তিন পেসারের সঙ্গে একাদশে আমিনুল

আল আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলামের কথা ঘুরে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে কয়েকবার বললেন মাহমুদউল্লাহ। প্রতিপক্ষের চেয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যকারিতার দিক থেকে এগিয়ে রাখলেন নিজেদের পেস আক্রমণকে। অধিনায়কের কথায় তিন পেসার নিয়ে খেলার স্পষ্ট ইঙ্গিত। বোলিং আক্রমণে তাদের সঙ্গী হতে পারেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকদিল্লি থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2019, 07:24 PM
Updated : 2 Nov 2019, 07:51 PM

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রোববারের টি-টোয়েন্টিতে বড় রান আশা করছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে লড়াইয়ে রাখতে ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ দিলেন তিনি।

টপ অর্ডারে সফরকারীরা নির্ভর করতে পারে তরুণদের ওপর। তামিম ইকবাল ও সাকিব না থাকায় টপ অর্ডারে পরিবর্তন আনতেই হতো বাংলাদেশের। লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ ব্যাটিং করতে পারেন প্রথম তিনে। 

চার-পাঁচে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। পরের দুটি স্থানে থাকতে পারেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেন। তিন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক ও আফিফের পঞ্চম বোলারের কাজটা চালিয়ে নিতে হতে পারে।

দলের প্রয়োজনে যে কোনো পজিশনে ব্যাটিং করতে পারেন মোহাম্মদ মিঠুন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে হাতে চোট পাওয়ার পর কিছু দিন মাঠের বাইরে ছিলেন আমিনুল। ভারতে আসার আগে মিরপুরে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচে নজরকাড়া বোলিং করেছেন এই তরুণ লেগ স্পিনার।

একাদশে কোনো বাঁহাতি স্পিনার রাখা বাংলাদেশের জন্য বেশ বিরল। এবার হয়তো তেমন চিত্রই দেখা যাবে। কম্বিনেশর প্রয়োজনে বাইরেই থাকতে পারেন দুই বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ও তাইজুল ইসলাম।

অধিনায়কের কথায় আছে লেগ স্পিনার খেলানোর ইঙ্গিত।

“আমরা স্কোয়াডে একজন লেগ স্পিনার চেয়েছিলাম, সেটা পেয়েছি। আমাদের ভালো একটি বোলিং আক্রমণ রয়েছে।”

তিন পেসার খেলানো হলে কাদের নেওয়া হবে সেটা সংবাদ সম্মেলনে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহর কথায়। আল আমিন, মুস্তাফিজ ও শফিউলের বোলিংয়ে অগাধ আস্থা অধিনায়কের।

“আমি খুশি যে, আল আমিন কামব্যাক করেছে। অনেক দিন ধরে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছে ও। আল আমিনের সঙ্গে মুস্তাফিজ, শফিউলের মতো অভিজ্ঞ পেসার রয়েছে।”