কোহলির শহরে কোহলির প্যাভিলিয়নে

বাংলাদেশের বিপক্ষে আসছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে নেই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তবে না থেকেও যেন আছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের একটি প্যাভিলিয়ন তার নামে করার পর এটাই যে এখানে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকদিল্লি থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2019, 03:38 PM
Updated : 1 Nov 2019, 10:35 PM

অনেকের মতে বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি। পরিসংখ্যানে আছে সেই দাবিকে জোরালো করার উপাদান। টানা খেলার মধ্যে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বিশ্রাম নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে। তার জায়গায় ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে। এই ম্যাচকে সামনে রেখে শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। আলোচনার কেন্দ্রে আছে দূষণ। সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়েও চর্চা কম হচ্ছে না। এরই মাঝে স্থানীয়দের মন খারাপ, ঘরের ছেলের খেলা দেখা যাবে না ঘরের মাঠে।

আইসিসির টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রেটিংয়ের রেকর্ড কোহলির অধিকারে। অর্জুনা পুরস্কার, পদ্মশ্রী, রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কার জিতেছেন এরই মধ্যে। জিতেছেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।

তিন সংস্করণেই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। গড়েছেন অনেক অনন্য কীর্তি। হাতছানি দিচ্ছে আরও অনেক রেকর্ড। ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলির অবদানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের একটি প্যাভিলয়নের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে।

স্টেডিয়ামের নামও সম্প্রতি পাল্টেছে দিল্লি এন্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বা ডিডিসিএ। সাবেক মন্ত্রী ও ডিডিসিএর প্রধান অরুণ জেটলির নামে নামকরণ করেছে স্টেডিয়ামের। মাঠের নাম অবশ্য থেকে গেছে ফিরোজ শাহ কোটলাই।

১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিডিসিএ দুই বছর পর ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠ অধিগ্রহণ করে। ভারতের বিপক্ষে সিলনের প্রথম শ্রেণির ম্যাচ দিয়ে রোশানারা ক্লাব থেকে ক্রিকেট চলে আসে এই ভেন্যুতে।

১৯৩৩ সালে প্যাভিলিয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। তিন বছর পর এখানে প্রথমবারের মতো রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ হয়। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট হয় ফিরোজ শাহ কোটলায়। স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এরপর থেকে অসংখ্য অর্জনের সাক্ষী ফিরোজ শাহ কোটলা। সেই সব অর্জন ছাপার অক্ষরে স্থান পেয়েছে স্টেডিয়ামের অভ্যর্থনা কক্ষে। স্থানীয় ক্রিকেটারদের নামে নামকরণ করা হয়েছে স্ট্যান্ড, গেইটের।

স্টেডিয়ামে প্রবেশের সাত গেইটের দুটি রাখা হয়েছে সাবেক দুই ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগ ও আঞ্জুম চোপড়ার নামে। গেইটে একটি পাশে রয়েছে শেবাগের বড় একটি ছবি। অন্য পাশে তার ক্যারিয়ারের হাইলাইটস। মহিলা দলের সাবেক অধিনায়ক চোপড়ার অর্জনগুলো লেখা আছে একপাশে, আরেকপাশে তার বিশাল ছবি।    

একটি স্ট্যান্ড বিষেন সিং বেদীর নামে। আরেকটি মহিন্দর অমরনাথের নামে।

প্রচণ্ড বায়ুদূষণে দিল্লির আকাশ ঢেকে আছে ধোঁয়াশায়। দৃষ্টি সীমা ক্রমেই কমছে। তবুও আপন আলোয় উজ্জ্বল ফিরোজ শাহ কোটলা।