পারিবারিক কারণে বাংলাদেশ দলের ভারত সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তামিম। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য শিগগিরই তিনি যাবেন ব্যাংককে। শুক্রবার মিরপুরে দলের অনুশীলনে এলেও ছিলেন না তিনি শনিবার। আপাতত ক্রিকেটের বাইরেই থাকবেন কিছুদিন।
অথচ এই সিরিজ দিয়েই তার ফেরার কথা ছিল নতুনভাবে। গত মাসে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট থেকে স্বেচ্ছাবিরতিতে ছিলেন তামিম। মানসিক শ্রান্তির কারণে ছুটি চাইলেও সময়টা তিনি বিশ্রামে কাটাননি। দেশের বাইরে গিয়ে এক মাস ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ট্রেনারদের একজনের তত্ত্বাবধানে। ওজন কমিয়ে, পেশীর জোর বাড়িয়ে দেশে ফিরেছিলেন অনেক চনমনে হয়ে।
কিন্তু স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খুব ভালো না থাকায় নিতে হয়েছে দেশের বাইরে। এখন তার পাশে থাকার তাগিদ অনুভব করছেন তামিমও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন নিজের সিদ্ধান্তের পেছনে ভাবনা। “ভারতে যেতে না পারা অবশ্যই হতাশার। তবে আমার মনে হয়, মানুষের জীবনের এই সময়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এমনিতেই অনেকটা সময় পরিবারের দূরে থাকি। পরিবারের সদস্যদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এখন এই সময়টাও যদি স্ত্রীর পাশে থাকতে না পারি, তাহলে সেটি তার প্রতি, পরিবারের প্রতি অন্যায় হয়। এই সময়টুকু অন্তত ওদের প্রাপ্য।”
ভারতে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ শুরু ১৪ নভেম্বর। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর থেকে। প্রথম টেস্টের আগে না হলেও দ্বিতীয় টেস্টের আগে হয়তো কেটে যাবে তামিমের জটিলতা। তবে অনেকটা সময় ক্রিকেটের সংস্পর্শে না থেকে টেস্ট সিরিজেও খেলার কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখছেন না এই ওপেনার।
“যদি দেশে থাকতাম, তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও ক্রিকেট অনুশীলন করতে পারতাম। তখন ভাবতে পারতাম। কিন্তু টানা দুই-তিন সপ্তাহ ক্রিকেটে না থেকে হুট করে খেলা হয়তো কঠিন হবে। আপাতত তাই এই সফরে খেলার কোনো চান্স দেখছি না।”