মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে গত সোমবার প্রায় ৬০ জন ক্রিকেটারকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক সুদীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের এই আন্দোলনকে বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র, দেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
তার জবাবে বুধবার গুলশানের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান দাবিগুলো তুলে ধরেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পারিশ্রমিক বাড়ানো, ক্রিকেটারদের প্রতি বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো সহ মোট ১১টি দাবি জানিয়েছিল তারা। যোগ হওয়া দুটি দাবির একটি হলো বোর্ডের রাজস্বের ভাগ দিতে হবে ক্রিকেটারদের এবং নারী ক্রিকেট দলকেও দিতে হবে ন্যায্য ভাগ।
জোর দিয়ে বলা হয়, ক্রিকেটাররা লিঙ্গ বৈষম্যে বিশ্বাস করে না। তাই পুরুষ ক্রিকেটাররা যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে তার সব দিতে নারী ক্রিকেটারদেরকেও দিতে হবে।
এছাড়া তাদের যে এক নম্বর দাবি ছিল, প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন কোয়াব-এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এর সঙ্গে নতুন একটি ধারা যোগ করা হয়েছে; পেশাদার ক্রিকেটারদের আলাদা একটি সংগঠন চায় তারা।
তবে এখনই কোনো আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে মুস্তাফিজ জানান, বোর্ডের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত ক্রিকেটাররা।
পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে সংবাদ সম্মেলন শেষে মুখপাত্র মুস্তাফিজকে ছাড়া নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে ক্রিকেটাররা। আলোচনা শেষে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যাচ্ছেন তারা।
আলোচনায় বসার আগে সাকিব জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান করে যত শিগগির সম্ভব খেলায় ফিরতে চান তারা।
আগামী মাসে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। সেই লক্ষ্যে আগামী শুক্রবার জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা আছে।