বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন,ক্রিকেটারদের যৌক্তিক দাবিগুলো বিসিবি বোর্ড মেনে নেবে, আর খেলোয়াড়রাও মাঠে ফিরে আসবে- এটাই তার প্রত্যাশা।
সোমবার মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে প্রায় ৬০ জন ক্রিকেটারকে সঙ্গে নিয়ে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়।
এর প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার ‘চক্রান্ত’ চলছে।
“সব ক্রিকেটার এটির সঙ্গে জেনে শুনে জড়িয়েছেন বলে মনে হয় না। ১-২ জন জানতে পারে। এই মুহূর্তে বের করা দরকার, কারা এই কাজ করছে। কিছুদিনের সময় চাচ্ছি আপনাদের কাছে। সব বের করে ফেলব।”
ক্রিকেটাররা ধর্মঘট ডাকার পর টুইট করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী,যিনি বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার সময় বোর্ড সভাপতি ছিলেন।
টুইটে তিনি লেখেন, “খেলোয়াড়দের দাবি আর চেতনার সঙ্গে আমি একমত। এমন যে হবে তা টের পাওয়া যাচ্ছিল বহুদিন ধরে। তারা আরও অনেক কিছুই চাইতে পারত। আশা করি বিসিবি এর মধ্যে কোনো ষড়যন্ত্র খুঁজে পাবে না।”
এরপর বিসিবি সভাপতি ঠিকই ষড়যন্ত্রতত্ত্ব নিয়ে হাজির হওয়ায় সাবের হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সাংবাদিকরা।
উত্তরে তিনি বলেন, “বক্তব্যের কনটেন্ট নিয়ে আমি বলব না। তবে তারা যে অ্যাপ্রোচ নিয়েছে, সেটা নিয়ে আমি বলব। আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের উচিত হয় নাই প্রেস কনফারেন্স করে তাদের দাবিটা দেওয়া।
“তবে একই ভুল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড করল। ক্রিকেট বোর্ড হচ্ছে অভিভাবক, তারা হচ্ছে গার্ডিয়ান। তাদের অবস্থান আর খেলোয়াড়দের অবস্থান তো এক নয়।”
সাবের বলেন, ক্রিকেট বোর্ডের অভিভাবকের ভূমিকাতেই থাকা উচিত, ক্রিকেটারদের ডেকে সমস্যার সমাধান করা উচিত।
“বাংলাদেশের মানুষ যেটা চায়, ক্রিকেট হচ্ছে একটা মাঠের খেলা, সেই মাঠে যেন ক্রিকেট ফিরে যায় খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে। আমরা একটা সমাধান চাই। দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে কোনো একটা কারণে, সেটা যেন আমরা ঘোচাতে পারি।
“আমরা চাই আমাদের ভারত সফরটা যেন হয়, ক্রিকেট খেলা যেন মাঠে ফিরে আসে। তাদের যৌক্তিক দাবি যেগুলো আছে, সেগুলো যেন ক্রিকেট বোর্ড গ্রহণ করে নেয়।”