সাকিবের স্পন্সরশিপ চুক্তি বেআইনি: বিসিবি সভাপতি

গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের স্পন্সরশীপ চুক্তিকে সম্পূর্ণ বেআইনী বলছে বিসিবি। চুক্তির শর্ত ভাঙার জন্য বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে বোর্ড চিঠি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। এই প্রশ্নে সাকিবকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2019, 12:40 PM
Updated : 26 Oct 2019, 05:55 PM

বিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির একটি ধারা অনুযায়ী, কোনো টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্পন্সরশীপ চুক্তি করতে পারবেন না কোনো ক্রিকেটার। কিন্তু গত সোমবার ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ঘোষণার পর দিন প্রকাশ পায় গ্রামীণফোনের সঙ্গে সাকিবের চুক্তির খবর। সাকিবের অফিসিয়াল ফেইসবুক পাতা ও গ্রামীণফোনের ফেইসবুক পাতা থেকে জানা যায় দুই পক্ষের চুক্তির কথা।

কেন্দ্রীয় চুক্তির এই ধারা নিয়ে অনেক সময় আলোচনা হয়েছে বলেই গ্রামীণফোনের সঙ্গে সাকিবের এই চুক্তি জন্ম দেয় প্রবল বিস্ময়ের। তখন বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায়, তারাও ব্যাপারটি অবগত নন।

ক্রিকেটারদের ধর্মঘট চলার সময় আর এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। শনিবার মিপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন দেখতে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি জানালেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা।

“বোর্ডের আইন অনুযায়ী এটি কোনোভাবেই করার কথা নয়। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। টেলিকম কোম্পানিও জানে, ক্রিকেটারও জানে। চুক্তিতেই আছে। (সাকিব) এটা কেন করল, ওকে আগে আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। এজন্যই আমরা ওকে চিঠি দিচ্ছি। তবে একটি ব্যাপার আমরা জানি, এটি কোনোমতোই করতে পারে না, সম্পূর্ণ বেআইনী।”

 

কোনো দিক বিবেচনায় নিয়ে সাকিবকে এখানে ছাড় দেওয়া হবে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে মুচকি হাসি দিয়ে বোর্ড সভাপতি বললেন, “প্রশ্নই আসে না…।”

টেলিকম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি না করার এই বাধ্যবাধকতা শুরু হয় বিসিবির সঙ্গে আরেক টেলিকম কোম্পানি রবির চুক্তির সময়। রবি ছিল বাংলাদেশ দলের স্পন্সর। ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটারদের আরেকটি ফোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি তাই ছিল সাংঘর্ষিক।

গত বছরের অগাস্টে নানা কারণ দেখিয়ে বিসিবির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে রবি। তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তিতে সেই ধারা থেকেই যায়। সেটির আনুষ্ঠানিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

তবে নানা সূত্র থেকে ধারণা যতটুকু পাওয়া যায়, টেলিকম কোম্পানিগুলো টিম স্পন্সরের পেছনে বড় অঙ্কের টাকা খরচ না করে শীর্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগত চুক্তি করতেই বেশি আগ্রহী। এতে তাদের ব্যয় অনেক কম হলেও বাণিজ্যিক প্রচারে ফায়দা অনেক বেশি পাওয়া যায়। টিম স্পন্সরের ক্ষেত্রে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তাই টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্পন্সরশীপে কড়াকড়ি রেখে দিয়েছে বোর্ড।