রাবাদার দুর্দান্ত স্পেলের পর রোহিতের সেঞ্চুরি

আরেকটি টস হার। শুষ্ক উইকেটে আগে বোলিং আর পরে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ আফ্রিকার হতাশার কারণ ছিল যথেষ্টই। তারপরও কাগিসো রাবাদার আগুন ঝরানো প্রথম স্পেলে তাদের শুরুটা হলো দারুণ। তবে পরে পাল্টে গেল ছবি। প্রোটিয়া বোলিং গেল মিইয়ে। রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে এলো আরেকটি সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে অজিঙ্কা রাহানের জুটিতে উল্টো বিপাকে দক্ষিণ আফ্রিকাই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2019, 11:40 AM
Updated : 19 Oct 2019, 11:42 AM

মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে উঠে আসার সিরিজে রোহিত উপহার দিলেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। আলোকস্বল্পতায় রাঁচি টেস্টের প্রথম দিন শেষ হয়েছে ৫৮ ওভারেই। ভারত তুলেছে ৩ উইকেটে ২২৪ রান।

১১৭ রান নিয়ে উইকেটে আছেন রোহিত। রাহানের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১৮৫। রাহানে অপরাজিত ৮৩ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হতাশার শুরু সকালে টস দিয়ে। বারবার টস হেরে বিরক্ত ফাফ দু প্লেসি টসে গিয়েছিলেন ‘প্রক্সি অধিনায়ক’ নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়মিত অধিনায়ক টসের সময় উপস্থিত থাকলেও ‘কল’ করেন তার সঙ্গে যাওয়া টেম্বা বাভুমা। কিন্তু এবারও ফেরেনি তাদের টস ভাগ্য।

টস রিপোর্টে সুনীল গাভাস্কার বললেন, সিরিজের সবচেয়ে শুষ্ক উইকেট এটি, পরের দিকে টার্ন করবে যথেষ্টই। হোয়াইটওয়াশ এড়ানো লড়াইয়ে টস হারের পর তাই দু প্লেসি বুঝে ফেলেছিলেন যেন সম্ভাব্য পরিণতিও।

আগের ম্যাচ থেকে পাঁচটি পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট ক্যাপ পান কিপার ব্যাটসম্যান হাইনরিখ ক্লাসেন ও বাঁহাতি স্পিনার জর্জ লিন্ডে। কুলদীপ যাদবের চোটে আগের দিন বিকেলে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া শাহবাজ নাদিম পান ভারতের টেস্ট ক্যাপ। ৪২৪টি প্রথম শ্রেণির উইকেট শিকারের পর টেস্ট ম্যাচের স্বাদ পেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

মনোবল বিধ্বস্ত থাকবে বলে ধারণা করা হলেও মাঠে নামার পর চমকে দেয় প্রোটিয়ারা। ম্যাচের প্রথম বলটি রাবাদা করলেন দারুণ এক আউটসুইঙ্গার। এই ফাস্ট বোলার এরপর পরীক্ষা নিতে থাকলেন ভারতীয় ওপেনারদের। আরেকটি দুর্দান্ত আউটসুইংয়েই ফেরালেন আগের দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করা মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে।

এরপর তিনে নামা চেতেশ্বর পুজারাকে ফেরালেন রাবাদা ইনসুইঙ্গারে। বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে আনরিক নরকিয়া পেলেন প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ। ভারতের রান তখন ৩ উইকেটে ৩৯। কে জানত, এরপর আর উইকেটই পাবে না দক্ষিণ আফ্রিকা!

রাবাদার ৭ ওভারের স্পেল শেষ হওয়ার পর কমতে থাকে চাপ। স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর তাদের তুলোধুনো করে ছাড়েন রোহিত ও রাহানে। প্রথম স্পেলের পর সুবিধে করতে পারেননি রাবাদাও।

৮৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছিলেন রোহিত। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে আর কেবল ৪৪ বল। দিন শেষে ১৬৪ বলে তার ১১৭ রানের ইনিংসে চার ১৭টি, ছক্কা ৪টি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে রাহানের ৮৩ রানের ইসিংসে চার ১১টি, ছক্কা ১টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত ১ম ইনিংস: ৫৮ ওভারে ২২৪/৩ (মায়াঙ্ক ১০, রোহিত ১১৭*, পুজারা ০, কোহলি ১২, রাহানে ৮৩*; রাবাদা ১৪-৫-৫৪-২, এনগিডি ১১-৪-৩৬-০, নরকিয়া ১৬-৩-৫০-১, লিন্ডে ১১-১-৪০-০, পিট ৬-০-৪৩-০)।