২৯ বলে ৩৯ রান করে যখন তিনিও ফিরলেন, শেষ হয়ে গেল দলের আশাও। রান তখন ৬ উইকেটে ৯৩!

মিইয়ে যাওয়া ম্যাচে শেষ দিকে কিছুটা প্রাণ ফিরিয়েছিলেন ক্রিস জর্ডান। তবে তিনটি করে ছয় ও চারে তার ১৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।

বাঁহাতি স্পিনে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা স্যান্টনার।

সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ হবে মঙ্গলবার নেলসনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৬/৮ (গাপটিল ৪১, মানরো ৭, সাইফার্ট ১৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ২৮, টেইলর ২৮, মিচেল ৫, নিশাম ৪২, স্যান্টনার ০, সাউদি ৪*; স্যাম কারান ৪-০-২২-২, মাহমুদ ৪-০-৪৬-১, জর্ডান ৪-০-২৩-৩, ব্রাউন ২-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-৪০-১, গ্রেগোরি ২-০-১০-১)

ইংল্যান্ড: ১৯.৫ ওভারে ১৫৫ (বেয়ারস্টো ০, মালান ৩৯, ভিন্স ১, মর্গ্যান ৩২, বিলিংস ৮, স্যাম কারান ৯, গ্রেগরি ১৫, জর্ডান ৩৬, রশিদ ৪, মাহমুদ ৪, ব্রাউন ৪*; সাউদি ৪-০-২৫-২, ফার্গুসন ৪-০-৩৪-২, স্যান্টনার ৪-০-২৫-৩, সোধি ৪-০-৩৭-২, মিচেল ১.৫-০-৯-১)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ২১ রানে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা

ম্যান অব দা ম্যাচ: মিচেল স্যান্টনার