ভারত সফরের আগে নিজেদের মধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ দল। যার প্রথমটি ছিল রোববার সন্ধ্যায়। এই দুই ম্যাচকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্যই জাতীয় লিগের মাঝপথে ঢাকায় ডেকে আনা হয়েছে ৯ ক্রিকেটারকে।
ম্যাচে অবশ্য লড়াই জমল না তেমন। ভারত সফরের দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার ছিল যে দলে, সেই দলটিই হারল বাজেভাবে।
সাকিব আল হাসান ছিলেন না এই ম্যাচে। কোচ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানাজনকে দেখতে চান বলেই অধিনায়ক খেলেননি বলে জানা গেল বিসিবি সূত্রে। অনিশ্চয়তা আছে এমনকি সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচেও তার খেলা নিয়ে।
স্কোরকার্ডে এক দলের নেতৃত্বে লিটন দাস ও আরেক দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত উল্লেখ থাকলেও মাঠে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেল মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েসকে। মাহমুদউল্লাহর লাল দলেই ছিলেন জাতীয় দলের মূল ক্রিকেটাররা।
সবুজ দলের হয়ে ওপেনার নাঈম শেখ ৩৫ বলে করেন ২৯ রান। তিনে নেমে ইমরুল ৩২ করেছেন ২৬ বলে। এই দুজনের জুটির সময় বড় স্কোরের সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছিল। তবে আমিনুল থমকে দেন প্রতিপক্ষকে।
পরে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়ে ইয়াসির আলি চৌধুরি খেলেছেন ২১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশাল এক ছক্কা ও এক চারে রিশাদ হোসেন করেন ৭ বলে ১৩। দলের রান দাঁড়ায় ১৪৩।
রান তাড়ায় প্রায় জাতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়েও সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহরা। কোনো বল না খেলেই রান আউট হন সৌম্য সরকার। আফিফ হোসেন তিনে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজকে একটি ছক্কা মারার পরই ফিরে গেলেন আবার একই চেষ্টায়।
আরাফাত সানিকে সুইচ হিট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। সানির বলেই বোল্ড হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। রিশাদ নিজের প্রথম ওভারে ফিরিয়েছেন মোসাদ্দেককে।
কেবল ওপেনার লিটন দাস অনেকটা সময় আগলে ছিলেন এক প্রান্ত। তিনি রান আউট হয়ে যান ৩৫ বলে ৩৬ রান করে। দল গুটিয়ে যায় ৯৩ রানে।
ভারত সফরে দলে থাকা সানি উইকেট নিয়েছেন ৩টি। আমিনুলের মতোই বেশ ভালো বোলিং করেছেন আরেক তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ, ৪ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।