১৫ উইকেটের দিনে জমজমাট লড়াই

অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি নুরুল হাসান। তবে তার দারুণ ইনিংসেই খুলনা পায় কাঙ্ক্ষিত লিড। বোলারদের দাপুটে বোলিং এরপর তারা খুব বেশিদূর এগোতে দেয়নি রাজশাহীকে। শেষ ইনিংসে রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারালেও দিনশেষে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে খুলনাই।তবে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শনিবার দুই দল উপহার দিয়েছে জমজমাট লড়াই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2019, 12:21 PM
Updated : 19 Oct 2019, 12:21 PM

জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটির তৃতীয় দিনে উইকেট পড়েছে ১৫টি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে খুলনা। জয়ের জন্য শেষ দিনে ৯ উইকেট হাতে রেখে তাদের প্রয়োজন ১০৮ রান ।

প্রথম ইনিংসে ৩০৯ রান তোলা খুলনা পেয়েছিল ৪৮ রানের লিড। রাজশাহী নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৭০ রানে।

প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে শনিবার খেলতে নামা খুলনা এদিন শুরুতেই হারায় আব্দুর রাজ্জাককে। রানের খাতা খোলার আগেই ফরহাদ রেজার বলে আউট হন নতুন ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেন।

শেষ দুই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এরপর দলের ইনিংস টেনেছেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান নুরুল। সঙ্গীর অভাবে শেষপর্যন্ত পাননি সেঞ্চুরির দেখা।

মুস্তাফিজের সাথে ৪০ রানের নবম উইকেট জুটিতে দলকে লিড এনে দেন খুলনার কিপার ব্যাটসম্যান। এই জুটির পথেই ৮২ বলে সাত চারে ফিফটি তুলে নেন তিনি।

ফিফটির পর দ্রুত রান তুলতে থাকেন নুরুল। পঞ্চাশ পেরিয়ে তার ব্যাট থেকে চারটি ছক্কার পাশাপাশি আসে আরও তিনটি চার।

৯ রান করে মোহর শেখের বলে আউট হন মুস্তাফিজ। ৩০ রানের শেষ উইকেট জুটিতে আল আমিনের অবদান মাত্র ১।

সানজামুলের বলে আল আমিন আউট হয়ে গেলে সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপ সঙ্গী হয় নুরুলের। তিনি তখন অপরাজিত ৯৭ রানে। ৩০৯ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।

৪৮ রানে পিছিয়ে থাকা রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই খুলনার পেসারদের তোপে পড়ে। ২৮ রানের মধ্যে হারায় প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে। 

মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে রাজশাহী। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮৪ রান।

৭৫ বলে পাঁচটি চারে ফিফটি স্পর্শ করেন শান্ত। তবে এরপর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে ফেরেন রাজ্জাকের বলে। খানিক পরে এক ওভারেই মুশফিক ও ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে রাজশাহীকে বড় ধাক্কা দেন এই অভিজ্ঞ স্পিনার। মুশফিক আউট হন ৪৪ রান করে।

এরপর আর বড় কোন জুটি পায়নি রাজশাহী। আল-আমিনের পেস এবং রাজ্জাকের স্পিনে ২৮ রানের মধ্যে তারা হারায় শেষ ৪ উইকেট। দুই বোলারই নেন চারটি করে উইকেট। বাকি দুটি উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ।

দিনের খেলার শেষ দিকে তিন ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় খুলনা। প্রথম ওভারেই শফিউল তুলে নেন এনামুল হকের উইকেট। বাকি কয়েক বল নিরাপদেই কাটিয়ে দেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ও নতুন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস।

রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৬১

খুলনা ১ম ইনিংস: ১০৮.৩ ওভারে ৩০৯ (এনামুল ৩৪, সৌম্য ০, ইমরুল ৯৩, তুষার ৪৩, মিঠুন ৪, নুরুল ৯৭*, মিরাজ ৫, রাজ্জাক ১২, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ৯,আল-আমিন ১; শফিউল ১৭-৩-৫৫-৩, মোহর ১৬-৪-৩৮-১, ফরহাদ রেজা ১৬-৪-৪৪-১, তাইজুল ৩৪-৫-৯৭-২, সানজামুল ২৫.৩-৭-৬৫-২)

রাজশাহী ২য় ইনিংস: ৬০ ওভারে ১৭০ (মিজানুর ০, জুনায়েদ ৫, ফরহাদ ১১, শান্ত ৫৭, মুশফিক ৪৪, সানজামুল ২৫, ফরহাদ রেজা ০, শাকির ৯, তাইজুল ৯, শফিউল ১০, মোহর ০*; মুস্তাফিজ ৮-১-১৮-২, আল-আমিন ৯-১-১৭-৪, রাজ্জাক ২০-৪-৬২-৪, মিরাজ ১৮-১-৫৭-০, রুবেল ৫-১-১৬-০।

খুলনা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১২৩)৩ ওভারে ১৫/১ (এনামুল ৪, সৌম্য ০*, ইমরুল ১১*; শফিউল ২-১-১১-১, ফরহাদ রেজা ১-০-৪-০)