টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই। বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট থেকে নিয়েছেন সাময়িক বিরতি। নতুন মৌসুমে খেলেননি কোনো ম্যাচ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে অভিজ্ঞ এই কিপার ব্যাটসম্যান থাকবেন কি না, সেটা নিয়ে ছিল কৌতূহল।
শনিবার ঘোষিত দলে ধোনির নাম না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন প্রধান নির্বাচক। উত্তরে ধোনির নাম উল্লেখ না করেই রিশাভ পান্তকে নিয়ে ‘সামনে এগোনোর’ পরিকল্পনা জানান তিনি।
“আমাদের পরিষ্কার ভাবনা হচ্ছে, বিশ্বকাপের পর আমরা কেবল রিশাভের ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছি। আমি এটা খুব স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, বিশ্বকাপের পর আমরা সামনের দিকে তাকাচ্ছি। তরুণদেরকে সুযোগ দিচ্ছি এবং তারা নিজেদেরকে দলে প্রতিষ্ঠিত করছে।”
“রিশাভ খুব ভালো করছে, এমনকি সাঞ্জু স্যামসন দলে এসেছে (ব্যাকআপ কিপার-ব্যাটসম্যান)। আমি নিশ্চিত, আমাদের ভাবনা সবাই বুঝতে পারছেন।”
তাদের এই ভাবনার ব্যাপারে ধোনিও অবগত আছেন জানিয়ে প্রসাদ বলেন, তরুণদের সুযোগ দেবার ব্যাপারে নির্বাচকদের ভাবনার সাথে একমত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক।
তবে পান্তের মতো তরুণেরা ভালো করতে না পারলে আবারও ধোনির দিকে ঝুঁকবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বেশ বিরক্তি নিয়েই প্রসাদের উত্তর, “আমি ইতিমধ্যেই উত্তর দিয়ে দিয়েছি। আমরা পান্তের ব্যাপারে মনযোগ দিচ্ছি।”
ঘুরেফিরে এরপর আবারও এসেছে একই প্রসঙ্গ। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে ৩৮ বছর বয়সী ধোনি আবারও জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে ধোনির কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন প্রসাদ। তবে একইসাথে জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যৎ ভারতীয় দলের ধারণা দিতে পারে দল নির্বাচনের বর্তমান চিত্র।
“ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা, ছন্দ ফিরে পাওয়া বা অবসর চিন্তা, সবকিছুই তার ব্যক্তিগত (সিদ্ধান্ত)। আমরা ইতিমধ্যেই ভবিষ্যতের পথচিত্র তৈরি করে ফেলেছি। আমি নিশ্চিত, আমরা যেভাবে দল নির্বাচন করছি তা দেখেই আপনারা সেটা বুঝতে পারছেন।”
প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে সামনে। নতুন নির্বাচক প্যানেলও যদি একই পথ অনুসরণ করে, সেক্ষেত্রে ভারতের হয়ে ৯০ টেস্ট, ৩৫০ ওয়ানডে এবং ৯৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা ধোনিকে অবসর নিতে হতে পারে মাঠের বাইরে থেকেই।