আকরাম শুধু সাবেক অধিনায়কই নন, বিসিবির বড় একটি দায়িত্বেও আছেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান তিনি। ক্রিকেটারদের ভালো-মন্দ, মাঠের ক্রিকেট, সূচি, খেলা সংক্রান্ত সবকিছু এই বিভাগের কাজ। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আকরামের প্রতিক্রিয়ায় থাকল তার সব সত্ত্বার প্রকাশ।
“খুবই খারাপ লাগছে। অনেক দিন পর আমরা ভারতে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছি, সেখানে ওকে মিস করছি। বিশ্বকাপে এত ভালো পারফর্ম করেছে, দারুণ ফর্মে ছিল। ওর জন্য খারাপ লাগছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খারাপ লাগছে। তবে আমি চাই, এই ধরনের ভুল যেন আর কেউ না করে। যারা খেলছে, যারা খেলবে, তারা যেন ক্রিকেটেই মনোযোগ দেয়।”
টেস্ট পূর্ব যুগে ১৫টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক ব্যাটসম্যান জোর দিয়েই বলছেন, সাকিব ফিরবেন ভালোভাবে।
“আমার আশা, যে ধরনের শক্ত মানসিকতার ক্রিকেটার ও, আমার বিশ্বাস, অনেক তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে ও।”
আকরামের একসময়কার সতীর্থ ও আরেক সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল হতাশার কথা জানালেন ছোট্ট করে, “দেশের সেরা ক্রিকেটারকে আমরা ১ বছর পাব না। খুবই খারাপ অবশ্যই আমাদের ক্রিকেটের জন্য।”
এবার মিনহাজুলের সামনে চ্যালেঞ্জ লম্বা সময় সাকিবকে ছাড়া দল গড়ার। কাজটা কতটা কঠিন, তিনি নিজেও তুলে ধরলেন। দেখাতে চাইলেন আশার আলোও।
“অনেক বড় শূন্যতা অবশ্যই। সে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। স্বাভাবিকভাবে অনেক বড় শূন্যতা পূরণ করা নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের। এইচপিতে (হাই পারফরম্যান্স দল) আমরা অনেক ক্রিকেটারকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আশা করব ওরা আস্তে আস্তে নিজেদের জায়গা করে নেবে।”
নির্বাচক কমিটিতে মিনহাজুলের সঙ্গে আছেন হাবিবুল। তিনিও সাবেক অধিনায়ক, দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। সাকিবের ক্যারিয়ারের শুরুর অনেকটা দিন তিনিই ছিলেন অধিনায়ক। কাছ থেকে দেখেছেন ক্রিকেটার সাকিবকে বেড়ে উঠতে। ব্যক্তিগত আবেগ তার হয়তো কাজ করছিল। সাকিবের ঘটনায় তাকে মনে হলো একেবারেই বিধ্বস্ত। পরে অবশ্য একটু আশার সুরও শোনা গেল।
“আমার জন্য সবচেয়ে দুঃখের দিন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও। তবে সাকিবকে আমি যতটুকু জানি, ও দারুণভাবে ফিরে আসবে।”