তবে ব্যাটসম্যানদের দাপটের দিনে ভারত সফরের প্রস্তুতিটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসানের।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম দিন শেষে ১৬২ রানে অপরাজিত আছেন সাদমান। অপরাজিত আরেক ব্যাটসম্যান জাবিদ হোসেনের সংগ্রহ ৭ রান। মেট্রোর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৫৭ রান।
আগের রাউন্ডে বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচের তিন দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার ব্যাটিংয়ের তেমন সুযোগ পাননি সাদমান। শেষ দিনে অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। এর আগের ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ৬ রান। তাই ভারত সফরের আগে বড় রান পাওয়ার এটাই ছিল শেষ সু্যোগ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা মেট্রো শুরুতেই হারায় উইকেট। ওপেনার আজমির আহমেদকে শূন্য রানে ফেরান হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ শামসুর রহমানকে নিয়ে ৯৭ রানের জুটি গড়েন সাদমান। ঠিক ৫০ রান করে নাঈম হাসানের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন শামসুর।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মার্শালের সঙ্গে ৮০ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়া সাদমান সেঞ্চুরি তুলে নেন ১৮৪ বলে। সেঞ্চুরির পথে হাঁকান ১৪টি চার ও একটি ছক্কা।
দিনের সেরা জুটিটি গড়েন আল আমিন ও সাদমান। চতুর্থ উইকেটে ১৬২ রান যোগ করেন দুজনে। ১১০ বলে ৮৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে শেষ বিকেলে মেহেদী হাসান রানার বলে আউট হয়ে যান আল আমিন।
২৯ ওভারে ৯৭ রান দিয়ে মাত্র ১টি উইকেট পান নাঈম। ৬৫ রানে দুই উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সেরা বোলার মেহেদী হাসান রানা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩৫৭/৪ (সাদমান ১৬২*, আজমীর ০, শামসুর ৫০, মার্শাল ৪০, আল আমিন ৮৩, জাবিদ ৭*; হাসান ১৪-১-৬৫-২, ইফরান ১৫-১-৫৮-০, নাঈম্ ২৯-৬-৯৭-১, মেহেদী ১৩-২-৫৯-১, আফ্রিদি ১৪-১-৫৩-০, তাসামুল ৫-১-১৮-০)