ফিক্সিংয়ের দায়ে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের ৫ বছরের জেল

ক্রিকেট আঙিনায় ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা তো চলছেই। তবে শুধু তাতেই পার পাচ্ছেন না গুলাম বদি। ফিক্সিংয়ের দায়ে ৫ বছর জেলে কাটানোর সাজাও দেওয়া হলো সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2019, 02:26 PM
Updated : 18 Oct 2019, 02:26 PM

২০০০ সালে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দেওয়া হানসি ক্রনিয়ের ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর ২০০৪ সালে এই আইনটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আইনের একটি ধারা সরাসরি ছিল ক্রীড়ায় দুর্নীতি নিয়ে, যে ধারার অনুসারে ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংও ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। বদির সাজা হয়েছে এই ধারায়ই।

এই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১৫ বছরের। তবে বদির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন ছিল ৫ বছরের সাজার। সেটিই গ্রহণ করা হয়েছে।

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে ফিফটি করেছিলেন বদি। তবে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থমকে যায় ২ ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলেই। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য তিনি ছিলেন বড় নাম। খেলেছেন আইপিএল ও আফ্রিকা একাদশেও।

২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফিক্সিংয়ের পরিকল্পনা করা ও নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল বদির বিরুদ্ধে।  অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তাকে ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড।

তারপর ২০০৪ সালের ওই আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের জুলাইয়ে বদি পুলিশের কাছে নিজেকে সোপর্দ করেন। সেই বছরের নভেম্বরেই দুর্নীতির ৮টি অভিযোগে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন তিনি।

গত জানুয়ারিতেই তার সাজা হওয়ার কথা ছিল। তবে নানা কারণে দেরী হয়ে সাজার ঘোষণা এলো শুক্রবার।

পুলিশের কাছে আত্নসমর্পনের পর জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন বদি। ৪০ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যান এখন ‘লিভ টু আপিল’ ও জামিন বাড়ানোর আবেদন করবেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের দায়ে বদির সঙ্গে সেবার আরও ৬ ক্রিকেটারকে ২ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম ছিলেন যিনি, সেই আলভিরো পিটারসেন ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এর মধ্যেই আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন ধারাভাষ্যকার হিসেবে।